Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
Narendra Modi

আজ বৈঠকে মোদী ও হাসিনা

বাংলাদেশের সঙ্গে গত এক বছরে সম্পর্কে যে শৈত্য তৈরি হয়েছিল, তা কাটাতেও একাত্তরের যুদ্ধজয়ের গৌরবকে ব্যবহার করা হবে।

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০২০ ০৪:৩৩
Share: Save:

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আগামিকাল ভিডিয়ো মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। তার আগে আজ বাংলাদেশের পঞ্চাশতম বিজয় দিবসে ভারতীয় সেনার পরাক্রমকে শ্রদ্ধা জানালেন মোদী। আজ সকালে দিল্লির ‘ন্যাশনাল ওয়ার মেমোরিয়াল’-এ একাত্তরের যুদ্ধজয়ের প্রতীক হিসাবে স্বর্ণ বিজয় মশাল জ্বালেন প্রধানমন্ত্রী। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহও সঙ্গে ছিলেন। স্থির হয়েছে যুদ্ধজয়ের প্রতীক হিসাবে এই মশালগুলি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নিয়ে যাওয়া হবে। একাত্তরের ওই যুদ্ধের পরমবীর চক্র ও মহাবীর চক্র প্রাপকদের গ্রামেও নিয়ে যাওয়া হবে এই মশাল।

রাজনৈতিক শিবিরের দাবি, জাতীয়তাবাদের যে হাওয়া বার বার তৈরি করেছে মোদী সরকার তথা বিজেপি নেতৃত্ব, পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধজয়ের এই বীরগাথাকেও সেই হাওয়াতেই ভাসানো হচ্ছে। বাংলাদেশের সঙ্গে গত এক বছরে সম্পর্কে যে শৈত্য তৈরি হয়েছিল, তা কাটাতেও একাত্তরের যুদ্ধজয়ের গৌরবকে ব্যবহার করা হবে। আজ অবশ্য বিষয়টি নিয়ে মোদীকে রাজনৈতিক খোঁচা দিয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধী। টুইট করে বলেছেন, ‘একাত্তর সালে পাকিস্তানকে হারিয়ে ভারতের ঐতিহাসিক বিজয়ের উৎসবে দেশবাসীকে শুভকামনা এবং সেনার শৌর্য্যকে প্রণাম জানাই। এটা সেই সময়ের কথা, যখন প্রতিবেশী দেশগুলি ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে ‘আয়রন লেডি’ হিসাবে মান্য করত। আমাদের দেশের সীমানা লঙ্ঘন করতে তারা ভয় পেত।’ কংগ্রেস সূত্রের মতে, এই টুইটের মাধ্যমে রাহুল এক দিকে বুঝিয়ে দিতে চাইলেন একাত্তরের গৌরবের কান্ডারি ইন্দিরা গাঁধী। বিজেপি অথবা আরএসএস-এর সেখানে কোনও ভুমিকা নেই। দ্বিতীয়ত, পূর্ব লাদাখে ভারত চিন সীমান্তে চিনা সেনার আগ্রাসন মোকাবিলা নিয়ে নাম না করে মোদীকে নিশানা করলেন ইন্দিরার নাতি।

সূত্রের খবর, আগামী বছর ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে ঢাকায় থাকবেন মোদী। কিছু দিন আগে বিদেশনীতি সংক্রান্ত এক আলোচনায় বিদেশসচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা জানিয়েছিলেন, করোনা পরিস্থিতিতে তৈরি হওয়া দূরত্ব ভারত-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্কে কিছু ভুল বোঝাবুঝি তৈরি করেছে। সম্পর্কের গুমোট ভাব কাটাতে করোনা আবহের মধ্যেও তিনি যান ঢাকায়। তার পরে পারস্পরিক আস্থা বাড়াতে ভিডিয়ো মাধ্যমে বসেছে ‘জয়েন্ট কনসাল্টেটেটিভ কমিশন’ (জেসিসি)-এর বৈঠক। আগামিকালের শীর্ষ বৈঠকে দু দেশের সম্পর্কের ‘সোনালি অধ্যায়’কে চাঙ্গা করা নিয়ে ফের কথা হবে। কূটনৈতিক সূত্রের বক্তব্য, ভারত এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে ভিডিয়ো বৈঠকটির পরে একাধিক সমঝোতা পত্র (মউ) সই হওয়ার কথা।

আরও পড়ুন: হিন্দুত্বের পথেই আছি, ফের মনে করালেন উদ্ধব

আরও পড়ুন: সন্তের আত্মাহুতি, শুনানি আদালতে

অন্য বিষয়গুলি:

Narendra Modi Sheikh Hasina Bangladesh
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy