রাজ্য জুড়ে বিক্ষোভ ও হরতালের জেরে মহারাষ্ট্রে দুধ সরবরাহে অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। দুগ্ধচাষিদের সংগঠন স্বাভিমানী শ্বেতকারী সংস্থা এ দিন ধর্মঘটের ডাক দেয়। ফলে বড় ডেয়ারিগুলির অধিকাংশই এ দিন চাষিদের থেকে দুধ সংগ্রহ করেনি।
মার্চ মাসে মহারাষ্ট্রে কৃষকদের যে দীর্ঘ পদযাত্রা হয়েছিল, দুগ্ধচাষিরাও তাতে শামিল ছিলেন। তিন মাসের মধ্যে সরকার প্রতিশ্রুতি রক্ষা না করলে আন্দোলনে নামার কথা তখনই বলা হয়েছিল। তার পরেও মার্চ থেকে মে-র মধ্যে রাজ্যে ৬৯৩ জন চাষি আত্মহত্যা করেছেন। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এ নিয়ে কেন্দ্র এবং মহারাষ্ট্র সরকারকে নোটিস পাঠিয়েছে। গত ক’দিন ধরেই দুগ্ধচাষিদের সংগঠন আন্দোলনে যাবে বলে হুমকি দিচ্ছিল। দুগ্ধচাষিরা লিটার প্রতি পাঁচ টাকা প্রত্যক্ষ ভর্তুকির দাবি করেছেন। মহারাষ্ট্রে তাঁদের কাছ থেকে দিনে প্রায় ১ কোটি ৪২ লক্ষ লিটার দুধ সংগ্রহ করে ডেয়ারি ফার্মগুলো।
এ দিন স্বাভিমানী শ্বেতকারী সংস্থা এবং তার নেতা এম পি রাজু শেট্টির ডাকে দুগ্ধচাষিরা মুম্বই ও পুণেতে দুধ সংগ্রহে বাধা দেন। মালেগাঁওতে পুড়িয়ে দেওয়া হয় একটি দুধের ট্রাক। একাধিক জায়গায় দুধের ট্যাঙ্কার খালি করে রাস্তায় দুধ ঢেলে দেওয়া হয়। কোলাপুরের গোকুল ডেয়ারি, সাংলি-র চিতালে ডেয়ারি এ দিন নিজেরাই দুধ তোলেনি। ফলটন-এর গোবিন্দ ডেয়ারিও তা-ই। তবে যাঁরা দুধ দিতে কারখানার গেটে এসেছিলেন, তাঁদের ফেরানো হয়নি বলে ডেয়ারি অফিসাররা জানিয়েছেন। মুম্বই অবধি কঠোর পুলিশ প্রহরায় সেই দুধ পাঠানো হয়েছে। ভাসাই আর ভিরারে আমুল-এর দুধ সংগ্রহ কেন্দ্রেও ধর্মঘটের প্রভাব পড়ে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, আমুল-এর সংগ্রহে টান পড়লে সাধারণ মানুষকে ভুগতে হবে অচিরেই। মুম্বইয়ে দিনে গড়ে ৫৫ লক্ষ দুধের পাউচ বিক্রি হয় আমুল-এর, তার পরেই গোকুল।
মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীস এই হরতাল কর্মসূচির নিন্দা করে বলেছেন, ‘‘আলাপ-আলোচনার দরজা সব সময় খোলা রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy