Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
Kapil Sibal

‘আদালতের বিচার করবে ইতিহাস’, প্রশান্তকে সমর্থন সিব্বলের

সিব্বলের প্রশ্ন, ‘‘সংবিধান এবংআইন রক্ষার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাগুলি যখন প্রকাশ্যে অবমাননায় লিপ্ত হয় তখন আদালত কেন অসহায় হয়ে পড়ে?’’

প্রশান্ত ভূষণ এবং কপিল সিব্বল— ফাইল চিত্র।

প্রশান্ত ভূষণ এবং কপিল সিব্বল— ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২২ অগস্ট ২০২০ ১৫:৩৯
Share: Save:

আদালত অবমাননার মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরে নেটাগরিকদের বড় অংশই তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছে। আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ এবার পাশে পেলেন আরেক আইনজীবী তথা কংগ্রেসের রাজ্যসভা সাংসদ কপিল সিব্বলকে। শনিবার সিব্বল টুইটারে প্রশান্তের বক্তব্য এবং অবস্থানকে সমর্থন জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে নাম না করে খোঁচা দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী সরকারকে।

সিব্বল লিখেছেন, ‘‘প্রশান্ত ভূষণ, অবমাননার হাতিয়ারকে এখন হাতুড়ি হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। সংবিধান এবং আইন রক্ষার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাগুলি যখন প্রকাশ্যে অবমাননায় লিপ্ত হয়, তখন আদালত কেন অসহায় হয়ে পড়ে? বড় বিষয়ে ঝুঁকি থাকে। আমাদের হতাশ করার জন্য ইতিহাস আদালতের বিচার করবে।’’

আদালত অবমাননার মামলায় গত ১৫ অগস্ট সুপ্রিম কোর্ট দোষী সাব্যস্ত করেছিল প্রশান্তকে। এর পরে গত কাল প্রশান্তকে তাঁর অবস্থান পুনর্বিবেচনার জন্য ২৪ অগস্ট পর্যন্ত সময় দিয়েছে শীর্ষ আদালত। এর মধ্যে তিনি নিঃশর্ত ক্ষমা না চাইলে ২৫ অগস্ট শাস্তি ঘোষণা করবে বিচারপতি অরুণ মিশ্র, বিচারপতি বি আর গাভাই এবং বিচারপতি কৃষ্ণ মুরারীর বেঞ্চ। যদিও প্রশান্ত জানিয়ে দিয়েছেন, আইন অনুযায়ী যা শাস্তি হবে, তা তিনি মাথা পেতে নেবেন। কিন্তু ক্ষমা চাইবেন না।

নেটাগরিকদের পাশাপাশি আইনজীবীদের বড় অংশকেও পাশে পেয়েছেন প্রশান্ত। সম্প্রতি তাঁর দোষী সাব্যস্ত হওয়া নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট ও জনসাধারণের উদ্দেশে একটি প্রকাশ্য বিবৃতি দিয়েছেন ৪২ জন প্রবীণ আইনজীবী। তাতে বলা হয়েছে, প্রশান্তের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলার রায়ে তাঁরা হতাশ। স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা, স্বাধীন বিচারপতি ও স্বাধীন আইনজীবী সাংবিধানিক গণতন্ত্রের অংশ। ওই আইনজীবীদের মতে, স্বাধীন বিচার ব্যবস্থার অর্থ এই নয় যে বিচারপতিরা সমস্ত সমালোচনার ঊর্ধ্বে।

আরও পড়ুন: ভারতকে চাপে রাখতে পাক-চিন বৈঠকে কাশ্মীর প্রসঙ্গ

প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদে নাগপুরে একটি বিখ্যাত ব্র্যান্ডের মোটরবাইকে চড়ে রয়েছেন— এমন একটি ছবি সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছিল। এর পরে সর্বোচ্চ আদালতের কাজকর্ম নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে ভূষণ টুইটে লেখেন, ‘‘এ সব দিকে নজর না-দিয়ে প্রধান বিচারপতি দামী মোটরবাইকে চড়ছেন।’’ প্রধান বিচারপতির মাথায় হেলমেট নেই কেন, সেই প্রশ্নও তোলেন ভূষণ। দ্বিতীয় একটি টুইটেও সর্বোচ্চ আদালতের কাজ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন প্রবীণ এই আইনজীবী। সুপ্রিম কোর্টে তিনি দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরেই সিব্বল স্বাধীনতা দিবস ও বাকস্বাধীনতা নিয়ে টুইট করেছিলেন।

আরও পড়ুন: শাস্তি মঞ্জুর, ক্ষমা নয়, প্রশান্ত ভূষণের মানসিকতাকে কুর্নিশ নেটাগরিকদের​

প্রশান্তের বিরুদ্ধে ২০০৯ সালের অন্য একটি আদালত অবমাননা মামলারও বিচারপতি মিশ্রের বেঞ্চে বিচারাধীন। একটি পত্রিকায় এক সাক্ষাৎকারে সুপ্রিম কোর্টের তৎকালীন কয়েক জন বিচারপতি ও প্রাক্তন বিচারপতির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনেছিলেন প্রশান্ত। পত্রিকার সম্পাদক তরুণ তেজপাল মামলার সহ-অভিযুক্ত। সম্প্রতি শুনানি-পর্বে তেজপালের আইনজীবী কপিল সিব্বল মামলাটি খারিজ করার আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার সর্বোচ্চ আদালত সিব্বলের আবেদন খারিজ করে দেয়।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE