শত্রুঘ্ন সিন্হা। ছবি: পিটিআই।
নরেন্দ্র মোদী যদি পটনা সাহিব থেকে নির্বাচনে লড়েন, তাঁর বিরুদ্ধে লড়তেও তিনি ইতস্তত করবেন না। বরং খুশিই হবেন। শনিবার এমনই হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ এবং বর্তমান কংগ্রেস নেতা শত্রুঘ্ন সিন্হা।
বিজেপি ছেড়ে সদ্য কংগ্রেস যোগ গিয়েছেন রাজনীতির ‘শটগান’ শত্রুঘ্ন। তাঁর প্রিয় কেন্দ্র পটনা সাহিব থেকে কংগ্রেসের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার টিকিটও পেয়ে গিয়েছেন। পটনা সাহিব থেকে দাঁড়ানোর পর থেকেই একটা গুঞ্জন শুরু হয়ে গিয়েছে, কোনও ভাবেই নাকি ওই কেন্দ্র থেকে জিততে পারবেন না শত্রুঘ্ন। কারণ ওই কেন্দ্রটি বিজেপির শক্ত ঘাঁটি।
চার দিকে যখন এই গুঞ্জন চলছে, তা থামাতেই আসরে নামেন ‘শটগান’। শনিবার ওই দাবিকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়ে পাল্টা হুঁশিয়ারি দেন, এ বার মানুষ বিজেপিকে উচিত শিক্ষা দেবে। পাশাপাশি তিনি বলেন, “বেশ কিছু জায়গা থেকে খবর আসছে, বারাণসী ছাড়াও পটনা সাহিব থেকে লড়তে পারেন নরেন্দ্র মোদী। মোদী যদি এই কেন্দ্রে লড়েন তাতে কী হয়েছে! লড়ুক না। ওঁর বিরুদ্ধে আমিও লড়তে চাই।”
ওই দিন তাঁর আক্রমণের নিশানায় ছিলেন বিহারের বিজেপি নেতা সুশীল মোদীও। তিনি বলেছিলেন, শত্রুঘ্ন নির্বাচনে হারবেন। এ প্রসঙ্গে শত্রুঘ্ন পাল্টা আক্রমণ করে বলেন, “সুশীল মোদী নিজে কেন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন না? তা না করে অন্য এক জনকে সামনে ঠেলে দিয়েছেন! যে ব্যক্তি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের ভোটও জিততে পারেননি।” পটনা সাহিব কেন্দ্র থেকে এ বার শত্রুঘ্নর পরিবর্তে রবিশঙ্কর প্রসাদকে টিকিট দিয়েছে বিজেপি। শত্রুঘ্ন তাঁর মন্তব্যে যে ‘অন্য ব্যক্তি’র কথা উল্লেখ করেছেন, তিনি এই রবিশঙ্কর প্রসাদই।
আরও পড়ুন: ঘরে অসুস্থ মা ও বাবা, কণ্ঠে আশা-লতা, টিমটিম করে চলছে মুম্বইয়ের ডান্সবার
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
২০১৪-র লোকসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্র থেকেই বিজেপির টিকিটে জিতেছিলেন শত্রুঘ্ন। কিন্তু সময় যত গড়িয়েছে তাঁর সঙ্গে দলের দূরত্ব বেড়েছে। দলের বিরুদ্ধে বার বার সরব হয়েছেন। নানা বিষয় নিয়ে আক্রমণ করেছেন নরেন্দ্র মোদীকে। তাঁর এই ভূমিকা নিয়ে দলের অন্দরেই ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল। শত্রুঘ্নকে এ ব্যাপারে বার বার সতর্কও করেছিলেন শীর্ষ নেতৃত্ব। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি। বরং আক্রমণের ধার আরও ঝাঁঝালো করেছিলেন। শুধু তাই নয়, কলকাতার ব্রিগেডে যখন বিরোধীদের মহাসভা ‘ইউনাইটেড ইন্ডিয়া র্যালি’র আযোজন করেছিলেন মমতা বন্দ্যোবাধ্যায় সেখানেও হাজির হয়ে বিতর্ক আরও উস্কে দিয়েছিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy