স্বামীর বাইক থেকে স্ত্রীকে অপহরণ করে গণধর্ষণ। ছবি প্রতীকী।
স্বামীর বাইক থেকে স্ত্রীকে অপহরণ করে গণধর্ষণ। তা নিয়ে থানায় অভিযোগ করতে গেলে অভিযোগ নেওয়ার বদলে ‘থার্ড ডিগ্রি’-র হুমকি পুলিশের। সম্প্রতি এরকমই এক ঘটনা ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের মৈনপুরি জেলায়। আর এই ঘটনা সামনে আসার পরই ফের প্রশ্নের মুখে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ভুমিকা।
মৈনপুরি জেলায় এই গণধর্ষণের এই ঘটনাটি ঘটেছিল গত ৫ জুলাই। সেদিন রাতে ৯১ নম্বর জাতীয় সড়ক দিয়ে স্বামীর বাইকে করে মৈনপুরি যাচ্ছিলেন ওই মহিলা। তাঁদের পথ আটকায় একটি গাড়ি। সেখান থেকে তিন জন দুষ্কৃতী নেমে এসে ওই মহিলার স্বামীর চোখে লঙ্কা গুঁড়ো ছিটিয়ে তাঁকে মারধর করে। তার পর ওই মহিলাকে অপহরণ করে গাড়িতে তুলে নেয়। তার পর গাড়ির ভিতর দুই দুষ্কৃতী তাঁকে গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগ করেছেন ওই মহিলা।
গণধর্ষণের পর ঘটনাস্থল থেকে কিছুটা দূরে ওই মহিলাকে ফেলে চলে যায় দুষ্কৃতীরা। ঘটনার পর সংজ্ঞা ফিরে এলে ওই মহিলার স্বামী পুলিশকে ফোন করে অভিযোগ জানান। কিন্তু অভিযোগ বিচওয়ান থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এলেও অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে। উল্টে ওই ব্যক্তিকেই মিথ্যা কেসে ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন ওই থানার পুলিশকর্মীরা। সে সময় পুলিশের হাতে তিনি নিগৃহীতও হন বলে জানিয়েছেন ওই ব্যক্তি।
ঘটনার এক দিন পর ওই মহিলা থানায় যান। এবং তাঁর উপর হওয়া অত্যাচারের কথা পুলিশকে বলেন। এ বার অভিযোগ গ্রহণ করতে বাধ্য হয় পুলিশ। এর পরই সামনে আসে ঘটনাটি। ঘটনার পর পরই পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। তার পরই এই থানার ইনচার্জ রাজেশ পাল সিংহ-সহ অন্য দুই অফিসারকে সাসপেন্ড করা হয়।
আরও পড়ুন: ‘সম্পত্তির জন্য বাড়ি থেকে উৎখাত করতে চাইছে ছেলে-বউমা!’ ফেসবুকে অভিযোগ বাবা-মায়ের
এই ঘটনা নিয়ে মৈনপুরি জেলার এসপি ওম প্রকাশ সিংহ বলেছেন, ‘‘ধর্ষণের অভিযোগ করে পুলিশে হাতে হেনস্থার জন্য তিন জন পুলিশ কর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। যদিও অভিযোগকারিণীর ধর্ষণের প্রমাণ মেডিক্যাল রিপোর্টে পাওয়া যায়নি। কিন্তু আমরা বিষয়টির তদন্ত চালাচ্ছি।’’
আরও পড়ুন: গরু পাচারের অভিযোগ, বেঁধে, কান ধরে বসিয়ে বেধড়ক মার ২৪ জনকে
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy