শেয়ার বাজার এমন একটি স্থান যেখানে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা তাদের শেয়ার কেনাবেচা করে। একে পুঁজি বাজারও বলা হয়। বর্তমানে ইউক্রেনের যুদ্ধ পরিস্থিতির ফলে শেয়ার বাজারে বড়সড় ধস নেমেছে। বিপুল পরিমাণ পুঁজি খুইয়েছেন বহু বিনিয়োগকারী। যদিও শেয়ার বাজারে এমন ধস নতুন নয়। অতীতে বহু বার মুখ থুবড়ে পড়েছে বাজার। এক ঝলকে দেখে নিন বাজার ধসে পড়ার কয়েকটি ঘটনা।
১৯২৯ সালে বড়সড় পতন হয়েছিল শেয়ার বাজারে। ১০ বছরের আর্থিক বৃদ্ধি রোরিং টোয়েন্টি নামে জনপ্রিয়। যখন আমেরিকার অর্থ ব্যবস্থা ভাল জায়গায় পৌঁছে গিয়েছিল, ঠিক সেই সময়েই এর গতিমুখ ধীরে ধীরে বদলাতে থাকে। আর এখান থেকেই সমস্যার সূত্রপাত হয়। ফলস্বরূপ ২৫ অক্টোবর ১৯২৯ সালে ডাও জোন্স ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যাভারেজে প্রায় ১২ শতাংশ পতন হয়। এই দিনটিকে ‘ব্ল্যাক ফ্রাইডে’ও বলা হয়ে থাকে। এই ঘটনা সমাজে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলেছিল।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মাঝে বিগত কয়েক দিন ধরেই উত্থান-পতনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে শেয়ার বাজারের গ্রাফ। এই আবহে ৭ মার্চ, সোমবার, সপ্তাহের প্রথম ব্যবসায়িক দিনে বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জের ৩০-শেয়ারের কী সূচক সেনসেক্স ৫৩,১৭২.৫১ স্তরে ট্রেড শুরু করে। প্রি-মার্কেট লেনদেন চলাকালীন সকাল সওয়া ৯টায় এক ধাক্কায় ১১৬১.৩ পয়েন্ট কমে যায় সেনসেক্স। অন্য দিকে, নিফটিও ওই দিন লাল চিহ্নে লেনদেন শুরু করে। এর আগে শেয়ার বাজারে শীর্ষ ১০টি কোম্পানির মধ্যে সাতটির বাজার মূলধন ২.১১ লাখ কোটি টাকা কমে যায়।
বিদেশি পোর্টফোলিও বিনিয়োগকারীরা মার্চের মাত্র তিন ব্যবসায়িক দিনে (২ মার্চ থেকে ৪ মার্চ) ভারতীয় শেয়ার বাজার থেকে ১৭,৫৩৭ কোটি টাকা তুলে নিয়েছেন। ইউক্রেন সঙ্কটের কারণে সৃষ্ট অনিশ্চয়তা এবং অপরিশোধিত তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে ব্যবসায়িক মনোভাবের উপর বিরূপ প্রভাব পড়েছে। তা ছাড়াও ডলারের বিপরীতে ভারতীয় মুদ্রার অবমূল্যায়ন অবস্থানের পরিপ্রেক্ষিতে বিদেশি পোর্টফোলিও বিনিয়োগকারীরা ভারতীয় শেয়ার বাজার থেকে লগ্নি প্রত্যাহার করছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy