সোমবার থেকে নিখোঁজ এএন-৩২ বিমানটি। —ফাইল চিত্র।
অরুণাচলে চিন সীমান্তের কাছে নিখোঁজ হল বিমানবাহিনীর এএন-৩২ বিমান। আজ সকাল ১২টা ২৭ মিনিটে অসমের যোরহাট থেকে উড়েছিল বিমানটি। বেলা ১টার পর থেকে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে তার সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বিমানে ছিলেন পাইলট, সহকারী পাইলট-সহ আট জন বিমানকর্মী ও বায়ুসেনার আরও পাঁচ জন কর্মী।
চিন সীমান্ত থেকে চল্লিশ কিলোমিটার দূরে থাকা মেচুকার ‘অ্যাডভান্সড ল্যান্ডিং গ্রাউন্ড’-এ ওঠানামায় বড় ভরসা ওই বিমান। সি ইয়োমি জেলার পায়ুং গ্রামে বিমানটির ধ্বংসাবশেষ দেখতে পাওয়ার খবর এলেও বায়ুসেনা জানায় তা সত্য নয়। বিমানটির সন্ধানে বায়ুসেনার সি-১৩০ ও এএন-৩২ বিমান, দু'টি এমআই-১৭ হেলিকপ্টার এবং সেনাবাহিনীর ধ্রুব হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হচ্ছে। আবহাওয়া খারাপ থাকায় উদ্ধারকাজ ব্যাহত হয়। ওই এলাকার পাহাড় ও জঙ্গলে তল্লাশি শুরু করেছে সেনাবাহিনী এবং ভারত-তিব্বত সীমান্ত পুলিশও।
এএন-৩২ রাশিয়ায় তৈরি দুই ইঞ্জিনের সামরিক পরিবহণ বিমান। এমন ১০৫টি বিমান ভারতীয় বায়ুসেনার হাতে আছে। ২০০৯ সালে ভারত ইউক্রেনের সঙ্গে এই বিমানগুলির
আধুনিকীকরণের চুক্তি করে। এখন পর্যন্ত ৪৬টি বিমানে আধুনিকীকরণের কাজ শেষ হয়েছে।
অরুণাচলের আকাশপথ বরাবরই বিমান ও হেলিকপ্টারের মরণফাঁদ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে কয়েক হাজার যুদ্ধবিমান ওই এলাকায় ভেঙে পড়ে বা নিখোঁজ হয়। সাম্প্রতিক অতীতে ২০১০ সালের ১৯ এপ্রিল তাওয়াংয়ের কাছে বমডিরে বায়ুসেনার এমআই-১৭ কপ্টার ভেঙে এক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ও ১৮ জন বায়ুসেনা কর্মীর মৃত্যু হয়।
২০১১ সালের ১৯ এপ্রিলেই তাওয়াংয়ে যাত্রিবাহী এমআই-১৭২ কপ্টার ভেঙে ১৮ জন মারা যান। ৩০ এপ্রিল জঙের কাছে ইউরোকপ্টার বি-৮ ভেঙে মারা যান তদনীন্তন মুখ্যমন্ত্রী দোরজি খান্ডু-সহ পাঁচ জন।
২০১৭ সালের ২৩ মে ভেঙে পড়ে সুখোই-৩০ এমকেআই। ওই বছরই ৪ জুলাই সাগালিতে ধসের পরে ত্রাণকার্যে গিয়ে ভেঙে পড়ে বায়ুসেনার কপ্টার। মারা যান তিন জন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy