থমথমে: সুনসান শিলংয়ের রাস্তায় সেনাদের টহল। নিজস্ব চিত্র।
শিলংয়ের পরিস্থিতি আজও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। কার্ফু অগ্রাহ্য করে গত রাতে ও আজও বিক্ষিপ্ত ভাবে হিংসার ঘটনা ঘটেছে। সেনা সতর্কই ছিল। কাল রাত থেকেই শহরে সেনা নামানো হয়েছে। আজ বাড়ানো হয়েছে সেনা টহল। বাড়ানো হয়েছে কেন্দ্রীয় আধা-সেনাও।
গত রাতে মাওলাই সেতুর কাছে সিআরপি শিবিরে হামলা চালায় উত্তেজিত জনতা। প্রায় দু’ঘণ্টার চেষ্টায় পরিস্থিতি আয়ত্তে আসে। আজ বিকেল চারটে থেকে কার্ফু বলবৎ হলেও বিক্ষোভকারীরা ব্যারিকেড ভেঙে সচিবালয়ে ঢোকার চেষ্টা করে। আরও কয়েকটি স্থানে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ হয়েছে। এর ফলে কার্ফু আর শুধু শিলঙে নয়, গোটা পূর্ব খাসি হিল জেলাতেই বলবৎ করা হয়েছে। কার্ফুয়ের মধ্যেই আজ খাসি মহিলারা শিলংয়ে মিছিল বের করে।
এই পরিস্থিতিতে রাত থেকে ব্যাপক ধরপাকড় শুরু হতে পারে। সরকারি সূত্রে খবর, গোটা ঘটনার পিছনে একাধিক খাসি নেতা ও এক প্রাক্তন মন্ত্রীর হাত রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তাদের চিহ্নিত করা হয়েছে। উত্তেজনা ছড়াতে পশ্চিম খাসি হিল বা বাইরে থেকে প্রচুর লোক আনা হয়েছে বলে সরকারি সূত্রের অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য শহরে যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলি।
আরও পড়ুন: অশান্ত কাশ্মীরে ফের অভিযানের ভাবনা
খাসি ছাত্র সংগঠনের অবশ্য দাবি, এই ঘটনা জনতার স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন। সংগঠনের সভাপতি লামবক মার্নগার বলেন, ‘‘জনতা দীর্ঘদিন থেকে বহিরাগতদের সরানোর দাবি জানাচ্ছিল। সরকারের সদিচ্ছার অভাবে তা হয়নি। স্থানীয় মানুষ তাই আন্দোলনের রাস্তা নিয়েছে।’’
আক্রান্ত শিখদের অবস্থা সরেজমিনে দেখতে আজ পঞ্জাবের মন্ত্রী সুখজিন্দর সিংহ রণধাওয়ার নেতৃত্বে পঞ্জাব সরকারের চার সদস্যের প্রতিনিধি দল শিলংয়ে এসেছেন। পাঞ্জাবি পরিবারগুলির বহু সদস্যকে সেনা শিবিরে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। এ দিকে, শিলং থেকে দিল্লি ফিরে অকালি দলের প্রতিনিধিরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে অবিলম্বে ‘কমিউনাল ভায়োলেন্স বিল’ পাশ করার আর্জি জানিয়েছেন। দিল্লিতে তাঁরা বলেন, ‘‘দেশের কোনও স্থানে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা না দিলে তারা বরাবরই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগবেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy