১৯ ডিসেম্বর কানসাসের টোপিকায় তোলা বৃহস্পতি (নীচে) এবং শনির অবস্থান। ছবি: পিটিআই
মহাকাশে ঘটনাবহুল ডিসেম্বর। এ মাসেই দেখা গিয়েছে উল্কাপাত। তার পর সূর্যগ্রহণ। আর রাত পোহালেই আরও এক মহাজাগতিক অতিবিরল দৃশ্যের সাক্ষী হতে চলেছে বিশ্ব। বৃহস্পতি আর শনির যুগলবন্দি। সোমবার দুই গ্রহ এতই কাছে চলে আসবে যে, আবহাওয়া অনুকূল থাকলে খালি চোখেও তা বোঝা যাবে। প্রায় ৪০০ বছর পর এমন ঘটনা ঘটছে, যা একজন মানুষ জীবদ্দশায় এক বারই দেখতে পারেন। বিজ্ঞানীরা একে বলছেন ‘গ্রেট কনজাংশন’ বা ‘বিরাট যুগলবন্দি’। বলছেন তাই সোমসন্ধ্যায় চোখ থাকুক মহাকাশে।
শেষ বার হয়েছিল ১৬২৩ সালে। তখনও গ্যালিলিও জীবিত। টেলিস্কোপ আবিষ্কারের ১৩ বছর পরেই সেই ঘটনা ঘটেছিল। তবে সেটা ছিল জুলাই মাস, অর্থাৎ বর্ষাকাল। তার উপর তখন সূর্যও এই দুই গ্রহের খুব কাছে ছিল। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে মেঘলা আকাশ থাকায় ততটা স্পষ্ট হয়নি। সূর্য এত কাছে থাকায় খালি চোখে দেখা যায়নি। টেলিস্কোপের বয়স তখন মাত্র ১৩ বছর। হয়ত সেসময় হতাশ হতে হয়েছিল মহাকাশ বিজ্ঞানীদের।
সেই সব কারণে ৩৯৭ বছর পরের এই দুই গ্রহের যুগলবন্দি সব দিক থেকেই বিরল এবং এক অর্থে নজিরবিহীনও। এই প্রথম শীতকালে এত কাছে আসছে দুই গ্রহ। সোমবার আবার বছরের সবচেয়ে বড় দিন। তার উপর সৌরমণ্ডলের বৃহত্তম ও দ্বিতীয় বৃহত্তম গ্রহের এমন বিরল মেলবন্ধন। ফলে মহাকাশপ্রেমী থেকে আমজনতা, সবার মধ্যেই কৌতূহল তুঙ্গে।
আরও পড়ুন: করোনায় আক্রান্ত, গন্ধ পাচ্ছেন না, নিজেই পোস্ট দিয়ে জানালেন আবীর
আরও পড়ুন: বাংলার মানুষই দিদিকে হারাবে, ভূমিপুত্রই হবেন মুখ্যমন্ত্রী: অমিত
এই মহাজাগতিক ঘটনাকে ‘ক্রিসমাস স্টার ২০২০’ নাম দিয়েছে আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। সংস্থার বিজ্ঞানীদের মতে ‘‘দু’টি গ্রহ একে অন্যের থেকে এক ডিগ্রির ১০ ভাগের এক ভাগ কাছাকাছি থাকবে। তবে ৬০ বছর পর অর্থাৎ ২০৮০ সালে আবার এত কাছে আসবে দুই গ্রহ।’’ তাঁরা জানিয়েছেন, ৮০০ বছর আগে এই দুই গ্রহ এক সরলরেখায় এলেও শেষ বার এত কাছে এসেছিল ১৬২৩ সালে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy