—ফাইল চিত্র।
নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহের জুটি বাদে যে কোনও সরকারকে তাঁরা সমর্থন করবেন বলে জানালেন আম আদমি পার্টি (আপ)-এর নেতা অরবিন্দ কেজরীবাল। অবশ্য একটি ‘যদি’ রেখেছেন তিনি। সেটি হল, দিল্লিকে পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা দেওয়ার যে দাবি আপ তুলেছে, তা মেনে নিলে তবেই সমর্থন দেবে তারা।
দিল্লিতে ভোটের মুখে কেজরীবালের এই মন্তব্যে শোরগোল পড়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, তবে কি বিজেপি ক্ষমতায় ফিরলে এবং রাজনাথ সিংহ বা নিতিন গডকড়ীর মতো নেতাকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে তুলে ধরা হলে তাঁরা সমর্থন দেবেন? দাবি পূরণ করতেই হবে— এমন কোনও শর্তও রাখেননি কেজরীবাল। তিনি শুধু বলেছেন, আপের দাবিকে সমর্থন করতে হবে। বলেছেন, ‘‘কী ভাবে এই দাবি নিয়ে এগোব, তা ঠিক হবে ২৩ মে ভোটের ফল বেরোনোর পরে।’’
ক’দিন আগে কেজরীবাল বলেছিলেন, রাহুল গাঁধী সরকার গড়ার অবস্থায় এলে ওই পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদার শর্তেই সমর্থন দিতে পারেন তাঁরা। কংগ্রেস-বিরোধী আন্দোলন করে উঠে আসার পরে কংগ্রেসকে সমর্থন করা কঠিন জেনেও এ কথা বলেছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। আজ আবার তিনি বলেছেন, ‘‘মোদী ক্ষমতায় ফিরলে, তার জন্য দায়ী হবেন রাহুল। কংগ্রেস উত্তরপ্রদেশে এসপি-বিএসপি জোটের ক্ষতি করছে, পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের ক্ষতি করছে, অন্ধ্রে তেলুগু দেশম এবং দিল্লিতে আপের ক্ষতি করছে। মনে হচ্ছে কংগ্রেস যেন বিরোধী দলগুলির বিরুদ্ধে লড়ছে, বিজেপির বিরুদ্ধে নয়।’’ টুইটারেও আজ কেজরীবাল লেখেন, ‘‘দেশবাসীরা ভোট দেওয়ার সময়ে মনে রাখবেন, মোদী ক্ষমতায় ফিরলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হবে অমিত শাহ। ভেবে দেখবেন, তখন কী হতে পারে।’’ গুজরাতে মোদী মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন অমিত।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
রাহুল অবশ্য আজও চণ্ডীগড়ের সভায় বলেছেন, ‘‘হার দেখতে পাচ্ছেন বলেই বিভ্রান্ত হয়ে পড়ছেন মোদী।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy