পি চিদম্বরম। — ফাইল চিত্র।
রাফাল চুক্তির নতুন তথ্য হাতে নিয়ে আক্রমণ তীব্র করল রাহুল গাঁধীর দল।
এক সংবাদপত্রের খবরের ভিত্তিতে পি চিদম্বরম অভিযোগ করেন, ১২৬টি রাফাল যুদ্ধবিমানে এ দেশের জন্য নির্দিষ্ট অস্ত্র যোগ করতে বায়ুসেনা ১৩০ কোটি ইউরো নির্ধারিত করেছিল ইউপিএ জমানায়। মোদী সরকার একই দাম দিয়েছে ৩৬টি বিমানের জন্য। ফলে বিমান-পিছু দাম বেশি পাচ্ছে ফ্রান্সের সংস্থা দাসো। ইউপিএ-র চুক্তিতে এই দাম তারা পেত সাড়ে দশ বছরে। এখন পাবে তিন বছরে। চিদম্বরমের দাবি, মোদী সরকারের তিন অফিসারের আপত্তি উপেক্ষা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মামলাকারী প্রশান্ত ভূষণের অভিযোগ ছিল, অনিল অম্বানীকে বরাত পাইয়ে দিতেই দাম বাড়ানো হয়েছে বিমানের। কংগ্রেসেরও মত, বিমান-পিছু ৪১ শতাংশ বেশি দাম (প্রায় ১৮৬ কোটি টাকা) দেওয়ার তথ্য সামনে এসেছে। তাতে ‘চৌকিদার’-এর চুরি ফের ধরা পড়ে গিয়েছে।
কংগ্রেসকে জবাব দিতে গিয়ে টুইটারে অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি লিখেছেন, ‘‘গোটাটাই ভুয়ো অঙ্ক। ২০০৭-এ অনেক বেশি দাম পড়ত ২০১৬-র চেয়ে। সিএজি সবই খতিয়ে দেখছে।’’ স্মৃতি ইরানি বলেছেন, ‘‘দেশহিতকে উপেক্ষা করে রাজনীতি করছেন কংগ্রেসের জামিনে-মুক্ত নেতারা।’’ ঘরোয়া মহলে বিজেপির অভিযোগ, রাহুল গাঁধী রাফালের প্রতিযোগী সংস্থা ইউরোফাইটারের হাতে তামাক খাচ্ছেন। অগুস্তা কাণ্ডে ক্রিশ্চিয়ান মিশেল মুখ খুললেই সব প্রকাশ্যে আসবে। কংগ্রেস পাল্টা বলছে, রাফাল চুক্তির সিদ্ধান্ত নেওয়ার পদ্ধতিতে জেটলি জড়িত। ফলে এ সব যুক্তি দেওয়াটা তাঁর দায়।
রাতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকও একটি নোট দিয়ে বলে, ভারত-নির্দিষ্ট অস্ত্রশস্ত্রের জন্য ইউপিএ জমানায় রাফালের যে দাম স্থির হয়েছিল, এনডিএ জমানার দাম তার থেকে কম। উপরন্তু সময়ের ফারাকে যে দাম বেড়েছে, সেটি হিসেবে ধরা হয়নি। তা ছাড়া, ইউপিএ জমানায় পাকাপাকি কোনও চুক্তি হয়নি! সমঝোতার দায়িত্বে থাকা অফিসারদের মত রেকর্ড করা হয়েছে। ইউরোফাইটার সস্তায় বিমান দিলেও ইউপিএ জমানাতেই নিয়ম ভাঙায় তাদের খারিজ করা হয়েছিল বলে কেন্দ্রের মত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy