এক পেট মদ খেয়ে বিয়ে করতে এসেছিলেন। মদের ঘোরে কনের বদলে নিজের বন্ধুর গলায় মালা পরালেন বর। রেগেমেগে বিয়েই ভেঙে দিলেন পাত্রী। বেজার মুখে ফিরে যেতে হল বর এবং বরযাত্রীদের। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, উত্তরপ্রদেশের বরেলীতে ঘটনাটি ঘটেছে। সেই ঘটনার একটি ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে। ভাইরাল হয়েছে ভিডিয়োটি। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।
আরও পড়ুন:
প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত শনিবার পিলভিটের বারখেদা থেকে বরেলীতে বিয়ে করতে গিয়েছিলেন এক যুবক। বরেলীর কিলোদিয়াতে ওই বিয়ের আসর বসেছিল। কিন্তু পাত্রীর পরিবারের সদস্যেরা দেখেন, মত্ত অবস্থায় বিয়ে করতে এসেছেন বর। তাঁর বন্ধুরাও মত্ত। বরের ওই অবস্থা দেখে আপত্তি জানান কনের পরিবার। অনেক কথাবার্তার পর বিয়ে এগোয়। তবে মালাবদলের সময় বিপত্তি ঘটে। মদের ঘোরে কনের বদলে পাশে দাঁড়িয়ে থাকা বন্ধুর গলায় মালা পরিয়ে দেন বর। ধৈর্যের বাঁধ ভাঙে কনের। সঙ্গে সঙ্গে বিয়ের মঞ্চ ছাড়েন তিনি। পরিবারের সদস্যেরা অনেক বুঝিয়েও তাঁকে রাজি করাতে পারেননি। এর পর বর এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন কনের বাবা। পুলিশ এসে পাত্র এবং তাঁর বাবাকে জিজ্ঞাসাবাদও করে। তাঁদের বিরুদ্ধে যৌতুক নিয়ে হয়রানি এবং সম্মানহানির মামলা করা হয়েছে বলে খবর।
আরও পড়ুন:
‘ভারত সমাচার’ নামে এক হিন্দি সংবাদমাধ্যমের এক্স হ্যান্ডল থেকে ওই ঘটনার একটি ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়েছে সোমবার। ইতিমধ্যেই বহু মানুষ সেই ভিডিয়ো দেখেছেন। লাইক-কমেন্টের বন্যা বয়ে গিয়েছে। ভিডিয়ো দেখে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন নেটাগরিকদের একাংশ। এক নেটাগরিক লিখেছেন, ‘‘এ রকম সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য অনেক সাহস দরকার। এ রকম অসভ্য লোকের সঙ্গে বিয়ে না করে কনে একদম ঠিক করেছেন। কুর্নিশ জানাই।’’ অন্য এক জন লিখেছেন, ‘‘অসভ্যতার জন্য উচিত শিক্ষা পেয়েছে। বরপক্ষ বলে কি মাথা কিনে নিয়েছে নাকি? কনের বিয়েতে রাজি না হওয়ার সিদ্ধান্ত একদম সঠিক।’’