প্রতীকী চিত্র
আপনার সঞ্চয়ের চাহিদা নানান। আর সেই চাহিদা মেটাতে মিউচুয়াল ফান্ডগুলিও কিন্তু ব্যস্ত থাকে নানান ভাবে আপনার টাকা বিনিয়োগ করতে। যেমন বিশেষত্ব ভিত্তিক বা স্পেশালিটি ফান্ড। নামেই মালুম এই ফান্ড আর অন্য চারটে ফান্ডের রাস্তায় হাঁটে না। আসুন দেখে নিন কী কী শ্রেণিতে এই সব ফান্ডের টাকা রাখা হয়।
সেক্টর ফান্ডস:
এই ফান্ড বাজারের বিশেষ কোনও সেক্টরে বা ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করে। যেমন, পরিকাঠামো সংস্থার শেয়ারে। এই ফান্ডে লাভ-ক্ষতি নির্ভর করে সেই নির্দিষ্ট ক্ষেত্রের ব্যবসার গতি-প্রকৃতির উপর। যেমন আমাদের উদাহরণে পরিকাঠামো। এই ক্ষেত্রে যে সব সংস্থা কাজ করে তাদের লাভ ক্ষতি সেই ক্ষেত্রের বাজারের উপর নির্ভর করে। আর তার উপরই নির্ভর করে রিটার্ন ও ঝুঁকি।
ইনডেক্স ফান্ডস:
প্রতিটি শেয়ার বাজারের ওঠা পড়া দেখতে আমরা সেই সব বাজারের সূচকের উপর চোখ রাখি। এই সূচক তৈরি হয় বাজারের সেই সব শেয়ারের দাম ধরে যে সব শেয়ারের দামের ওঠা পড়া বাজারের গতি নিয়ন্ত্রণ করে। দ্রব্যমূল্য সূচক যে ভাবে তৈরি হয়,সেই একই পথে তৈরি হয় এই সূচক। দ্রব্যমূল্য সূচকে যে ভাবে বিভিন্ন পণ্যের চাহিদার গুরুত্ব বিচার করে তার গুরুত্ব নির্ণায়ক গুণিতক থাকে। শেয়ার সূচকেও তৈরি করা হয় সেই একই পথে। তাই এই ফান্ডে কোন শেয়ারের তহবিলের কত টাকা কোন শেয়ারে যাবে তার অংশও ঠিক করা হয় সূচকে সেই শেয়ারে কত গুণিতক বা ওয়েট রাখা হয়েছে তা ধরেই।
ধরা যাক, 'ক' সংস্থার শেয়ারের ওজন সূচকে ২৫ শতাংশ। তাহলে তহবিলের টাকার ২৫ শতাংশ এই শেয়ারে বিনিয়োগ করা হবে। তাই সূচক যদি বাড়ে তাহলে ধরে নিতেই পারেন তত শতাংশই বাড়বে আপনার বিনিয়োগ, আর পড়লে পড়বে ততটা।
ফান্ড অব ফান্ডস:
এটা বেশ মজার। এই ফান্ড কিন্তু সরাসরি কিছুতে লগ্নি না করে, করে থাকে অন্য নানান মিউচুয়াল ফান্ডে। এই ফান্ডগুলোকে মাল্টি ম্যানেজার ফান্ডও বলা হয়। তার কারণ সোজা। প্রতিটি মিউচুয়াল ফান্ড পরিচালনা করেন একজন ম্যানেজার। আর এই ফান্ড নানান মিউচুয়াল ফান্ডে টাকা ঢালে বলে মাল্টি (বহু) ম্যানেজার ফান্ড বলে।
ইন্টারন্যাশনাল ফান্ডস:
বিদেশি ফান্ড বলেও পরিচিত এই ফান্ড ভিনদেশের সংস্থায় টাকা লগ্নি করে। সংস্থাগুলি উন্নয়নশীল দেশেরও হতে পারে। শুধুমাত্র বিনিয়োগকারীর নিজের দেশের সংস্থায় এই টাকা লগ্নি করা যায় না।
গ্লোবাল ফান্ডস:
এই ফান্ডের টাকা পৃথিবীর যে কোনও দেশের সংস্থায় লগ্নি করা যায়। এমনকী বিনিয়োগকারীর নিজের দেশের সংস্থাতেও।
রিয়েল এস্টেট ফান্ডস:
এই ধরনের ফান্ড রিয়েল এস্টেট সেক্টরের আওতাধীন যে কোনও সংস্থায় লগ্নি করা যায়। ফলে সম্পত্তির মালিক, বিল্ডার, সম্পত্তি পরিচালনকারী,এমনকী ঋণ প্রদানকারী সংস্থাগুলোতেও এই টাকা বিনিয়োগ করা হয়। এ ক্ষেত্রে তৈরি হয়ে যাওয়া, নির্মীয়মাণ, এমনকী প্রস্তাবিত প্রকল্পেও এই টাকা লগ্নি হয়।
কমোডিটি ফোকাসড স্টক ফান্ডস:
এই ফান্ড সরাসরি কোনও পণ্যে লগ্নি করা হয়। দ্রব্যের বাজারে কাজ করা সংস্থাগুলিতে, যেমন খননকারী সংস্থা বা পণ্য উৎপাদনকারী কোনও সংস্থায় ফান্ডের টাকা লগ্নি করা হয়। যেমন, সোনা, কফি বা অন্য কিছু। উৎপাদন প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত থাকার সুবাদে এই ফান্ড মাঝেসাঝে সেই পণ্যের মতোই আচরণও করে থাকে। ভবিষ্যতে সরাসরি দ্রব্যে বিনিয়োগের ফান্ডও তৈরি হওয়া সম্ভব হবে বলে আশা রাখি।
মানি নিউট্রাল ফান্ডস:
সরাসরি বাজারে লগ্নি করা হয় না বলেই এমন নাম এই ফান্ডের। পরিবর্তে নির্দিষ্ট এবং নিয়মিত বৃদ্ধির লক্ষ্যে ফান্ডের টাকা বিনিয়োগ করা হয় ট্রেজারি বিল, ইটিএফ, সিকিওরিটি ইত্যাদিতে।
অ্যাসেট অ্যালোকেশন ফান্ডস:
এই ফান্ড দু’ধরনের- টার্গেট ডেট ফান্ড এবং টার্গেট অ্যালোকেশন ফান্ড। এই ধরনের ফান্ডে পোর্টফোলিও ম্যানেজারেরা প্রয়োজন মাফিক সম্পদের বন্টন বদলাতে পারেন। ফান্ডের টাকা বন্ড, ইক্যুইটির মতো বিভিন্ন খাতে লগ্নি করা হয়।
গিল্ট ফান্ডস:
এই ফান্ডের টাকা দীর্ঘকালীন মেয়াদে সরকারি সিকিওরিটিতে লগ্নি করা হয়। সরকারি খাতে বিনিয়োগ হওয়ায় তা পুরোপুরি নিরাপদ। ফলে যারা একেবারেই ঝুঁকি নিতে চান না, তাদের জন্য আদর্শ।
এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ডস:
ওপেন এবং ক্লোজড এন্ডেড ফান্ডের মিশেলে এই ফান্ডগুলো স্টক মার্কেটে খাটানো হয়। সক্রিয় পরিচালনা না থাকায় এতে নগদের সুবিধা বেশি। এবং একই কারণে এদের সার্ভিস চার্জের (এন্ট্রি/এগজিট লোড) পরিমাণও কম।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy