বুধবার সাকেত আদালতের বাইরে শরজিল ইমাম। ছবি: পিটিআই
মঙ্গলবারই গ্রেফতার হয়েছেন শাহিন বাগের ছাত্রনেতা শরজিল ইমাম। শিবসেনা তাদের মুখপত্র ‘সামনা’য় শরজিলের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় তৎপরতাকে প্রশংসা করল। স্বরাষ্টমন্ত্রী অমিত শাহর কাছে পত্রিকার তরফে আর্জি, ‘‘শরজিল ইমামের মতো পোকামাকড়কে দ্রুত খতম করুন।’’
শিবসেনার মুখপত্রের সম্পাদকীয়তে লেখা হয়েছে, ‘‘ শরজিল ভারত ভাঙার পক্ষে সওয়াল করছে। যে রাস্তা বন্ধের কথা বলেছে ও, সেখানেই ওর হাত কেটে ঝুলিয়ে রাখা উচিত। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে অনুরোধ, এই ধরনের কীটদের দ্রুত খতম করুন। একই সঙ্গে শরজিলের নামে রাজনীতি করাও বন্ধ করুন।’’
শিবসেনার বিবৃতি অনুযায়ী, দেশজুড়ে চলা শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের ক্ষতি করেছে শরজিলের বক্তব্য। শরজিলকে বিজেপির মতোই ‘অ্যন্টিন্যাশানল’-ই মনে করছে শিবসেনা। একই সঙ্গে তাদের অভিযোগ, এই ধরনের কার্যকলাপই ভোটের মুখে দিল্লিতে সুবিধে পাইয়ে দিল বিজেপিকে। কেন্দ্রীয় সরকারকে শিবসেনা সতর্ক করে বলছে, ভবিষ্যতে যেন আর কোনও শরজিল তৈরি না হয়, সে ব্যপারে সরকারের সচেতন থাকা উচিত।
আরও পড়ুন:সিএএ বিরোধী ভোটাভুটি পিছলো ইইউ পার্লামেন্টে, কূটনৈতিক সাফল্য দেখছে নয়াদিল্লি
আরও পড়ুন:সিএএ-বিরোধী বন্ধে গুলিবৃষ্টি, জলঙ্গিতে নিহত ২
দেশদ্রোহের মামলায় মঙ্গলবার গ্রেফতার হন শাহিন বাগ প্রতিবাদের অন্যতম প্রধান উদ্যোক্তা তথা জেএনইউ-এর গবেষক শরজিল ইমাম। বিহারের জহানাবাদের কাকো গ্রাম থেকে তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁকে দিল্লিতে এনে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়। জেরার মুখে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরতে থাকা ভিডিয়োটির সত্যতা স্বীকার করেছেন শরজিল। ভিডিয়োয় তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘‘অসমকে ভারত থেকে আলাদা করে দিতে হবে। একটি সরু অংশের মাধ্যমে উত্তর-পূর্ব ভারত এ দেশের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে জুড়ে রয়েছে। লাখ পাঁচেক মুসলিম ঘাঁটি গেড়ে বসে পড়লেই, উত্তর-পূর্বকে ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া সম্ভব হবে। আর তা হলেই হুঁশ ফিরবে নরেন্দ্র মোদী সরকারের।’’
শরজিলের দাবি, গোটা বক্তব্যের একটা অংশ তুলে নেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy