প্রতীকী ছবি
প্রত্যেক মানুষের জন্যই স্বাস্থ্যবিমা এখন প্রায় অপরিহার্য। রাতবিরেতে হঠাৎ করে হাসপাতালে ভর্তি হওয়াই হোক, বা কোনও অস্ত্রোপচারের প্রয়োজনে হাসপাতালে চিকিৎসা করানো– সব ক্ষেত্রেই স্বাস্থ্যবিমা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ।
পাশাপাশি রয়েছে ওষুধপত্রের বিশাল খরচ, চিকিৎসকের পারিশ্রমিক, তাঁদের লেখা পরীক্ষা নিরীক্ষা। সব মিলিয়েই পকেটকে বিশাল এককালীন খরচ থেকে বাঁচাতে স্বাস্থ্যবিমা করানো উচিত। তবে যে কোনও বিমা শুধু কিনে রাখলেই চলবে না। আগে যাচাই করে নিন আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিমা করছেন কি না।
স্বাস্থ্যবিমা হতে পারে দুই ভাবে– হয় ক্যাশলেস পদ্ধতি বা রিইমবার্সমেন্ট পদ্ধতিতে। প্রত্যেকের নিজস্ব প্রক্রিয়া রয়েছে, যেমন-
১। রিইমবার্সমেন্ট পদ্ধতি-
এই ধরনের বিমা সব থেকে বেশি কাজে আসে হঠাৎ করে হাসপাতালে ভর্তি হতে হলে। এই রকম সময়ে সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল বা নার্সিংহোম আপনার বিমা সংস্থার নেটওয়ার্কের অধীনে না-ও হতে পারে। তখন চিকিৎসার জন্য যা কিছু খরচ হয়েছে, যেমন হাসপাতালের বেড, ওষুধ,পথ্য, চিকিৎসকের দেওয়া পরীক্ষা নিরীক্ষা ইত্যাদি সব কিছুর যাবতীয় নথি ও তথ্য একসঙ্গে করে আপনি আর্জি জানাতে পারেন বিমার কভারেজের জন্য। সব দরকারি কাগজপত্র খতিয়ে দেখে বিমা সংস্থা আপনার বিমার টাকা পাঠিয়ে দেয়।
এ ক্ষেত্রে মাথায় রাখতে হয় যে,
প্রথমত, হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সময় থেকে ছাড়া পাওয়ার পরের যাবতীয় ওষুধ কেনা, পরীক্ষা– সব কিছুই ঠিকঠাক নথি জমা করতে পারলে টাকা ফেরত পাওয়া যায় এই পদ্ধতিতে।
দ্বিতীয়ত, যদি পরিকল্পনা মাফিক হাসপাতালে কোনও বিশেষ চিকিৎসার জন্য ভর্তি হতে হয়, তা হলে ভর্তি হওয়ার পরে ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টা হাসপাতালে থাকতে বিমা সংস্থকে তা জানান দিতে হবে। তবেই টাকার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
২। ক্যাশলেস পদ্ধতি-
বিমা সংস্থার নেটওয়ার্কে বেশ কিছু হাসপাতাল বা নার্সিংহোম নথিভুক্ত করা থাকে। এই রকম কোনও হাসপাতালে যদি আপনি চিকিৎসার জন্য ভর্তি হন, তা হলে চিকিৎসা বাবদ কোনও নগদ টাকাই আপনাকে খরচ করতে হয় না। আনুষঙ্গিক নন-মেডিক্যাল কিছু নগদ বাদ দিলে বাকি প্রায় পুরোটাই এই পদ্ধতিতে ফেরত পাওয়া যায়।
তবে এ ক্ষেত্রেও মাথায় রাখতে হয় যে,
প্রথমত, নানা হাসপাতালে ক্যাশলেস ক্লেম বা নগদহীন চিকিৎসার দাবি নানা রকম নিয়মের মধ্যে দিয়ে হয়। কোন হাসপাতালের কী রকম নিয়ম, তা আগে ভাগেই জেনে নিন, পরে না হলে অসুবিধায় পড়তে পারেন।
দ্বিতীয়ত, হাসপাতালে ভর্তির সঙ্গে সঙ্গে কেওয়াইসি পলিসি কপি, চিকিৎসকের লেখা প্রেসক্রিপশন ইত্যাদি জমা করতে হয়। তবেই ক্যাশলেসের সুবিধা পাওয়া যায়।
তৃতীয়ত, পলিসি করার আগেই জেনে নিন পলিসির মধ্যে কোনও কো-পে ক্লজ বা শর্ত রয়েছে কি না। এতে সাধারণত লেখা থাকে যে সংস্থা আপনার চিকিৎসা বাবদ একটি নির্দিষ্ট অংশ মাত্র দেবে। খরচের বাকি অংশ আপনাকে নিজে থেকেই দিতে হবে।
চতুর্থত, ভাল করে খোঁজ নিয়ে নেবেন যে সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল এখনও আপনার সংস্থার ক্যাশলেস নেটওয়ার্কের অন্তর্ভুক্ত কি না।
পঞ্চমত, অনেক ক্ষেত্রে ক্লেমের নথি পাঠানোর পরে তার ইতিবাচক প্রত্যুত্তর আসতে একটু দেরি হয়। আর জটিল রোগে আক্রান্ত বা আশঙ্কাজনক রোগীকে হয়তো তখনই কোনও হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। সে ক্ষেত্রে অপেক্ষা না করে কিছু নগদ টাকা দিয়ে ভর্তি করিয়ে নিন। ঘাবড়ে যাবেন না। পরে সেই টাকাও ফেরত পাওয়া যায়।
ষষ্ঠত, কোনও রকম বাড়তি খরচ হলে তার সংশ্লিষ্ট সব নথি ও তথ্য গুছিয়ে রাখুন। প্রয়োজনে তার সবই আপনি ক্যাশলেসের জন্য আবেদনের ক্ষেত্রে জমা করতে পারেন।
‘টাকা টক্’-এর প্রেজ়েন্টিং পার্টনার ‘বন্ধন মিউচুয়াল ফান্ড’।
বিশেষজ্ঞদের কাছে সমাধান খুঁজতে সঞ্চয় নিয়ে আমাদের প্রশ্ন পাঠান — takatalk2023@abpdigital.in এই ঠিকানায় বা হোয়াটস অ্যাপ করুন এই নম্বরে — ৮৫৮৩৮৫৮৫৫২আপনার আয়, খরচ এবং সঞ্চয় জানাতে ভুলবেন না। পরিচয় গোপন রাখতে চাইলে অবশ্যই জানান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy