বিনিয়োগের চাহিদা, সময়সীমা এবং ঝুঁকি নেওয়ার ক্ষমতার উপর বিনিয়োগের ধরন নির্ভর করে। তাই আপনার নির্দিষ্ট প্রয়োজন অনুযায়ী মিউচুয়াল ফান্ড স্কিম নির্ধারণ করা জরুরি। যখন মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগের কথা আসে, তখন সাধারণত দু’ধরণের তহবিলে বিনিয়োগ করা হয়। ঋণ তহবিল এবং ইক্যুইটি তহবিল। তবে বিনিয়োগের আগে কোন তহবিলে বিনিয়োগ করলে আপনি সুবিধা পাবেন, তা বুঝে নেওয়া জরুরি।
ইক্যুইটি এবং ঋণ তহবিল কাকে বলে?
ইক্যুইটি তহবিল হল ভারতের সবথেকে ব্যবহারকারী মিউচুয়াল ফান্ড। এই ফান্ডগুলি কোম্পানির শেয়ার এবং ডেরিভেটিভস-এর মতো সম্পর্কিত সিকিউরিটিগুলিতে বিনিয়োগ করে।
ঋণ তহবিল সাধারণত ঋণ এবং অর্থ বাজারে বিনিয়োগ করে। অর্থবাজারের উপকরণগুলির মধ্যে রয়েছে বাণিজ্যিক কাগজপত্র, আমানতের সার্টিফিকেট, ট্রেজ়ারি বিল ইত্যাদি। আবার ঋণ বাজারের উপকরণগুলির মধ্যে রয়েছে নন-কনভার্টিবল ডিবেঞ্চার, সরকারি বন্ড ইত্যাদি।
ইক্যুইটি এবং ঋণ তহবিলের মধ্যে প্রধান পার্থক্য হল ঝুঁকি। ঋণ তহবিলের তুলনায় ইক্যুইটির ঝুঁকি বেশি এবং দীর্ঘমেয়াদে ঋণ তহবিলের তুলনায় ইক্যুইটিতে বিনিয়োগের উপরে৪ রিটার্ন বেশি পাওয়া যায়।
বিনিয়োগকারীদের বুঝতে হবে মিউচুয়াল ফান্ডে ঝুঁকি এবং রিটার্ন একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কিত। অর্থাৎ উচ্চ রিটার্ন পেতে আপনাকে আরও বেশি ঝুঁকি নিতে হবে। আবার আপনি যত বেশি ঝুঁকি নেবেন, উচ্চ রিটার্ন পেতে আপনাকে বিনিয়োগও দীর্ঘমেয়াদি করতে হবে।
এই সম্পর্কে সবিস্তার জানতে আনন্দবাজার অনলাইন বন্ধন মিউচুয়াল ফান্ডের সহযোগিতায় আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি একটি ওয়েবিনারের আয়োজন করতে চলেছে।
ওয়েবিনারে মিউচুয়াল ফান্ডের বিনিয়োগ সংক্রান্ত খুঁটিনাটি-সহ আরও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনায় থাকবেন বন্ধন মিউচুয়াল ফান্ড বিভাগের প্রোডাক্ট হেড শীর্ষেন্দু বসু। ওয়েবিনারটির সঞ্চালকের ভূমিকায় থাকবেন অভিষেক কর। মিউচুয়াল ফান্ডের বিষয়ে আগ্রহ থাকলে আপনিও চোখ রাখুন আনন্দবাজার অনলাইনের ‘টাকা টক্’-এর পাতায়। ওয়েবিনার শুরু হবে ঠিক দুপুর ১টায়। যোগ দিতে পারেন আপনিও।
এই প্রতিবেদনটি ‘টাকা টক্’ ফিচারের অংশ।