প্রতীকী ছবি।
চিনের সঙ্গে অগ্নিগর্ভ সীমান্ত পরিস্থিতির মধ্যে নেপাল নিয়ে নতুন করে সংঘাতের দরজা খুলতে চাইছে না নয়াদিল্লি। আজ তা স্পষ্ট করে বিদেশ মন্ত্রকের পক্ষে জানানো হয়েছে, বিহারে নেপাল-ভারত সীমান্তে নদীভাঙন এবং নদীর চরে ক্ষয়রোধের কাজ দু’দেশ সমন্বয়ের মাধ্যমে করছে। এ ব্যাপারে সহযোগিতার ঘাটতি নেই। কিন্তু কিছু দিন আগে পূর্ব চম্পারন জেলায় এই কাজে কাঠমান্ডু বাধা দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিহার সরকার। পশ্চিমবঙ্গের কাকরভিটা চেক পয়েন্ট থেকে নেপালে পণ্যবাহী লরি ঢুকতে বাধা পাচ্ছে বলে সে দেশের সংবাদমাধ্যমের একটি রিপোর্টও নস্যাৎ করে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র জানিয়েছেন, দু’দেশের স্থলবাণিজ্য করোনা-কালেও মসৃণ।
তবে প্রকাশ্যে স্বীকার না-করলেও নেপাল নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে বই কমছে না সাউথ ব্লকের। তিব্বতকে লক্ষ্য রেখে রাস্তা এবং পরিকাঠামো নির্মাণ বাড়াতে নেপালের ১০টি এলাকার ৩৩ হেক্টর জমির দখল নিয়েছে চিন— কাঠমান্ডু থেকে এমন রিপোর্ট আসার পরে নড়েচড়ে বসেছে নয়াদিল্লি। এ নিয়ে সরকারি ভাবে মুখ খোলেনি নেপাল। কিন্তু সূত্রের খবর, খোঁজখবর করতে শুরু করেছে সাউথ ব্লক।
প্রাথমিক ভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে, চিন নেপালের ওই ভূখণ্ড দখল করেছে, না চিনকে স্বেচ্ছায় তা উপহার দিয়েছে কে পি ওলি সরকার। সে দেশের অন্য রাজনৈতিক দলগুলির ভূমিকাই বা কী। দেখা হচ্ছে ঠিক কোন এলাকাগুলি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। সেই এলাকার থেকে ভারতীয় সীমান্তের দূরত্ব কতটা। বিদেশ মন্ত্রকের সন্দেহ, ভারতীয় সীমান্তের উপর নজরদারি এবং ভারতকে ঘিরে ফেলার যে পরিকল্পনা বেজিংয়ের রয়েছে, এই পদক্ষেপ তারই অংশ। গালওয়ান উপত্যকার রক্তপাতের পরে চিন প্রসঙ্গে আসা এমন রিপোর্ট আতসকাচের তলায় ফেলে দেখছে দিল্লি। অন্য দিকে নেপালের বিরোধী রাজনৈতিক শিবির থেকে অভিযোগ উঠছে, গদি রক্ষায় চিনের কাছে দেশের স্বার্থ বিক্রি করে দিয়েছেন কে পি ওলি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy