চিকিৎসক কাফিল খানের বিরুদ্ধে এনএসএ ধারা দিল পুলিশ। —ফাইল চিত্র
উত্তরপ্রদেশের চিকিৎসক কাফিল খানের বিরুদ্ধে আনা হল ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট (এনএসএ)। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, গত বছর নাগরিকত্ব সংশোধনী পাশ হওয়ার পর আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে ওই আইন-বিরোধী মন্তব্য করেছিলেন তিনি। তার জেরে এই কড়া আইনে মামলা রুজু হওয়ায় প্রশ্ন তুলেছেন সংশ্লিষ্ট মহলের অনেকেই।
আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ঘটনায় কাফিল খান ক্যাম্পাসের শান্তিভঙ্গ করেছেন এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের চেষ্টা করেছেন বলে অভিযোগ এনে তাঁর বিরুদ্ধে গত ১৩ ডিসেম্বর এফআইআর দায়ের হয়। সেই এফআইআর-এর ভিত্তিতে মুম্বই বিমানবন্দর থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সেই মামলায় সোমবার জামিন পেয়েছেন তিনি। তবে মথুরা জেল থেকে এখনও ছাড়া পাননি।
অন্য দিকে কাফিল খানের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হওয়ার দু’দিন পর থেকেই আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন তীব্র হয়। গাড়ি-বাইক ভাঙচুর ও অগ্নি সংযোগের মতো ঘটনাও ঘটে। তার জেরেই পরে তাঁর বিরুদ্ধে এনএসএ-র ধারায় অভিযোগ আনা হয়। এনএসএ-র ধারায় চার্জ গঠন হওয়ায় আদৌ তিনি জেল থেকে ছাড়া পাবেন কিনা, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘পুলওয়ামায় লাভবান হল কে? তদন্তে কী বেরল?’ বিজেপিকে কটাক্ষ রাহুলের
আরও পড়ুন: আমরা কি সুপ্রিম কোর্ট বন্ধ করে দেব? বিচারপতিদের তোপের মুখে টেলিকম কর্তারা
২০১৭ সালে উত্তরপ্রদেশের গোরখপুরে সরকারি হাসপাতালে অক্সিজেন সঙ্কটে ৬০ শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় কাফিল খানকে প্রথমে সাসপেন্ড করা হয়। পরে তাঁকে গ্রেফতারও করা হয়। যদিও সংশ্লিষ্ট মহলের অনেকেই মনে করেন, ওই অক্সিজেন সঙ্কটের সময় হাসপাতালে পড়ে থেকে শিশুদের বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলেন তিনি। এমনকি, অন্যান্য হাসপাতাল থেকে অক্সিজেন জোগাড় করেও এনেছিলেন। না হলে আরও অনেকের মৃত্যু হতে পারত বলেও অনেকে মনে করেন। তবে গত বছরের সেপ্টেম্বরে উত্তরপ্রদেশ সরকারেরই একটি রিপোর্টে সব অভিযোগ থেকে মুক্তি পান তিনি। কিন্তু সিএএ পাশ হওয়ার পর নতুন করে মামলার কোপে পড়েন কাফিল খান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy