প্রতীকী চিত্র
ভারতীয় অর্থনীতির বেশির ভাগটাই হয় কৃষি নয় তো ক্ষুদ্র থেকে মাঝারি আয়তনের ব্যবসা। ছড়িয়ে ছিটিয়ে সাড়া দেশ জুড়ে এই ধরনের ব্যবসাই ধরে রাখে বহু মানুষের জীবিকা। ক্ষুদ্র ব্যবসাকে আয়তনে বাড়াতে কিংবা ধরে রাখতেও যে ন্যূনতম মূলধনের দরকার পড়ে, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই মালিকেরা তা জোগান দিতে পারেন না। এর ফলে মুখ থুবড়ে পড়ে বহু কর্মক্ষেত্র।
তাই ক্ষুদ্র ব্যবসাকে ইন্ধন জোগাতে সরকারি ও বেসরকারি নানা সংস্থা থেকে নানা রকম ব্যবসায়িক ঋণের ব্যবস্থা করা হয়। এই ঋণের কারণে বন্ধ হতেও হতেও বেঁচে যায় বহু ব্যবসা বা কল-কারখানা। কী কী সুবিধা পেতে পারেন আপনি ক্ষুদ্র ব্যবসায়িক ঋণের সঙ্গে? বিস্তারিত রইল এই প্রতিবেদনে।
সহজ পদ্ধতি-
হঠাৎ বিপদে পড়ে রাতারাতি ব্যবসায় অনেক টাকার দরকার হয়ে পড়লে অন্যান্য ঋণ নিতে গেলে তার অনেক জটিল পদ্ধতি ও প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। এতে অনেক ক্ষেত্রেই ঋণ পেতে দেরি হয়ে যায়, ব্যবসাকে বাঁচানো সম্ভব হয় না। বরং ক্ষুদ্র ব্যবসায়িক ঋণের পদ্ধতি অনেক সহজ। এখন অনেক বেসরকারি সংস্থা কিংবা সরকারি ব্যাঙ্ক, সমবায়িকা বা এনবিএফসি অথবা কোনও সরকারি প্রকল্পের ক্ষেত্রে ক্ষুদ্র ব্যবসায়িক ঋণ মেলা অনেক সোজা।
সহজে ফেরতের উপায়-
ক্ষুদ্র ব্যবসায়িক ঋণের সব থেকে বড় সুবিধা হল সহজে ফেরতের উপায়। এই ধরনের ঋণ শোধ করার বিভিন্ন রকমের উপায় থাকে। যেমন অল্প অল্প করে ইন্সটলমেন্টে বা দীর্ঘমেয়াদী বা স্বল্পমেয়াদী ইএমআই-এর মাধ্যমে ঋণ মিটিয়ে দিতে পারেন আপনি। শোধ করার শর্তে আপনি নিজের সুবিধা ও অসুবিধা বুঝেও নেওয়ার সুযোগ পাবেন এ ক্ষেত্রে। যার ফলে ব্যবসায় টাকা খাটানোর পরেও আপনি ঋণ শোধ করার জন্য বাড়তি টাকা হাতে পাবেন।
সহজে আবেদনের সুযোগ-
নাম নথিভুক্ত করানো বা আবেদন করার ক্ষেত্রেও ক্ষুদ্র ঋণের সুবিধা অনেক। ব্যাঙ্ক হোক কি এনবিএফসি, অনলাইন মাধ্যমে খুব সহজ প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে কোনও ব্যবসায়ী ঋণের জন্য আবেদন করতে পারেন। অল্প কিছু নথি ও তথ্য যাচাই করিয়ে নিলেই চটজলদি ক্ষুদ্র ঋণ পেতে আর সমস্যা হয় না। টাকাও এসে যায় খুব তাড়াতাড়ি।
নামমাত্র সুদের হার-
এমনিতে ব্যাঙ্ক বা সমবায়িকা, যে কোনও জায়গাতেই ঋণ শোধের সময় চড়া সুদ দিতে হয়। সেই ভয়েই অনেকে পিছিয়ে আসেন ব্যবসায়িক ঋণের থেকেও। তবে ক্ষুদ্র ব্যবসার ঋণে সুদের হার নির্ভর করে অনেক শর্তের উপর, যেমন- ঋণ গ্রহীতার শোধ করার ক্ষমতা, ঋণের পরিমাণ, বা আগের কোনও ঋণ থাকলে তা শোধ দেওয়ার নথিপত্র ইত্যাদি। সব কাগজপত্র ঠিকঠাক থাকলে অনেক কম সুদের হারে অনেক ব্যবসায়িক ঋণ খুব সহজে পাওয়া যায়।
চটজলদি টাকা পাওয়া-
ধরুন, আপনি নতুন কোনও ব্যবসা শুরু করছেন, তাই আপনার তৎক্ষণাৎ টাকা দরকার। এমন সময়ে যদি ব্যাঙ্কের জটিলতার দরুন আপনার টাকা পেতে অনেক সময় চলে যায়, আখেরে কোনওই লাভ হবে না। তবে ক্ষুদ্র ঋণের এই একটি সুবিধা, আপনি অনেক তাড়াতাড়ি টাকা পেয়ে যাবেন হাতে।
আয়করে ছাড়-
আয়কর আইন অনুযায়ী, ক্ষুদ্র ব্যবসায়িক ঋণ নেওয়া থাকলে আয়করে ছাড় পাওয়া যায়। যাঁরা এই ঋণ শোধ করার প্রক্রিয়ার মধ্যে থাকেন, তাঁরা আয়করে আইনত অনেক ছাড় পান।
বিশেষজ্ঞদের কাছে সমাধান খুঁজতে সঞ্চয় নিয়ে আমাদের প্রশ্ন পাঠান — takatalk2023@abpdigital.in এই ঠিকানায় বা হোয়াটস অ্যাপ করুন এই নম্বরে — ৮৫৮৩৮৫৮৫৫২আপনার আয়, খরচ এবং সঞ্চয় জানাতে ভুলবেন না। পরিচয় গোপন রাখতে চাইলে অবশ্যই জানান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy