স্পিকারের নির্দেশে আয়ুষ মন্ত্রকের ‘কাঢ়া’ নামক পানীয় রাখা হচ্ছে ক্যান্টিনে। —প্রতীকী ছবি।
সাংসদদের খাদ্য তালিকা যাতে সুষম এবং স্বাস্থ্যকর থাকে সে দিকে এ বার নজর দিয়েছেন স্পিকার ওম বিড়লা। বদলে গিয়েছে হেঁশেলের মালিকানা। এত দিন ক্যান্টিনের দায়িত্বে ছিল নর্দার্ন রেলওয়ে। আজ থেকে দায়িত্ব দেওয়া হল ইন্ডিয়ান টুরিজম ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন (আইটিডিসি)-কে।
স্পিকারের নির্দেশে আয়ুষ মন্ত্রকের ‘কাঢ়া’ নামক পানীয় রাখা হচ্ছে ক্যান্টিনে। অশ্বগন্ধা, লবঙ্গ, এলাচ-সহ বিভিন্ন ভেষজ উপাদানে ভরপুর এই পানীয় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক ইতিমধ্যেই কোভিড আক্রান্তদের খেতে বলছে। আবহাওয়া বদলের সময় সর্দিকাশি এবং ঠান্ডা লাগার হাত থেকে রেহাই পেতেও এই দাওয়াই ‘অব্যর্থ’ বলেও দাবি মন্ত্রকের। সংসদের ক্যান্টিনে এটি এ বার থেকে পাওয়া যাবে ১১ টাকায়। পাশাপাশি, ৩২টি নতুন পদ খাদ্যতালিকায় সংযোজিত হবে বলে জানা গিয়েছে। রাখা হবে বিভিন্ন ধরনের চা, যাতে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। সেগুলিতে খাদ্যগুণ এবং স্বাদের ভারসাম্য বজায় রাখার কথা বলা হয়েছে।
প্রায় এক বছর আগেই সংসদের ক্যান্টিনের খাদ্যমান নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন স্পিকার। তাঁর বক্তব্য ছিল, খাবার যথেষ্ট স্বাস্থ্যকর নয়। ডালও যথেষ্ট পাতলা। শুধু স্পিকার বা তাঁর অফিসই নয়, বিভিন্ন সময়ে সাংসদের অনেকেরই অসন্তোষ দেখা গিয়েছে খাবারের মান নিয়ে। ইউপিএ জমানায় মাছের ঝোল পাওয়া যেত, যা তৃপ্তির সঙ্গে খেতেন মূলত দেশের পূর্বাঞ্চল ও কেরল থেকে আসা সাংসদ এবং অন্যরা। কিন্তু পরে তা বন্ধ হয়ে যায়। ডালে জলের পরিমাণ বাড়ার অভিযোগও ওঠে। আমিষ পদের সংখ্যা হ্রাস পায়। অতীতে ফিশ ফ্রাই এবং চিকেন কাটলেটের জন্য অপেক্ষা করতেন নেতা-মন্ত্রীরাও। প্রণব মুখোপাধ্যায়ের মতো সাবধানী খাদ্যরসিককেও দেখা যেত পরম তৃপ্তিতে কাটলেটে কামড় দিতে। খাবারের সেই গরিমা হারিয়েছে সংসদ, এমন মনে করেন অনেকেই। নতুন ক্যান্টিন ব্যবস্থায় তা ফেরার বিশেষ আশাও অবশ্য দেখছেন না তাঁরা।
আরও পড়ুন: জাতের অঙ্কেই নয়া মন্ত্রিসভা বিহারে, প্রাধান্য পিছড়ে বর্গের
আরও পড়ুন: বিহারের চার বারের বাম বিধায়ক এখনও থাকেন কাঁচা বাড়িতে
অতিমারির আগে অধিবেশন চলাকালীন দিনে প্রায় চার হাজার মানুষের সমাগম হত, যাঁরা সংসদে খেতেন। সংসদের মূল ভবন, অ্যানেক্সি ভবন এবং লাইব্রেরি ভবন মিলিয়ে কেটারিং ইউনিটের সংখ্যাও অনেক। জুলাই মাসে স্পিকার বৈঠক করেন পর্যটনমন্ত্রী প্রহ্লাদ পটেলের সঙ্গে। তার পরই স্থির হয়, আইটিডিসি-কে এই দায়িত্ব দেওয়া হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy