Advertisement
০২ নভেম্বর ২০২৪
Presents

ব্যাঙ্ক এ বার সবার

অ্যাকাউন্ট খুলতে একগাদা নথিপত্র জমা করার ঝক্কি নেই। সঙ্গে ডেবিট কার্ড-বিমা-ঋণের সুবিধা। জন-ধন প্রকল্প নিয়ে আলোচনায় প্রজ্ঞানন্দ চৌধুরী।১৫ অগস্ট, ২০১৪। স্বাধীনতা দিবসের সকালে লালকেল্লার প্রাচীর থেকে এ বার একটি ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যা নিয়ে জোর চর্চা চলছে খবরের কাগজ-টিভির চ্যানেল-ক্যান্টিনের গুলতানি-রকের আড্ডায়। মোদী বলেছেন, দেশের সমস্ত মানুষকে দ্রুত ব্যাঙ্কিং পরিষেবার আওতায় আনতে চায় তাঁর সরকার।

শেষ আপডেট: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০১:৩১
Share: Save:

১৫ অগস্ট, ২০১৪।

স্বাধীনতা দিবসের সকালে লালকেল্লার প্রাচীর থেকে এ বার একটি ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যা নিয়ে জোর চর্চা চলছে খবরের কাগজ-টিভির চ্যানেল-ক্যান্টিনের গুলতানি-রকের আড্ডায়। মোদী বলেছেন, দেশের সমস্ত মানুষকে দ্রুত ব্যাঙ্কিং পরিষেবার আওতায় আনতে চায় তাঁর সরকার। চায়, শহুরে দিনমজুর থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত গ্রামের খেতমজুর প্রত্যেকের নিজস্ব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থাকুক। যেখানে কষ্টের রোজগার নিশ্চিন্তে জমা রাখতে পারবেন তিনি। উপরন্তু পাবেন কিছু বিশেষ সুযোগ-সুবিধাও। আর সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী জন-ধন প্রকল্প চালু করেছে কেন্দ্র।

নতুন নয়!

জেনে রাখা ভাল, একেবারে নতুন মোড়কে এই প্রকল্প শুরু করতে এনডিএ-সরকার তা ঢেলে সেজেছে ঠিকই। কিন্তু এর শিকড় গাঁথা রয়েছে পূর্বতন ইউপিএ জমানাতেই। দেশের আর্থিক উন্নয়নের জন্য সমস্ত মানুষকে যে ব্যাঙ্কিং পরিষেবার আওতায় আনা জরুরি, সে কথা বহু বার বলেছেন মনমোহন সরকারের অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম। যে-কারণে সকলের জন্য উন্নয়নের (ফিনান্সিয়াল ইনক্লুশন) কথা বলতে গেলেই প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলিতে ব্যাঙ্কের শাখা খোলার উপর জোর দিয়েছেন তিনি। জোর দিয়েছেন, অন্তত ব্যাঙ্কিং পরিষেবাটুকু সকলের দরজায় পৌঁছে দেওয়ার উপর। বলেছেন, প্রত্যেক পরিবারের জন্য অন্তত একটি করে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলার কথা।

ব্যাঙ্কিং বিশেষজ্ঞদের মতে, এনডিএ সরকারের জন-ধন প্রকল্প সেই পরিকল্পনারই আরও বিস্তৃত, ঢেলে সাজা রূপ। এখানে শুধু অ্যাকাউন্ট খোলা নয়, তাতে যেন নিয়মিত লেনদেন হয়, তা-ও নিশ্চিত করতে চাইছে কেন্দ্র। এই পরিষেবাকে শুধু গ্রামের মানুষের জন্য সীমাবদ্ধ না-রেখে তাকে পৌঁছে দিতে চাইছে দেশের সমস্ত মানুষের দরজায়। এমনকী যাঁদের আগে থেকে অ্যাকাউন্ট রয়েছে, তাঁরাও এই সুবিধার ভাগীদার হতে পারেন।

আদার ব্যবসায়ী

এই পর্যন্ত পড়ে মনে হতেই পারে যে, আমরা আদার ব্যবসায়ী, জাহাজের খোঁজে কাজ কী? দেশের আর্থিক উন্নয়নের সরকারি নক্শা বুঝে আমার লাভ কোথায়?

লাভ আছে। কারণ, এখন চাইলেই প্রায় প্রত্যেককে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলে দেওয়ার বন্দোবস্ত করছে এই প্রকল্প। ২৮ অগস্ট প্রকল্প চালু হওয়ার পর থেকে গত ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এর আওতায় খুলেছে ৩ কোটি ২ লক্ষ অ্যাকাউন্ট। সুতরাং বুঝতেই পারছেন যে, অনেকেই সুবিধা নিচ্ছেন এই ঘোষণার। তা হলে আপনিই বা পিছিয়ে থাকবেন কেন?

এখনও পর্যন্ত কোনও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট যদি আপনার না-থাকে, তাহলে জন-ধন প্রকল্পের আওতায় তা সহজেই খুলতে পারেন। এমনকী এই সূত্রে প্রাপ্য সুবিধা পেতে পারেন পুরনো অ্যাকাউন্টেও। তাই আসুন, আজ একটু সময় করে এই প্রকল্পের অ-আ-ক-খ শিখে রাখি।

প্রকল্প এক নজরে

ঘোষণা ২০১৪ সালের ১৫ অগস্ট।

চালু হয়েছে গত ২৮ অগস্ট থেকে।

এই প্রকল্পের আওতায় ব্যাঙ্কে প্রত্যেক পরিবারের অন্তত এক জনের জন্য সহজে অ্যাকাউন্ট খোলার সুবিধা।

নথিপত্রের ঝামেলা এ ক্ষেত্রে অনেক কম। প্রায় নেই কেওয়াইসি-র (নো ইওর কাস্টমার) ঝক্কি।

সঙ্গে ডেবিট কার্ড, দুর্ঘটনা বিমা, ছোট অঙ্কের ঋণ ইত্যাদির সুবিধা।

সুবিধার খতিয়ান

খোলা যাবে ভারতে চালু সমস্ত সরকারি, রাষ্ট্রায়ত্ত এবং দেশি-বিদেশি বেসরকারি ব্যাঙ্কে।

শুরুতে কোনও টাকা জমা না-দিয়েও অ্যাকাউন্ট খোলা যাবে। ব্যাঙ্কের ভাষায় যাকে আমরা বলি জিরো ব্যালান্স অ্যাকাউন্ট। এই সুবিধা ইউপিএ জমানার প্রকল্পেও ছিল। নতুন সরকার আরও কড়া ভাবে এই বিষয়টি নিশ্চিত করতে চাইছে, যাতে টাকার অভাবে কারও অ্যাকাউন্ট খোলা না-আটকায়।

সই করতে না-জানলেও সমস্যা নেই। চালু করা হয়েছে বায়োমেট্রিক ব্যবস্থা। যাতে ব্যাঙ্কে অন্তত আঙুলের ছাপ দিয়ে লেনদেন চালাতে পারেন গ্রাহক।

জমানোর জন্য টাকা রাখা যাবে ইচ্ছেমাফিক। চাইলে মাত্র ১০ টাকাও।

কেওয়াইসি বিধি অনেক শিথিল। অ্যাকাউন্ট খোলা যাবে একটিমাত্র সচিত্র পরিচয়পত্র দেখাতে পারলেই।

সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রক জানিয়েছে, এমনকী কোনও সরকারি পরিচয়পত্রই যদি না-থাকে, তবুও জন-ধন প্রকল্পের অ্যাকাউন্ট খোলা যাবে শুধু নিজের দু’কপি ছবি জমা দিয়ে। তবে সেই ছবির উপর সই থাকা জরুরি। কিন্তু মনে রাখবেন, এ ভাবে এই অ্যাকাউন্ট চালু থাকবে মাত্র ১২ মাস। তার মধ্যে গ্রাহককে কোনও পরিচয়পত্র পাওয়ার জন্য আবেদন করতেই হবে। সেই আবেদন করার প্রমাণ ব্যাঙ্কের কাছে জমা দিলে, একমাত্র তবেই ওই অ্যাকাউন্ট প্রাথমিক ১২ মাস সময়সীমার পরেও চালু থাকবে।

মিলবে পাসবই। এই সুবিধা কিন্তু আগে ছিল না।

রুপে (RuPay) ডেবিট কার্ড পাবেন প্রত্যেক অ্যাকাউন্টহোল্ডার। টাকা তুলতে এটি এটিএম কার্ড হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। তা ছাড়া, কোনও ভিসা বা মাস্টার কার্ডে সাধারণত যে- সব সুবিধা পাওয়া যায়, এই কার্ডেও মিলবে তার সবই।

এক লক্ষ টাকা কভারেজের দুর্ঘটনা বিমা করে দেওয়া হবে নিখরচায়। অর্থাত্‌, গ্রাহককে আলাদা কোনও প্রিমিয়াম গুনতে হবে না।

২০১৫ সালের ২৬ জানুয়ারির মধ্যে নতুন অ্যাকাউন্ট খুললে, পাওয়া যাবে ৩০ হাজার টাকা জীবনবিমার সুবিধা। এর প্রিমিয়াম জোগানোর জন্য ভারতীয় জীবনবিমা নিগমকে (এলআইসি) তাদের সামাজিক সুরক্ষা তহবিল (সোশ্যাল সিকিওরিটি ফান্ড) থেকে ৫০ কোটি টাকা সরিয়ে রাখতে বলেছে অর্থ মন্ত্রক। সুতরাং এর জন্যও প্রিমিয়াম গুনতে হবে না গ্রাহককে। তবে কী ভাবে সেই প্রিমিয়ামের অঙ্ক ঠিক করা হবে, সেই বিষয়গুলি এখনও স্পষ্ট নয়।

ছ’মাস অ্যাকাউন্ট ঠিকঠাক চালাতে পারলে চিকিত্‌সা-সহ বিভিন্ন জরুরি খরচ মেটাতে স্বল্প মেয়াদে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ পাবেন গ্রাহক। এর জন্য তাঁকে সুদ গুনতে হবে বছরে ১২%।

তবে ঋণ পাবেন প্রতি পরিবারের এক জনই। এ বিষয়ে মহিলাদেরই অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

অ্যাকাউন্ট খালি থাকলেও ৫,০০০ টাকা পর্যন্ত তোলা যাবে। কিন্তু তা শোধ দিতে হবে অল্প সময়ের মধ্যে।

অর্থ মন্ত্রকের দাবি, দেশের ৬ লক্ষ গ্রামকে চিহ্নিত করে সেখানে প্রতি এক-দেড় হাজার বাড়ির জন্য একটি নির্দিষ্ট জায়গা থেকে ব্যাঙ্কিং পরিষেবা দেওয়া হবে। সেটি ব্যাঙ্কের শাখা হতে পারে অথবা ওই এলাকার জন্য নিজস্ব প্রতিনিধি (ব্যাঙ্ক-মিত্র) নিয়োগ করতে পারে ব্যাঙ্কগুলি। সুতরাং পথ যা-ই হোক, আক্ষরিক অর্থেই ব্যাঙ্ক পৌঁছে যাচ্ছে আপনার দরজায়।

খোলার শর্ত

অ্যাকাউন্ট খুলতে ইচ্ছুক ব্যক্তিকে ভারতীয় নাগরিক হতে হবে।

বয়স হতে হবে অন্তত ১০ বছর।

তবে যাঁদের আর্থিক সামর্থ্য রয়েছে, তাঁরা যেন অকারণে জিরো ব্যালান্স অ্যাকাউন্টের সুবিধা না-নেন, তা-ও নিশ্চিত করতে চেয়েছে কেন্দ্র। যেমন—

(১) জন-ধন প্রকল্পে খোলা অ্যাকাউন্টে চেকবই দেওয়া হবে না।

(২) কখনও ৫০ হাজার টাকা ছাড়াতে পারবে না ব্যালান্স।

(৩) সারা বছরে সেভিংস, রেকারিং, স্থায়ী আমানত-সহ সমস্ত রকম খাত মিলিয়েও মোট জমা ছাড়াতে পারবে না ১ লক্ষ টাকা।

সুতরাং শুধু আগে উল্লেখ করা সুবিধাগুলি পেতে পুরনো অ্যাকাউন্টকে জন-ধন প্রকল্পের আওতায় আনার আগে দু’বার ভাবুন। দেখুন, আপনার অ্যাকাউন্টের লেনদেন উপরের শর্তগুলির মধ্যে থাকে কি না।

অ্যাকাউন্ট খুলতে

জন-ধন প্রকল্পে অ্যাকাউন্ট খুলতে আবেদনপত্র পেতে পারেন: www.financialservices.gov.in

সমস্যা হলে?

এ রাজ্যে কোনও ব্যাঙ্ক জন-ধন প্রকল্পে অ্যাকাউন্ট খুলতে না-চাইলে কিংবা প্রাপ্য সুবিধা দিতে অস্বীকার করলে, অবশ্যই নিজের অভিযোগ জানান। অ্যাকাউন্ট খুলতে গিয়ে যে- কোনও রকম অসুবিধার মুখে পড়লেও, তা জানাতে পারেন নীচের ই-মেল বা ফোন নম্বরে:

• টোল ফ্রি নম্বর ১৮০০-৩৪৫-৩৩৪৩

• ই-মেল: pmjdyslbcwb@unitedbank.co.in

খুলবেন কী ভাবে?

সরাসরি ব্যাঙ্কের শাখায় গিয়ে অ্যাকাউন্ট খোলা যাবে। এ ছাড়া, প্রতি শনিবার এ জন্য বিশেষ শিবিরের আয়োজন করছে বিভিন্ন ব্যাঙ্ক। সময় সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৮টা। ফলে সেখান থেকে তা খোলা যাবে। তা ছাড়া, গ্রামে গ্রামে এখন এই কাজে নিযুক্ত রয়েছেন ব্যাঙ্কিং করেসপন্ডেন্টরা। অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন তাঁদের মারফতও।

কাগজপত্তর?

জন-ধন প্রকল্পের সব থেকে বড় সুবিধা সম্ভবত এখানেই। এমনিতে ব্যাঙ্কে প্রায় সমস্ত কাজে নথিপত্র জমা দেওয়া নিয়ে হ্যাপা পোহাতে হয় বিস্তর। তা সে অ্যাকাউন্ট খোলা হোক বা ধার নেওয়া। শুধু এই কারণে ব্যাঙ্কমুখো হতে চান না অনেকে। বিশেষত যাঁরা কাগজপত্তর চালাচালিতে তেমন দড় নন।

তাই সেই অসুবিধা কাটাতে কেওয়াইসি নিয়ে নিয়মকানুন এখানে অনেকটাই শিথিল করেছে কেন্দ্র। এই প্রকল্পে অ্যাকাউন্ট খোলা যাবে যে- কোনও একটি সরকারি সচিত্র পরিচয়পত্র (আধার কার্ড, ভোটার কার্ড ইত্যাদি) দেখিয়েই। জমা দেওয়া যাবে গ্রাম পঞ্চায়েত কিংবা পুরসভা থেকে নেওয়া পরিচয়পত্রও।

যদি আগেই থাকে?

যাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট আগে থেকেই রয়েছে, তাঁরাও জন-ধন প্রকল্পের সুবিধা নিতে পারেন। সে ক্ষেত্রে আর নতুন করে অ্যাকাউন্ট খোলার প্রয়োজন নেই। শুধু ব্যাঙ্কের শাখায় গিয়ে প্রকল্পে অন্তর্ভুক্তির জন্য আবেদন জানাতে হবে। সে ক্ষেত্রে রুপে ডেবিট কার্ড, দুর্ঘটনা বিমা-সহ সব সুবিধাই পাবেন তিনি।

জেনে রাখুন

এখানে কিছু কথা বলে রাখা ভাল—

যে কেউ চাইলে একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলতেই পারেন। কিন্তু জন-ধন প্রকল্পের সুবিধা পাওয়া যাবে একটিতেই। একাধিক অ্যাকাউন্টে নয়।

জন-ধন প্রকল্প চালুর সঙ্গে সঙ্গে সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা এবং সেখানে লেনদেন-সহ বিভিন্ন বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতেও পদক্ষেপ করছে কেন্দ্র। যেমন, প্রতিটি ব্লকে বাধ্যতামূলক ভাবে আর্থিক সাক্ষরতা (ফিনান্সিয়াল লিটারেসি) কেন্দ্র খোলার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। কোথায় কোথায় এই কেন্দ্র খোলা হবে, তা ঠিক করবে স্টেট লেভেল ব্যাঙ্কাসর্র্ কমটি (এসএলবিসি)। প্রতি ব্যাঙ্কের শাখাতেও এ ধরনের কেন্দ্র রাখতে হবে।

জন-ধন প্রকল্প সঠিক ভাবে রূপায়িত হচ্ছে কি না, তা দেখার দায়িত্ব বর্তেছে প্রতি রাজ্যের এসএলবিসি-র আহ্বায়ক ব্যাঙ্কের উপর। পশ্চিমবঙ্গে এই দায়িত্বে রয়েছে ইউনাইটেড ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া।

প্রধানমন্ত্রী জন-ধন প্রকল্প দু’টি পর্যায়ে চালুর পরিকল্পনা করেছে কেন্দ্র। এর মধ্যে প্রথম পর্যায়ের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে পুরোদমে। আর দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু হবে ২০১৫ সালে। প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা ২০১৮ সালে।

প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ে নতুন কিছু সুবিধা দেওয়ার পরিকল্পনা আছে কেন্দ্রের। যেমন, তখন ক্ষুদ্র বিমা (মাইক্রো ইনশিওরেন্স) ও ক্ষুদ্র পেনশন (মাইক্রো পেনশন) প্রকল্প চালু করা হতে পারে।

সুযোগ কাজে লাগান

দেশের প্রত্যন্ত প্রান্তেও ব্যাঙ্কিং পরিষেবা পৌঁছে দিতে জন-ধন প্রকল্প যত দ্রুত সম্ভব রূপায়িত করতে চায় কেন্দ্র। প্রধানমন্ত্রীর দাবি, এক বার জাতীয় পতাকা তোলা (১৫ অগস্ট, ২০১৪) থেকে আর এক বার তা উত্তোলনের (২৬ জানুয়ারি, ২০১৫) মধ্যের সময়টুকুতেই এই প্রকল্পের আওতায় অন্তত সাড়ে সাত কোটি নতুন অ্যাকাউন্ট খোলাবে তাঁর সরকার।

এই সুযোগের সদ্ব্যবহার করুন। যদি অ্যাকাউন্ট না-থাকে, তবে ব্যাঙ্কের দরজায় কড়া নাড়ুন। এমনকী অ্যাকাউন্ট থাকলেও চিন্তা করে দেখুন, জন-ধনের সুবিধা সেখানে আপনি চান কি না।

ছবি: পিটিআই।

অন্য বিষয়গুলি:

prime minister jan dhan project pragyananda choudhury
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE