অর্ধকুম্ভও প্রচার হচ্ছে মহাকুম্ভ বলে। ছ’বছর আগে অখিলেশ যাদবের জমানায় মহাকুম্ভে যা খরচ হয়নি, এ বারে যোগী আদিত্যনাথের আমলে অর্ধকুম্ভে বরাদ্দ তার দ্বিগুণেরও বেশি। সে বার কুম্ভে ছিল স্নান ঘিরে তোড়জোর, এ বারে স্নানের সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছে রাজনীতি। মেলা চত্বর জুড়ে নরেন্দ্র মোদীর বিরাট বিরাট কাট-আউট। যোগী রাজ্যে এ বারের কুম্ভস্নানকে তিনি করে তুলেছেন নিজের ‘ভোট-কুম্ভ’।
গত মাসেই কুম্ভের প্রস্তুতি দেখে এসেছেন মোদী। ফের সামনের সপ্তাহে প্রবাসী ভারতীয় ও বিদেশি রাষ্ট্রনায়কদের নিয়ে প্রয়াগরাজে যাওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রীর। লক্ষ্য একটাই, ভোটের মুখে কুম্ভকে সামনে রেখে গোটা দুনিয়ার নজর কাড়া আর হিন্দুত্বের হাওয়া তোলা। কিন্তু ভোটের আগে এই মহা-আয়োজনের হাওয়া মোদীকে একা পেতে দিতে চান না রাহুল গাঁধী। কংগ্রেস সূত্রের মতে, রাহুল নিজেও কুম্ভে যাবেন। এর আগে জওহরলাল নেহরু থেকে ইন্দিরা গাঁধী, সকলেই কুম্ভে সামিল হয়েছেন। রাহুলও সেই পথই ধরবেন।
রাহুলের কুম্ভ সফরের সূচি এখনও চূড়ান্ত হয়নি। দলের সূত্রের মতে, এখনও পর্যন্ত শাহি-স্নানের তিনটি তিথি নির্ধারিত হয়েছে। একটি হয়ে গেল আজ, মকর সংক্রান্তিতে। এর পর ৪ ফেব্রুয়ারি মৌনী অমাবস্যায় এবং তৃতীয়টি ১০ ফেব্রুয়ারি, বসন্ত পঞ্চমীর দিন। এ ছাড়াও পৌষ পূর্ণিমা, মাঘী পূর্ণিমা, মহা শিবরাত্রিতে স্নানেরও গুরুত্ব আছে। আপাতত ভাবনায় রয়েছে, বসন্ত পঞ্চমীর কাছাকাছি কোনও সময়ে রাহুল প্রয়াগরাজে যাবেন। কংগ্রেস ইতিমধ্যেই কুড়িটির মতো তাঁবু ভাড়া নিয়েছে কুম্ভ প্রাঙ্গণে।
উত্তরপ্রদেশের কংগ্রেসের এক নেতার মতে, ‘‘মোদী এ বারের কুম্ভকে আপাদমস্তক নিজের ভোট-প্রচারে ব্যবহার করতে চাইছেন। রামমন্দির করবেন না, এটা ঢাকা দিতে কুম্ভের মাধ্যমেই হিন্দুত্বের হাওয়া তুলছেন। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে মন্দিরে-মন্দিরে ঘুরে মোদীর সেই অস্ত্রও ভোঁতা করে দিয়েছেন রাহুল। গুজরাতের ভোট থেকেই সেটি স্পষ্ট হতে শুরু করেছে।’’ কংগ্রেস আজ দিনভর প্রচার করে, কী ভাবে জওহরলাল নেহরু নিজেই কুম্ভ স্নান নিয়ে তাঁর অভিজ্ঞতার কথা লিখে গিয়েছেন। ১৯৭৭ সালে ইন্দিরার কুম্ভের ছবিও প্রকাশ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: অর্ধেক দামে উন্নত রাফাল ফ্রান্সকে! খবর নিয়ে তরজা
স্নান-পর্ব আজ থেকে শুরু হলেও মোদী কুম্ভ নিয়ে পারদ চড়াতে শুরু করবেন আগামী সপ্তাহ থেকে। ২১ থেকে ২৩ জানুয়ারি নিজের নির্বাচনী কেন্দ্র বারাণসীতে এ বারের প্রবাসী ভারতীয় দিবসের আয়োজন করছেন তিনি। প্রবাসী ও বিদেশি রাষ্ট্রনায়কদের নিয়ে ২৪ জানুয়ারি কুম্ভে যাবেন। তার পর হাজার তিনেক প্রবাসীকে আনা হবে দিল্লিতে। ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসে যোগ দেওয়ানোর জন্য। বিজেপি সূত্রের মতে, প্রথমে ভাবনা ছিল, প্রজাতন্ত্র দিবসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিয়ে তাক লাগানোর। কিন্তু ট্রাম্প আসতে না পারায় এখন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামফোসাকে প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy