প্রতীকী ছবি
বাবা-মা হিসেবে আপনার শিশুর জন্য আপনার প্রথম চিন্তা কী হবে? নিশ্চয়ই তার শিক্ষার ব্যবস্থা, তাই তো? কিন্তু কখনও ভেবে দেখেছেন তার ভবিষ্যতের সুরক্ষার কথা? শুধু উপযুক্ত শিক্ষাই নয়, স্বাস্থ্য, আকস্মিক দুর্ঘটনা এবং সন্তানের ভবিষ্যতের সুরক্ষার কথা প্রত্যেক বাবা-মায়েরই ভেবে রাখা উচিত।
বেশ কিছু প্রচলিত পদ্ধতি যেমন ফিক্সড্ ডিপোজিট, বিভিন্ন সঞ্চয় স্কিম ইত্যাদি আপনার সন্তানের ভবিষ্যত সুরক্ষার জন্য অর্থ সঞ্চয় করে রাখতে সাহায্য করবে। সাধারণত, সন্তানের জন্য বিমা ঠিক করার সময়ে বেশির ভাগ মা-বাবাই এমন বিমা পছন্দ করেন, যা শুধুমাত্র দুর্ঘটনাজনিত এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষা দেয়।
শিশু বিমা পরিকল্পনা কী, তা নিয়ে অধিকাংশ মানুষেরই খুব কম ধারণা থাকে। তাই বাবা-মায়েরা শিশু পরিকল্পনাকে সঞ্চয়ের একটি নির্ভরযোগ্য উপায় হিসেবে গণনা করেন না। একটি শিশু বিমা পরিকল্পনায় বেশ কিছু অতিরিক্ত সুবিধা এবং নিরাপত্তার সুযোগ রয়েছে। কিন্তু চাইল্ড প্ল্যানের সুবিধা নিয়ে আলোচনা করার আগে আমাদের অবশ্যই শিশু বিমা সম্পর্কে জানতে হবে।
শিশু বিমা পরিকল্পনার লক্ষ্য হল একটি শিশুর সমস্ত পরিকল্পিত এবং অপরিকল্পিত অবস্থার জন্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। এই বিমা শিশুর ভবিষ্যৎ আর্থিক সহায়তা এবং সেই সূত্রে মানসিক সহায়তা দেয়।
অভিভাবকের আকস্মিক মৃত্যু
শিশু সুরক্ষা বিমায় এমন ধারাও রয়েছে, যা উপার্জনকারী অভিভাবকের মৃত্যুর পর শিশুকে নিরাপদ রাখে। এটি পরিবারের অন্য উপার্জনহীন সদস্যদের উপরে বা সন্তানের উপরে যাতে কোন অর্থনৈতিক চাপ না সৃষ্টি হয়, তা নিশ্চিত করে এই বিমা।
কর থেকে সুবিধা
শিশু বিমায় কর ছাড়ের সুবিধা পাওয়া যায়। প্রিমিয়াম দেওয়ার সময়ে আপনি যে পরিমাণ অর্থ প্রদান করেন, তা করযোগ্য আয় থেকে বাদ যায়। বিমা পলিসির মেয়াদপূর্তিতে প্রাপ্ত অর্থেও কর ছাড় মেলে। সুতরাং, আপনি কর ছাড়াই সমস্ত মূলধন এবং রিটার্নের সম্পূর্ণ সুবিধা উপভোগ করতে পারেন।
মুখ্য বিনিয়োগে কোনও ক্ষতি হয় না
অনেক বিনিয়োগের মূল্য সময়ের সঙ্গে কমতে থাকে। তাদের মান বা অবস্থার অবমূল্যায়ন হতে পারে, যার ফলে মূল বিনিয়োগের নিরিখে লোকসান হয়। কিন্তু এই বিমার পরিকল্পনা আপনার মূলধনকে যে কোনও আর্থিক ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। সমস্ত সঞ্চয় সুদ-সহ মূলধন ফেরতের প্রতিশ্রুতি দেয় এই পলিসি।
শিশুর শিক্ষায় সহায়তা
বেশিরভাগ শিশু বিমায় শিশু শিক্ষার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত থাকে। অন্যথায়, আপনি বিমা এজেন্সিগুলির কাছ থেকে একটি নির্দিষ্ট শিশু শিক্ষা পরিকল্পনা পেতে পারেন, যা প্রাথমিক ভাবে শিশুর ভবিষ্যতের শিক্ষাগত ব্যয়কে কেন্দ্র করে তৈরি করা হয়। শিশু শিক্ষা পরিকল্পনার মধ্যে ধরা থাকে উচ্চ বিদ্যালয় বা কলেজের টিউশন, হোস্টেল ও মেস ফি, বই ও স্টেশনারি ফি, রক্ষণাবেক্ষণ এবং শিক্ষায় প্রয়োজনীয় ইলেকট্রনিক্স সরঞ্জামের খরচ।
ভবিষ্যতের জন্য লক্ষ্য স্থির করা
সাধারণত, সন্তানের ১৭ বা ১৮ বছর বা কলেজে শিক্ষার বয়স হলে শিশু পরিকল্পনাগুলির সুবিধা পাওয়া যায়। সব শিশু ভবিষ্যতে উচ্চ শিক্ষা বেছে না-ও নিতে পারে। আয়ের স্থিতিশীল উৎসের জন্য কারও অন্য পরিকল্পনা ও উদ্যোগ থাকতে পারে। তাই কোনও শিশু যদি ভবিষ্যতে উচ্চ শিক্ষা বেছে না-ও নেয়, শিশু শিক্ষা পরিকল্পনা থেকে পাওয়া রিটার্ন সে কাজে লাগাতে পারে।
কোন সময়ে শিশু বিমায় নিয়োগ করবেন?
যে কোনও বিনিয়োগ বাড়াতে সময় লাগে। আপনি যত বেশি সময় ধরে বিনিয়োগ করতে পারবেন, তত বেশি লাভ করতে পারবেন। সুতরাং, আপনার সন্তানের শিক্ষায় বিনিয়োগ শুরু করার সর্বোত্তম সময় হল তাদের জন্মের সঙ্গে সঙ্গেই। আপনার সন্তানের স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর শিক্ষার সময়ে বেশির ভাগ আর্থিক সহায়তার প্রয়োজন হবে। সুতরাং, সন্তানের বয়স ১৮ বছর হওয়ার আগেই তার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ সঞ্চয় করে রাখতে হবে।
শিশু বিমা থেকে সর্বাধিক সুবিধা পেতে আপনাকে তাড়াতাড়ি বিনিয়োগ করতে হবে। এতে আপনার দীর্ঘমেয়াদী বিমা পরিকল্পনা করতে সুবিধা হবে। দীর্ঘমেয়াদি বিমা আপনার প্রিমিয়ামও কমিয়ে দেবে। তবে সব সময়ে এমন বিমা করতে হবে, যা আপনার প্রয়োজন এবং চাহিদার উপযুক্ত।
‘টাকা টক্’-এর প্রেজ়েন্টিং পার্টনার ‘বন্ধন মিউচুয়াল ফান্ড’।
এই প্রতিবেদনটি ‘টাকা টক্’ ফিচারের অংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy