নীতি আয়োগ, গ্রেটার মুম্বই পুর কর্পোরেশন ও টাটা ইনস্টিটিউট অব ফান্ডামেন্টাল রিসার্চ যৌথ ভাবে এই সেরোলজিক্যাল সমীক্ষা চালিয়েছিল। ছবি—পিটিআই।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া নিয়ে মুম্বই পুর এলাকায় সম্প্রতি করা হয়েছিল একটি সমীক্ষা। প্রায় সাত হাজার মানুষের উপর চালানো এই সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, মুম্বইয়ের বাসিন্দাদের ছয় ভাগের এক ভাগ বা প্রায় ১৬ শতাংশ বাসিন্দা আক্রান্ত হয়েছেন কোভিডে। সমীক্ষা বলছে, দেশের বাণিজ্য রাজধানীর বস্তিতে বসবাসকারী প্রায় ৫৭ শতাংশই সংক্রমিত হয়েছেন করোনাতে।
নীতি আয়োগ, গ্রেটার মুম্বই পুর কর্পোরেশন ও টাটা ইনস্টিটিউট অব ফান্ডামেন্টাল রিসার্চ যৌথ ভাবে এই সেরোলজিক্যাল সমীক্ষা চালিয়েছিল। সমীক্ষার জন্য এই মাসের প্রথম দু’সপ্তাহ ধরে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। মুম্বই পুর এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে স্বেচ্ছাসেবীরা সংগ্রহ করেছিলেন সেখানকার বাসিন্দাদের রক্তের নমুনা।
সেরোলজিক্যাল সমীক্ষায় রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে চিকিৎসকরা রক্তে অ্যান্টিবডির উপস্থিতি পরীক্ষা করেন। কেউ কোনও রোগে আক্রান্ত হলে তাঁর শরীরে ওই রোগের অ্যান্টিবডি তৈরি হয়। অর্থাৎ সংশ্লিষ্ট অ্যান্টিবডির উপস্থিতি অতীতে ওই রোগে আক্রান্ত হওয়া বোঝায়। এই ধরনের সমীক্ষার মাধ্যমে কত জন আক্রান্ত হয়েছেন তাঁর পাশাপাশি, কোনও গোষ্ঠীর মানুষ কতটা হার্ড ইমিউনিটির দিকে এগিয়েছেন তাও বোঝা যায়।
এই সমীক্ষা দেখিয়েছে, অ্যান্টিবডির উপস্থিতি মহিলাদের মধ্যে কিছুটা হলেও বেশি। পাশাপাশি আক্রান্ত হওয়া একটি বিশাল অংশের রোগের কোনও লক্ষণ ছিল না বলেও জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: টেস্ট বেশি, সংক্রমণের হার কম, দেশের করোনা চিত্রে স্বস্তির ইঙ্গিত?
ইতিমধ্যেই মুম্বই শহরে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এক লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছে। প্রায় ছ’হাজার জন প্রাণও হারিয়েছেন এই রোগের কবলে। মঙ্গলবার ৭১৭ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন সেখানে। এই সংখ্যা গত দু’মাসের নিরিখে সর্বনিম্ন। যার জেরে সেখানে সেই শহরে মোট আক্রান্ত হলেন এক লক্ষ ১০ হাজার ৮৪৬ জন।
আরও পড়ুন: কী ভাবে কাজ করবে কেন্দ্রীয় সংস্থার টিকা? গবেষকদের জবাব...
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy