প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছবি-পিটিআই।
ভারতে ব্যবসা শুরু করা আর সেটা নির্বিঘ্নে চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজটা গত এক বছরে অনেকটাই সহজ হয়েছে। ফলে, বিশ্ব ব্যাঙ্কের দেওয়া ১৯০টি দেশের তালিকায় ভারত গত এক বছরে ১৪টি ধাপ উপরে উঠে এসেছে। ভারত রয়েছে এখন ৬৩ নম্বরে। আর এ ব্যাপারে গত এক বছরে সবচেয়ে অগ্রগতি ঘটেছে সৌদি আরবে। পাকিস্তানের নাম তালিকায় রয়েছে ১০৮ নম্বরে।
বিশ্ব ব্যাঙ্কের ‘ইজ অফ ডুয়িং বিজনেস’ শীর্ষক রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে বৃহস্পতিবার। তবে এই উল্লম্ফনও ভারতকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রত্যাশায় পৌঁছে দিতে পারেনি। প্রধানমন্ত্রী ভারতকে এই তালিকায় প্রথম ৫০টি দেশের মধ্যে আনতে চান।
বিশ্ব ব্যাঙ্কের গত বছরের (২০১৮) রিপোর্টে ১৯০টি দেশের তালিকায় ভারত ছিল ৭৭ নম্বরে। তার আগের বছরে (২০১৭) ভারত ছিল ১০০ নম্বরে।
ব্যবসা করাটা আগের চেয়ে সহজ হয়েছে, এই নিরিখে বিশ্ব ব্যাঙ্কের সাম্প্রতিক রিপোর্টে ভারত-সহ দশটি দেশের অর্থনীতির প্রশংসা করা হয়েছে। বলা হয়েছে, এ ব্যাপারে ভারত-সহ ওই দশটি দেশের অর্থনীতি ‘উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি’ দেখাতে পেরেছে। আর সেই দশটি দেশের মধ্যে ভারত রয়েছে নয় নম্বরে। সৌদি আরবের নামটি রয়েছে প্রথমে। এই তালিকায় অবশ্য প্রথম ছ’টি দেশের মধ্যেই রয়েছে পাকিস্তান।
আরও পড়ুন- ত্রিপাক্ষিকে উঠতে পারে তিস্তা প্রসঙ্গ
আরও পড়ুন- বিশ্ব ব্যাঙ্ক থেকে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, সবার হিসেবেই ভারতের সম্ভাব্য বৃদ্ধির হারে নাটকীয় পতন
ব্যবসা করাটা আগের চেয়ে সহজ হয়েছে, এই নিরিখে প্রথম দশটি দেশের মধ্যে এই নিয়ে টানা তিন বার উঠল ভারতের নাম।
বিশ্ব ব্যাঙ্কের হালের রিপোর্টে প্রধানমন্ত্রী মোদীর ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ কর্মসূচিরও প্রশংসা করা হয়েছে। বলা হয়েছে, ‘‘এই কর্মসূচি ভারতে বিদেশি বিনিয়োগ টানতে পেরেছে উল্লেখযোগ্য ভাবে। বেসরকারি উদ্যোগকেও এগিয়ে যেতে সাহায্য করেছে।’’
রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘‘২০১৫ সালে মোদী সরকার জানিয়েছিল, পাঁচ বছরের মধ্যে এই তালিকায় ভারতকে ৫০টি দেশের মধ্যে নিয়ে আসতে হবে। কর দেওয়ার নিয়মকানুন শিথিল করে, সীমান্ত বাণিজ্যের প্রসার ঘটিয়ে ভারত সেই লক্ষ্যে অনেকটাই এগিয়ে যেতে পেরেছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy