প্রতীকী ছবি
ট্রেনে রূপান্তরকামী মহিলার সঙ্গে অশালীন আচরণ। অভিযুক্তকে ধরে থানায় নিয়ে গেলেও এফআইআর নেওয়ার বদলে জুটল হেনস্থা। অভিযোগকারিণীর লিঙ্গ পরিচয়পত্র দেখতে চাওয়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছে জিআরপি-র বিরুদ্ধে। গত শুক্রবার মুম্বইয়ের এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরেই দেশ জুড়ে শোরগোল উঠেছে।
রূপান্তরকামী ওই মহিলার বয়ান অনুযায়ী, শুক্রবার নভি মুম্বই থেকে ট্রেনে উঠেছিলেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, দাদার স্টেশনে নামার সময়ে এক ব্যক্তি তাঁকে ‘অশালীন ভাবে স্পর্শ’ করেন। এর পরেই ক্ষিপ্ত হয়ে অভিযুক্তকে টেনে হিঁচড়ে মুম্বই সেন্ট্রাল জিআরপির কাছে নিয়ে যান তিনি। কিন্তু, সেখানে ‘অভাবনীয়’ পরিস্থিতির মুখে পড়তে হয় তাঁকে। তাঁকে সহযোগিতা করা তো দূর অস্ত বরং জিআরপি আগে রূপান্তরকামী ওই মহিলার লিঙ্গ পরিচয়পত্র দেখতে চায় বলে অভিযোগ। এমনকি মহিলা অফিসারদের ডেকে তাঁকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পাঠানোরও প্রস্তুতি নেওয়া হয়। কিন্তু, অভিযোগকারিণী তার প্রতিবাদ করেন। তিনি বলেন, ‘তাঁকে আঘাত করা হয়নি, বরং শ্লীলতাহানি করা হয়েছে।’ বিষয়টি সোশাল মিডিয়ায় জানান অভিযোগকারিণী। এর পরই জিআরপি-র ভূমিকা নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
শেষ পর্যন্ত জিআরপি-র কাছে লিঙ্গ পরিচয়পত্র দেখাতে হয় তাঁকে। তার দু’ঘণ্টা পর, ওই দিন রাতে ওই রূপান্তরকামী মহিলার অভিযোগ নেয় রেল পুলিশ। এর পর অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। জানা গিয়েছে ধৃতের নাম প্রকাশদেবেন্দ্র ভট্ট (৫০)। তাঁর বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি-সহ নানা ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারতীয় মুসলমানরা সবচেয়ে সুখী, দাবি মোহন ভাগবতের
আরও পড়ুন: ক্ষত নোটবন্দি, জিএসটি, আর্থিক বৃদ্ধির হার নামতে পারে ৬ শতাংশে, বলছে বিশ্বব্যাঙ্ক
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy