ছবি রয়টার্স।
অনেকেই বলছেন, এ তো বাঘের ঘরে হ্যাকার হানা!
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নিজস্ব ওয়েবসাইটের টুইটার হ্যান্ডল হ্যাক করা হল! সোমবার ভোরে ‘নরেন্দ্র মোদী আন্ডারস্কোর ইন’ নামের ওই টুইটার হ্যান্ডল হ্যাক হয়। পরে ওই অ্যাকাউন্ট থেকে টুইট করে কোভিডের মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল পিএম কেয়ার্স-এ বিটকয়েনের (ক্রিপটোকারেন্সি) মাধ্যমে চাঁদা দেওয়ার আবেদন জানানো হয়।
প্রধানমন্ত্রীর নিজের নামে এবং তাঁর দফতরেরও টুইটার হ্যান্ডল রয়েছে। তাতে অবশ্য হ্যাকারদের হাত পড়েনি। প্রধানমন্ত্রীর দফতরও এ নিয়ে মুখ খোলেনি। তবে টুইটার কর্তৃপক্ষ এই হ্যাকিং-এর কথা স্বীকার করে জানিয়েছে, ওই হ্যান্ডলটি উদ্ধার করে আবার সুরক্ষিত রাখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হয়েছে। তদন্তও চলছে।
এটি তাদেরই কাজ বলে ‘জন উইক’ নামে হ্যাকারদের একটি গোষ্ঠী দাবি করেছে। তবে তাদের দাবি, এর পিছনে কোনও অসৎ উদ্দেশ্য নেই। গত সপ্তাহে পেটিএম মল-এ হ্যাকিংয়ে তাদের নাম জড়িয়েছিল। সে ক্ষেত্রে তাদের কোনও হাত ছিল না জানাতেই এই হ্যাকিং। তবে হ্যাকারেরা জানিয়েছে, নরেন্দ্র মোদীর ওই ওয়েবসাইটেও নানা রকম ‘বাগ’ বা সমস্যা রয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘কোনও সোশ্যাল নেটওয়ার্ক বা সিস্টেমই ১০০ শতাংশ নিরাপদ নয়’
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অবশ্য প্রথম নন। জুলাইয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী জো বাইডেন, প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, কোটিপতি শিল্পপতি এলন মাস্ক, মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটসের টুইটার অ্যাকাউন্টও হ্যাক করা হয়েছে। এবং তার পর সেখান থেকে টুইট করে ৩০ মিনিটের মধ্যে বিটকয়েনে ১ হাজার ডলার পাঠিয়ে দ্বিগুণ অর্থ ফেরত পাওয়ার লোভনীয় প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। টুইটারের সিইও জ্যাক ডোর্সি নিজের অসহায়তা প্রকাশ করে জানিয়েছেন, তাঁরা কোথায় সমস্যা, তা বোঝার চেষ্টা করছেন।
আম আদমি পার্টি এই ঘটনায় রাজনৈতিক ফায়দা তোলার সুযোগ হাতছাড়া করেনি। অরবিন্দ কেজরীবালের দল তাদের টুইটার অ্যাকাউন্ট ‘হ্যাকড’ বলে ছবি টাঙিয়ে ফেলেছে। নেট-নাগরিকরা সেই ছবিতে ক্লিক করলে আপ জানিয়েছে, এটা আসলে দৃষ্টি আকর্ষণের কৌশল। তারা আসলে মোদী জমানায় বেকারত্ব, অর্থনীতির দুর্দশা ও কোভিড সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাইছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy