এনকাউন্টারের ভয়ে আত্মসমর্পণ দুষ্কৃতীর। ছবি টুইটার থেকে নেওয়া।
কাঠখোট্টা চেহারা। এক গাল পাকা দাড়ি। থানার সামনে এসে দাঁড়িয়ে রয়েছে সে। তার গলায় ঝুলছে একটি বোর্ড। সেখানে লেখা, ‘‘আমি ভুল কাজ করেছি। সম্ভল পুলিশের ভয়ে ভীত। আমি আমার সব দোষ স্বীকার করে নিচ্ছি। আত্মসমর্পণও করছি। দয়া করে আমাকে গুলি করে করবেন না।’’
রবিবার এই রকম ঘটনা ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের সম্ভলের নাখাসা থানাতে। নইম নামের ওই দুষ্কৃতী এ ভাবেই আত্মসমর্পণ করেছে পুলিশের কাছে। এই ঘটনার ছবি রবিবার নিজেদের টুইটার হ্যান্ডল থেকে শেয়ার করেছে সম্ভল পুলিশ। তার পর থেকে তা ঘুরছে সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে।
নাকাসা থানার স্টেশন হাউস অফিসার ধর্মপাল সিংহ জানিয়েছেন, নইমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, নইমকে খুঁজে দিতে পারলে ১৫ হাজার টাকার পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়েছিল পুলিশের তরফে। কিন্তু এনকাউন্টারের ভয়ে সে এ দিন সে নিজেই আত্মসমর্পণ করল। দেখুন সেই পোস্ট—
गैंगस्टर एक्ट में वांछित ₹15,000 के इनामी बदमाश ने आज दिनांक 27.09.2020 को थाना नखासा पर स्वयं चलकर गले में आत्मसमर्पण की तख्ती डालकर आत्मसमर्पण किया।@Uppolice @dgpup @CMOfficeUP @KPGBJP pic.twitter.com/1hbiEiH4Wb
— SAMBHAL POLICE (@sambhalpolice) September 27, 2020
সাম্প্রতিক অতীতে একাধিক এনকাউন্টারের ঘটনায় উঠে এসেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের নাম। অপরাধ করলে গুলি খেয়ে মরতে হবে। উত্তরপ্রদেশে ক্ষমতায় আসার দু’মাসের মাথায় এমন ঘোষণা করেছিলেন যোগী আদিত্যনাথ। তার পর থেকে ছ’হাজারেরও বেশি এনকাউন্টার করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। সেই এনকাউন্টারে আহত হয়েছেন আড়াই হাজারেরও বেশি। মৃত্যু হয়েছে প্রায় ১২৫ জনের।
আরও পড়ুন: কৃষক বিক্ষোভ দিল্লিতেও, পুড়ল ট্রাক্টর, পঞ্জাবে অনড় চাষিরা
এ বছর জুলাইয়ে গ্যাংস্টার বিকাশ দুবের এনকাউন্টার দেশ জুড়ে চর্চার বিষয় হয়েছিল। কানপুরের কাছে বিকরু গ্রামে বিকাশ দুবেকে ধরতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছিলেন আট পুলিশকর্মী। তার পর খোঁজ শুরু হয় বিকাশের। এই ঘটনার এক সপ্তাহের মধ্যে তার পাঁচ জন সঙ্গীকে এনকাউন্টারে খতম করে যোগী প্রশাসন। উজ্জয়িনীর মহাকাল মন্দিরে গ্রেফতার হওয়ার পর উত্তরপ্রদেশ আনা হচ্ছিল কুখ্যাত গ্যাংস্টার বিকাশকে। কিন্তু পথে আসার সময় গাড়ি দুর্ঘটনার পর বিকাশ পালানোর চেষ্টা করলে তাকে গুলি করা হয় বলে জানিয়েছিল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। এই ঘটনার পর সংবাদমাধ্যম ও বিরোধীদের প্রশ্নের মুখের পড়ত হয়েছিল যোগীর পুলিশকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy