প্রতীকী চিত্র
বিমা করেছেন যাতে আপনার অবর্তমানে আপনার পরিবারের আর্থিক কষ্ট না হয়। তাই নমিনিতে স্ত্রীর নাম লিখেছেন। আপনার শান্তি হল এই ভেবে যে আপনার যদি কিছু হয়ে যায় তাহলে আপনার স্ত্রী এবং সন্তান অন্তত আর্থিক নিরাপত্তার অভাবে ভুগবে না।
কিন্তু ভাবলেন না যে আপনার সম্পত্তির উপর আরও দাবিদার আছে। ভাবলেন না যে আপনার বাজারে যে ঋণ আছে, আপনার অবর্তমানে তা আপনার পরিবারের উপরেই বর্তাবে। ভাবলেন না যে, বিমার টাকা, সেই ঋণ শোধ করার পর আর সংসার চালানোর জন্য আর কিছু থাকবে না।
আপনার স্ত্রীকে বা সন্তানকে নমিনি করে গেলে কিন্তু এই সমস্যার সমাধান হবে না। কারণ, নমিনি করা মানে কিন্তু আপনার বিমার একমাত্র দাবিদার তিনি হবেন না। তাঁর দায় থাকবে দাবিদারদের টাকা মেটানো এবং নিজেও যদি দাবিদার হন তাহলে বড়জোর আনুপাতিক অঙ্কে নিজের ভাগ নিয়ে নেওয়া।
তাহলে? এই সমস্যার কথা ভেবেই ম্যারেড ওম্যান প্রপার্টিজ অ্যাক্ট বা বিবাহিত মহিলার সম্পত্তির অধিকার আইনের ৬ ধারায় বিমা করান। তাহলে আপনার বিমার উপর পরিবারের অধিকার থেকে তাঁদের কেউ বঞ্চিত করতে পারবে না। আসুন দেখে নেওয়া যাক এই ধারা কী বলে।
ধারা ৬
ধারা ৬ তে বলা হচ্ছে, এই ধারা অনুযায়ী বিমা করলে আপনার স্ত্রী/সন্তান বা উভয়েই কিন্তু এই বিমার টাকার একমাত্র অধিকারী হবেন। এমনকী আপনারও কোনও অধিকার থাকবে না ম্যাচিওরিটিতে পাওয়া টাকার উপরে। এই তহবিলকে ট্রাস্ট হিসাবে গণ্য করা হবে এবং এই টাকায় অন্য কেউ ভাগ বসাতে পারবে না। এমনকী যদি ঋণ নিয়ে থাকেন, তাহলে সেই পাওনাদারেরও কোনও অধিকার থাকবে না এই টাকার উপর।
এই বিমা কে কে কিনতে পারেন
ক) বিবাহিত এবং পরিবার নিয়েই থাকেন
খ) ডিভোর্সী হলেও আপনার প্রাক্তন স্ত্রী/সন্তান বা উভয়ের নামেই
গ) বিপত্নীক হলেও সন্তানের নামে
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy