পুলিশের অনুমান মুখোশে মুখ ঢাকা এই মহিলা আক্রমণকারী কোমল শর্মাই। ফাইল চিত্র
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিয়োটি ঘুরছিল অনেকদিন ধরেই। সেই ভিডিয়ো খতিয়ে দেখে শনিবার দিল্লি পুলিশ তাঁর ছবি প্রকাশ করে। জানিয়ে দেয়, জেএনইউ হামলার ঘটনায় জড়িত ছিলেন কোমল শর্মা। অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের সদস্যা কোমল তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে চিঠি লিখলেন জাতীয় মহিলা কমিশনে। তাঁর দাবি, মুখোশে মুখ ঢাকা মেয়েটি তিনি নন।
সোমবারই জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের হামলার একটি ভিডিয়ো খতিয়ে দেখে পুলিশ চিহ্নিত করে কোমল শর্মাকে। অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের অক্ষত অবস্থি ও রাহুল শাহকে ডেকে পাঠানো হয় এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের স্টিং অপারেশনের ভিত্তিতে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগের বিরোধিতা করেই জাতীয় মহিলা কমিশনে গিয়েছেন দৌলতরাম কলেজের ছাত্রী কোমল। চিঠিতে তিনি লিখেছেন, ‘‘ভিডিওতে যাকে দেখা যাচ্ছে সে আমি নই। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ আনা হচ্ছে। উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে আমার মানহানি করা হয়েছে। আমার আত্মীয়বন্ধুরা ফোন করছেন প্রতিনিয়ত। আমার নাম সামনে আসায় উদ্বিগ্ন তাঁরা।’’
৫ জানুয়ারির হামলার ঘটনায় নাম জড়ানোর পর থেকেই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না কোমলকে। ভিডিওতে দেখা গিয়েছিল তার মতোই অবয়বের একজন চেক শার্ট ও নীল স্কার্ফ পরিহিতা বাকি হামলাকারীদের সঙ্গে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতর। তার খোঁজে নেমে বিভ্রান্তও হয় পুলিশ। শনিবার রাত পর্যন্ত ফোনও বন্ধ ছিল তাঁর। ১৩ জানুয়ারি দিল্লি পুলিশ জানিয়ে দেয়, খুব শিগগির তাঁকে প্রশ্ন করা হবে।
বিক্ষুব্ধ ছাত্রদের দাবি, পুলিশি জেরা এড়াতেই আপাতত মহিলা কমিশনের দ্বারস্থ কোমল। অন্য দিকে, অক্ষয় অবস্থি ও রাহুল শাহ প্রাথমিক ভাবে থানায় যেতে রাজি হলেও এখন তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। সোমবার জেএনইউ ছাত্রসংসদের সভাপতি ঐশী ঘোষ ও অন্য দুই সদস্য পঙ্কজ মিশ্র, ভাস্কর বিজয় মেচকে দিল্লি পুলিশের অপরাধ দমন শাখার অফিসাররা জেরা করেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy