কালই ঘোষণা করতে পারে ইসরো। —ফাইল চিত্র।
আগামী রবিবার, ২১ জুলাই, গভীর রাতে চন্দ্রযান-২-এর উৎক্ষেপণ হবে। অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধওয়ন মহাকাশ কেন্দ্রের দ্বিতীয় লঞ্চপ্যাড থেকে উৎক্ষেপণ করা হবে চন্দ্রযান-২। বুধবার ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো সূত্রে এমনই তথ্য সামনে এসেছে। আরও জানা গিয়েছে, গত ১৫ জুলাই উৎক্ষেপণের আগে রকেটে জ্বালানি ভরতে গিয়ে যে সমস্যা দেখা দিয়েছিল, তা পুরোপুরি মিটে গিয়েছে।
পৃথিবীর কক্ষপথ থেকে চাঁদের কক্ষপথে ঢুকতে গেলে পৃথিবী, মহাকাশ যান এবং চাঁদের কক্ষপথকে একই তলে থাকতে হয়। নইলে মহাকাশ যান চাঁদের নির্দিষ্ট গন্তব্যে না গিয়ে, অন্য জায়গায় গিয়ে পৌঁছয়। চাঁদের নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছতে পৃথিবীর কক্ষপথ থেকে কোনও মহাকাশ যান যেখানে ঢোকে, সেটাকেই চাঁদের লুনার ট্রান্সফার অরবিট (এলটিও) বলে। আগামী ৩১ জুলাই ওই এলটিও-তে ঢুকে যাবে ভারতের চন্দ্রযান-২।
তার ফলে পূর্ব নির্ধারিত ৬ সেপ্টেম্বরই চাঁদের মাটিতে ল্যান্ডার বিক্রম ও রোভার প্রজ্ঞান নামতে পারবে বলে আশা করছে ইসরো। তবে এ বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করেননি ইসরো কর্তৃপক্ষ। আগামিকাল চন্দ্রযান-২ উৎক্ষেপণের নতুন দিন ক্ষণের ঘোষণা হবে বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘ব্যর্থতা নয়, এটা সামলে নেওয়া’
আরও পড়ুন: চাঁদে মানুষের ৫০ বছর, কেমন ছিল নীল আর্মস্ট্রংয়ের জার্নি?
চাঁদের পিঠের বালিকণায় কোন কোন মৌল ও খনিজ পদার্থ মিশে রয়েছে, আর তা কী পরিমাণে রয়েছে, তা জানতেই চন্দ্রযান-২ পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসরো। সেই মৌল বা খনিজগুলি নিষ্কাশনের যোগ্য কি না, তা যাচাই করা হবে।
বিজ্ঞানীদের দাবি, দক্ষিণ মেরুর দিকেই চাঁদের অন্দরে এখনও বয়ে চলেছে জলের ধারা। উল্কাপাত বা অন্য কোনও মহাজাগতিক বস্তু আছড়ে পড়ায় সেখানে একটি বিশাল গর্ত (ক্রেটার) তৈরি হয়েছে। এর ফলে চাঁদের অন্দরে মৌল বা খনিজ বা জলের খোঁজতল্লাশের কাজটা সহজতর হয়ে উঠতে পারে বলে আশাবাদী তাঁরা।
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের YouTube Channel - এ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy