দলের সভাপতি পদে থাকা নিয়ে এখনও অনিশ্চয়তা জিইয়ে রেখেছেন রাহুল গাঁধী। তবে এরই মধ্যে দলের খোলনলচে বদলানোর জন্য বৈঠকও করলেন তিনি। পর্দার আড়ালে থাকা রাহুলেরই নির্দেশে কর্নাটকে ভেঙে দেওয়া হল প্রদেশ কংগ্রেস কমিটি। শুধু মাত্র প্রদেশ সভাপতি ও কার্যকরী সভাপতি পদে বহাল রইলেন।
আজ ছিল রাহুলের জন্মদিন। এ দিনই কর্নাটক কংগ্রেসের নেতা ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া দিল্লিতে রাহুলের তুঘলক লেনের বাসভবনে এসে দেখা করেন। সিদ্দারামাইয়ার সঙ্গে রাহুলের আলোচনার পরেই কর্নাটক প্রদেশ কংগ্রেস কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়। কর্নাটকের দায়িত্বপ্রাপ্ত দলের সাধারণ সম্পাদক কে সি বেণুগোপাল অবশ্য দাবি করেছেন, কর্নাটক প্রদেশ কমিটি ভেঙে দেওয়া নিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে এআইসিসি। তবে কংগ্রেস সূত্রের খবর, রাহুলের সম্মতি নিয়েই গোটা বিষয়টি এগিয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, লোকসভা ভোটে হারের পরে সাংগঠনিক দিক থেকে এটাই কংগ্রেসের সবচেয়ে বড় সিদ্ধান্ত।
কর্নাটকে কংগ্রেসের ভিতরে টানাপড়েনের জন্য বারবার চাপের মুখে পড়তে হয়েছে এইচ ডি কুমারস্বামীর জোট সরকারকে। লোকসভা ভোটে হারের পরে পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয়েছে। বেশ কয়েকজন কংগ্রেস বিধায়ক বিজেপি শিবিরে যোগাযোগ শুরু করেছেন। এই পরিস্থিতিতেই বুধবার মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামী বলেছেন, রোজই তাঁকে যন্ত্রণার শিকার হতে হচ্ছে। একটি টেলিভিশন চ্যানেলে তাঁর মন্তব্য, ‘‘বাইরে থেকে আমি মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু রোজই আমাকে যন্ত্রণা সহ্য করতে হচ্ছে।...আপনাদের ভাই মুখ্যমন্ত্রী হয়েছে। তাই আপনারা হয়তো ফুল হাতে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। আপনারা খুশি, কিন্তু আমি নই। জোট সরকারের যন্ত্রণা কোথায়, সেটা আমিই জানি। আমি বিষকণ্ঠে পরিণত হয়েছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy