প্রতীকী ছবি।
চাকরির জন্য পড়াশোনা করতে করতেই মহম্মদ ইকবাল নামে এক মুসলিম ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল বারাণসীর হিন্দু পরিবারের মেয়েটির। চার বছর ধরে পরিবারকে বোঝানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন। অভিযোগ, এ বার তাঁদের দু’জনকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। গ্রেফতারির ভয়ে উত্তরপ্রদেশ ছেড়ে দিল্লিতে আশ্রয় নিয়েছেন তাঁরা। স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্ট-এ বিয়ের আবেদনও জানিয়েছেন ওই দু’জন।
শুধু এই দু’জনই নন, উত্তরপ্রদেশের আনাচে কানাচে এমন অনেকেই আছেন যাঁরা রাজ্য ছেড়ে গিয়ে অন্যত্র বিয়ে করতে চাইছেন। তাঁদের অভিযোগ, ‘লাভ জিহাদ’ নিয়ে উত্তরপ্রদেশে দীর্ঘ দিন ধরেই তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ উঠছে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে। ফলে একটা আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হচ্ছে।
আরও অভিযোগ, হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলো তো আছেই, তার মধ্যে পুলিশ হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে পারিবারিক চাপ। আর এ সব কারণেই রাজ্য ছেড়ে চলে যেতে চাইছেন ইকবাল এবং বারাণসীর হিন্দু তরুণীর মতো অনেকেই। অনেকে আবার নিজেদের সুরক্ষা চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছেন।
সম্প্রতি যোগী রাজ্যে ‘ধর্মান্তরণ বিরোধী’ আইন পাশ হয়েছে। বিয়ের নামে ধর্মান্তরণ বন্ধ করাই এই আইনের মূল লক্ষ্য। চলতি ভাষায় যাকে ‘লাভ জিহাদ’ আইনও বলা হচ্ছে। ভিন্ ধর্মে বিবাহের ক্ষেত্রে গোটা দেশে এই আইন কার্যকর করার সপক্ষে দীর্ঘ দিন ধরেই সওয়াল করে আসছে দক্ষিণপন্থী হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি। যোগী নিজেও তা নিয়ে সরব ছিলেন। তবে হিন্দু ধর্মের মেয়েদের অন্য ধর্মে বিয়ে নিয়েই মূলত আপত্তি তাঁদের।
‘ধর্মান্তরণ বিরোধী’ আইন প্রসঙ্গে আলিগড়ের পুলিশ সুপার অরবিন্দ কুমার বলেন, “যদি বিয়ের নামে ধর্মান্তরণের কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়, তা হলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে ওই যুগলের বিরুদ্ধে। যেখানেই থাকুন না কেন আইনি ব্যবস্থার হাত থেকে রেহাই পাবেন না।”
ইলাহাবাদ হাইকোর্টের এক আইনজীবী কে কে রায় জানান, এর থেকে বাঁচার উপায় হিসেবে আদালতের দ্বারস্থ হতে পারেন যুগল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy