সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ।
রাজ্যসভার সাংসদ পদের পরে আগামী দিনে কি অসমের মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি? সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের এমন পরিকল্পনার কথা গোপন সূত্রে জানতে পেরেছেন বলে দাবি করলেন অসমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ। যদিও সাংসদ রঞ্জন গগৈ এমন সম্ভাবনার কথা উড়িয়ে দিয়েছেন।
তরুণ গগৈকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী সর্বানন্দ সোনোয়ালই থাকবেন, নাকি হিমন্তবিশ্ব শর্মা সেই স্থান নিতে পারেন? জবাবে তিনি দাবি করেন, তাঁর কাছে খবর আছে, অযোধ্যা-সহ সুপ্রিম কোর্টের বিভিন্ন রায়ে বিজেপিকে খুশি করায় রঞ্জন গগৈকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে আনতে পারে বিজেপি। তাঁর মতে, গগৈয়ের বরাবর রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা রয়েছে। অবসরের পরে তিনি রাজনীতির রাস্তায় নামবেন বলেই সাংসদ পদ গ্রহণ করেছেন। নয়তো মানবাধিকার কমিশন বা অন্য কোনও কমিশনের চেয়ারম্যানও হতে পারতেন।
বিজেপির তরফে অবশ্য গগৈয়ের দাবি হেসে ওড়ানো হয়। বিজেপির বক্তব্য, জনজাতি ও অ-জনজাতি— সকলের কাছেই সর্বানন্দ সোনোয়ালের গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নাতীত। তাঁর স্বচ্ছ ভাবমূর্তি রয়েছে। তাই তাঁকে বাদ দিয়ে অন্য কারও কথা দল ভাবছে না। কিন্তু কংগ্রেস বা বিরোধীরা নিজেদের স্বার্থে নির্বাচনের আগে পর্যন্ত এমন সব ভুয়ো খবর রটাতে থাকবে।
আরও পড়ুন: মোদী-নামেই ভোট প্রচারে কুশলী ট্রাম্প
আরও পড়ুন: সফল পেশাদাররা দলে দলে সক্রিয় রাজনীতিতে, কারণ কি ‘লকডাউন সিনড্রোম’?
বিজেপি সভাপতি রঞ্জিৎকুমার দাস বলেন, “বুড়ো হলে মানুষ এমন অনেক ভুলভাল মন্তব্য করেন। আমরা তরুণ গগৈয়ের কথাকে সে ভাবেই দেখছি।” আর খোদ রঞ্জনবাবু দিল্লিতে সাংবাদিকদের বলেন, “আমি রাজনীতিবিদ নই। আমার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার বাসনাও নেই। কেউ আমার কাছে তেমন প্রস্তাবও নিয়ে আসেনি।”
রঞ্জনবাবু রাজ্যসভার রাষ্ট্রপতি মনোনীত সদস্য। তিনি সেই কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “একটি দুর্ভাগ্যজনক যে কিছু মানুষ রাজনৈতিক দলের সাংসদ আর রাষ্ট্রপতি মনোনীত সাংসদের ফারাক বোঝেন না। আমি সচেতন ভাবেই রাষ্ট্রপতি মনোনীত সাংসদ পদ গ্রহণ করেছি, যাতে বিভিন্ন বিষয়ে আমার নিরপেক্ষ ও স্বাধীন মত ব্যক্ত করতে পারি। এতেই কি আমি রাজনীতিক হয়ে গেলাম?”
কংগ্রেস মহাজোটের কথা বললেও মুখ্যমন্ত্রী পদে দল বা তাদের জোটে সর্বসম্মত প্রার্থী নেই। বিজেপি বলছে, কংগ্রেসের মুখ এখনও নব্বই ছুঁতে চলা তরুণ গগৈ। অথচ তাঁর সন্ন্যাস নেওয়ার কথা। তিন বারের মুখ্যমন্ত্রী তরুণবাবু অবশ্য বলেছেন, “আমি আর মুখ্যমন্ত্রী হব না, দলের উপদেষ্টা হিসেবে নিজের ভূমিকা পালন করছি। দলে যোগ্য প্রার্থী অনেক আছেন যাঁরা এই ভার নিতে পারবেন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy