বিনিয়োগ করার আগে জেনে নিন ফান্ডগুলির চরিত্র।
মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করছেন। কিন্তু আপনার চোখ শুধুই দেশের বাজারে। ভারতের অর্থনীতির চড়াই উতরাইয়ের সঙ্গে নিজের ভাগ্যকে জড়িয়ে রেখেছেন। আর হাত কামড়াচ্ছেন বিদেশের নানা বাজারে আয়ের সুযোগ দেখে। মাথায় নেই যে চাইলে এখন আপনিও বিদেশের বাজার থেকে লাভ ঘরে তুলতে পারেন। টাকার দাম পড়লেও সেই সুযোগে নিজের সঞ্চয় বাড়িয়ে নিতেন পারেন টাকায় আপনার বিনিয়োগের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে।
কিন্তু বিনিয়োগ করার আগে জেনে নিন ফান্ডগুলির চরিত্র। ‘ওভারসিজ’ ফান্ড বলে পরিচিত এই তহবিলগুলো সাধারণত চার ভাগে ভাগ করা হয়। ‘গ্লোবাল’, ‘রিজিওনাল’, ‘কান্ট্রি’ আর ‘গ্লোবাল সেকটরাল’ ফান্ড।
সঞ্চয়ের অঙ্কে মূল দুটো জায়গা। আপনার মূল বিনিয়োগ বা ক্যাপিটাল আর তা লগ্নি করে খোয়া যাওয়ার ঝুঁকি। ঝুঁকি বেশি যেখানে সেখানে রিটার্ন বা লাভও বেশি। কিন্তু তাই বলে কি আর আপনি চিট ফান্ডে টাকা রাখবেন? না। তাই বলা হয় আপনার ঝুঁকির খিদে মেপে বিনিয়োগ করুন। তা ঝুঁকি আর তার খিদে নিয়ে আলোচনা করার পরিসর অন্য। এখন আলোচনায় ফিরি।
বাজারে বিনিয়োগ করতে গেলে বলা হয় বিনিয়োগের উপর নজর রাখুন। আপনি হয়ত যে ফান্ডে টাকা ঢেলেছেন সেই ফান্ডের বিনিয়োগ বাজারের কারণে ভাল করছে না। তাই উপদেষ্টারা চেষ্টা করেন ক্রমাগত বিনিয়োগের ভাল গন্তব্য খুঁজে বার করতে। যে ফান্ড খারাপ করছে সেখান থেকে টাকা সরিয়ে তুলনামূলক ভাল জায়গা খুঁজে বার করতে।
কিন্তু সেই ভাল জায়গা খুঁজতে যদি ক্রমাগত একই বাজারে বিভিন্ন সংস্থা খুঁজতে হয় তা হলেও কিন্তু আপনার পছন্দ সীমাবদ্ধ হয়ে পড়ে। ভারতের অর্থনীতি যদি খারাপ করে তার মানে তো দেশের বাজারও খারাপ। আর তা হলে প্রভাব তো দেশের সংস্থাগুলোর উপরও পড়বে। অন্য ভাবে ভাবলে সেই সংস্থাগুলো খারাপ করছে বলেই তো অর্থনীতির অবস্থা ভাল নয়।
কিন্তু ভারতের অর্থনীতির অবস্থা খারাপ মানেই যে বিশ্বের সব দেশের অর্থনীতি খারাপ তা তো না-ও হতে পারে। আর এখানেই ওভাসিজ ফান্ডের উপযোগিতা।
ক) গ্লোবাল ফান্ড: এই জাতীয় ফান্ড দুনিয়া জুড়ে বিনিয়োগ করে। তার মানে এই ফান্ড সব দেশেই বিনিয়োগ করে এমনকি, ভারতেও।
খ) ইন্টারন্যাশনাল ফান্ড: এই জাতীয় ফান্ড দুনিয়ার সব দেশেই বিনিয়োগ করে শুধু যে দেশের ফান্ড সেই দেশ বাদ দিয়ে। মানে, ভারতের ইন্টারন্যাশনাল ফান্ডে বিনিয়োগ করলে সেই ফান্ড ভারতের বাজারে টাকা ঢালবে না।
গ) রিজিওনাল ফান্ড: এই ফান্ডগুলো বিশ্বের বিভিন্ন ভৌগোলিক অঞ্চল ধরে সেই অঞ্চলের দেশগুলিতে বিনিয়োগ করে। উদাহরণ, এশিয়া-পাসিফিক।
ঘ) কান্ট্রি ফান্ড বা দেশ ভিত্তিক ফান্ড: এই ফান্ডগুলো শুধু মাত্র একটি দেশ নির্দিষ্ট করে সেখানে বিনিয়োগ করে। যেমন ধরা যাক দক্ষিণ কোরিয়া।
ঙ) গ্লোবাল সেক্টর ফান্ড: ধরুন আপনার পছন্দের বিনিয়োগের ক্ষেত্র হল তথ্যপ্রযুক্তি। আপনি যদি এই সংক্রান্ত ফান্ডে বিনিয়োগ করেন তাহলে আপনার টাকা খাটবে বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায়।
তাহলে আর দেরি কেন? কথা বলুন আপনার উপদেষ্টার সঙ্গে। লগ্নি করতে বেছে নিন নানান সুযোগ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy