আরজেডি সুপ্রিমো লালুপ্রসাদ যাদব। -ফাইল ছবি।
ফের বিতর্কের কেন্দ্রে রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি) সুপ্রিমো বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদব। অভিযোগ, নতুন বিহার বিধানসভার স্পিকার নির্বাচনের ভোটাভুটিতে বিরত থাকার জন্য লালু টেলিফোনে অনুরোধ জানিয়েছিলেন শাসকজোট এনডিএ-র এক বিধায়ককে। ঝাড়খণ্ড সরকার বুধবার ওই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।
দুর্নীতিতে অভিযুক্ত লালু এখন ঝাড়খণ্ডের বিরসা মুণ্ডা জেলে বন্দি। তবে অসুস্থ হয়ে পড়ায় জেল কর্তৃপক্ষ লালুকে রাঁচির ‘রাজেন্দ্র ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেস (রিম্স)’-এর অধিকর্তার ‘কেলি বাংলো’য় থাকার অনুমতি দেয়। লালু সেখানেই ছিলেন। এ দিন লালুকে সেখান থেকে রিমস-এ নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
বিহারের প্রাক্তন উপ মুখ্যমন্ত্রী, বিজেপি নেতা সুশীল মোদীর অভিযোগ, লালু টেলিফোনে যোগাযোগ করেছিলেন এনডিএ-র এক বিধায়কের সঙ্গে।
সংবাদসংস্থা পিটিআইকে ঝাড়খণ্ডের ইনস্পেক্টর জেনারেল (প্রিজনস) বীরেন্দ্র ভূষণ জানিয়েছেন, ওই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাঁচির ডেপুটি কমিশনার, পুলিশ সুপারিন্টেন্ডেন্ট ও বিরসা মুণ্ডা জেলের সুপারকে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন ঝাড়খণ্ডের আইজি (প্রিজনস)।
আরও পড়ুন: লাইভ: রেল-পথ অবরোধ, বারাসতে বন্ধ সমর্থকদের পুলিশের লাঠি
আরও পড়ুন: মারাদোনা নেই, দুর্দান্ত-বিতর্কিত-ঘটনাবহুল অধ্যায়ের শেষ
আইজি এ-ও জানিয়েছেন, লালু এবং এনডিএ বিধায়কের মধ্যে টেলিফোনে কথোপকথনের অডিয়ো ক্লিপ তিনি নিজে শুনেছেন। তা শোনার পর তিনি ইতিমধ্যেই ঘটনার যথাযথ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রশ্ন উঠেছে, লালুর কাছে কী ভাবে পৌঁছল মোবাইল ফোন? ঝাড়খণ্ডের আইজি বলেছেন, ‘‘বিচারবিভাগীয় হেফাজতে থাকা কোনও অভিযুক্তের কাছে জেলে মোবাইল ফোন থাকার কথা নয়। এটাই কারা আইন। তা সত্ত্বেও কী ভাবে লালুর কাছে মোবাইল ফোন পৌঁছল, কে বা কারা লালুর কাছে মোবাইল ফোন পৌঁছে দিল, তা তদন্ত করে দেখতে বলা হয়েছে। শুধু তাই নয়, কোনও জেলবন্দির রাজনৈতিক আলাপচারিতাও নিষিদ্ধ। সে ক্ষেত্রে লালুকে কেন মোবাইল ফোনে এনডিএ বিধায়কের সঙ্গে কথা বলতে দেওয়া হয়েছিল, সেটাও তদন্ত করে দেখতে হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy