বিচারপতি আর ভানুমতী। —ফাইল চিত্র।
নির্ভয়া-কাণ্ডে দণ্ডিতদের নিয়ে শুনানি চলাকালীন আদালত কক্ষেই অজ্ঞান হয়ে গেলেন বিচারপতি আর ভানুমতী। চার দোষীকে একে একে ফাঁসিতে ঝোলানো নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। শুক্রবার তা নিয়ে শুনানি চলাকালীনই জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন তিনি। তড়িঘড়ি তাঁকে নিজের চেম্বারে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক শুশ্রূষার পর জ্ঞান ফেরে তাঁর। তার পর হুইল চেয়ারে বসিয়ে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে।
আইন অনুযায়ী, একই অপরাধে দণ্ডিতদের ফাঁসি এক সঙ্গে কার্যকর করতে হয়। কিন্তু নির্ভয়া কাণ্ডে দণ্ডিতরা আলাদা আলাদা করে নানা ভাবে আইনি সংস্থান খুঁজে ফাঁসির প্রক্রিয়ায় দেরি করছে। তাই চার জনকে আলাদা আলাদা ভাবে ফাঁসি দিতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এ দিন বিচারপতি ভানুমতী নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চে কেন্দ্রের সেই আবেদনের শুনানি চলছিল। তখনই বিপত্তি বাধে। আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি ফের এই আবেদনের শুনানি হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে আদালত।
এ দিন সুপ্রিম কোর্ট থেকে খালি হাতে ফিরতে হয়েছে নির্ভয়া কাণ্ডে দণ্ডিত বিনয় শর্মাকে। প্রাণভিক্ষার আর্জি খারিজ হয়ে যাওয়ায়, রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল সে। আদালতে বিনয় জানিয়েছিল, জেলের মধ্যে নিদারুণ অত্যাচারে তার মানসিক স্থিতিশীলতা নষ্ট হয়েছে। প্রাণভিক্ষার আর্জি খারিজের সময় তা বিবেচনা করে দেখা হয়নি।
আরও পড়ুন: নির্ভয়া-কাণ্ড: সুপ্রিম কোর্টে বিনয়ের আর্জি খারিজ, সে একেবারে সুস্থ, জানিয়ে দিল আদালত
আরও পড়ুন: ওমর কেন বন্দি? কাশ্মীর প্রশাসনকে নোটিস সুপ্রিম কোর্টের
কিন্তু এ দিন তার সেই যুক্তি খারিজ করে দেয় শীর্ষ আদালত। আদালত সাফ জানিয়ে দেয়, সব কিছু দেখেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। ডাক্তারি রিপোর্টেও তার মধ্যে কোনওরকম অস্বাভাবিকতা ধরা পড়েনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy