—ফাইল চিত্র।
বিতর্কিত ৩টি কৃষি আইনে ফের স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত আইনগুলি কার্যকর করা যাবে না। সরকার ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে রফাসূত্র বার করতে গড়া হয়েছে একটি বিশেষ কমিটিও।
আন্দোলনকারী কৃষকদের সঙ্গে এখনও পর্যন্ত মোট ৮ দফা বৈঠক হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের। কিন্তু তাতে কোনও সমাধানই বেরিয়ে আসেনি। কৃষকদের মতামত নিয়ে কেন্দ্র আইনে সংশোধন ঘটাতে রাজি হলেও, আন্দোলনকারীরা তাতে রাজি হননি। বরং সম্পূর্ণ আইন প্রত্যাহারের দাবিতেই অনড় তাঁরা। তাই কমিটি গঠন করে বিষয়টি পর্যালোচনা করাই শ্রেয় বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত।
যদিও সুপ্রিম কোর্টের এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে রাজি হয়নি কৃষক সংগঠনগুলি। তাদের দাবি, কোনওরকম সংশোধন নয়, কোনও কমিটির সঙ্গে কথা নয়, সম্পূর্ণ ভাবে আইন প্রত্যাহার করতে হবে সরকারকে। তাঁদের আইনজীবী আদালতে তা জানালে প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদে, এএস বোপান্না এবং ভি রামসুব্রহ্মণ্যমের ডিভিশন বেঞ্চ বলে, ‘‘এটা রাজনীতি নয়। রাজনীতি এবং বিচার ব্যবস্থার মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। এ ক্ষেত্রে সকলের সহযোগিতা কাম্য।’’
আরও পড়ুন: নজরে সীমান্ত, যে কোনও পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত সেনা: নরবণে
কমিটি গড়া ছাড়া আইন ৩টি সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা পাওয়া সম্ভব নয় বলেও মন্তব্য করে আদালত। বলা হয়, ‘‘আইন ৩টির বৈধতা নিয়ে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন আমরা। একই সঙ্গে একটানা আন্দোলনের জেরে মানুষের জীবনযাত্রা এবং সম্পত্তির উপর যে প্রভাব পড়েছে, তা-ও যথেষ্ট উদ্বেগজনক। যতটা সম্ভব সুষ্ঠ ভাবে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছি আমরা। ক্ষমতা প্রয়োগ করে আইন স্থগিত রাখতে পারি আমরা। কিন্তু অনির্দিষ্ট কাল পর্যন্ত আইন স্থগিত রাখা যায় না। কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত একটি বিচারবিভাগীয় প্রক্রিয়া, এর ফলে বিষয়টি সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা পাওয়া যাবে। আপনারা যদি অনির্দিষ্ট কাল পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যেতে চান, যান। আমরা নিজেদের জন্য এই কপিটি গঠন করছি। যাঁরা সত্যি সত্যি সমাধান চান, তাঁরা এই কমিটির কাছে যাবেন। ওই কমিটি কোনও সিদ্ধান্তও নেবে না, কোনও শাস্তিও দেবে না। গোটা বিষয়টি নিয়ে ওই কমিটি শুধু আমাদের রিপোর্ট দেবে।’’
কিন্তু কৃষকরা কোনও কমিটির সঙ্গে কথা বলতে প্রস্তুত নন বলে আদালতে জানান তাঁদের হয়ে সওয়াল করতে আসা আইনজীবী এমএল শর্মা। তিনি যুক্তি দেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী একবারও তাঁদের সঙ্গে কথা বলার প্রয়োজন দেখাননি। তাই কোনও কমিটির সঙ্গে বসতে রাজি নন আন্দোলনকারীরা। কিন্তু প্রধানবিচারপতি বলেন, ‘‘এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে কিছু প্রশ্ন করা যাবে না কারণ এই মামলায় কোনও পক্ষ নন তিনি।’’
আরও পড়ুন: এ বার সরকারি পদ থেকে সরানো হল শিশিরকে, এলেন অখিল
রাজধানী দিল্লি এবং তার উপকণ্ঠে কৃষকদের আন্দোলনে খালিস্তান পন্থী গোষ্ঠীর মদত রয়েছে বলে শাসক শিবির থেকে বার বার অভিযোগ তোলা হয়েছে। কৃষি আইনের সমর্থনে আদালতে পিটিশন জমা দেওয়া পিএস নরসিংহও একই দাবি তোলেন। ‘শিখস ফর জাস্টিস’ সংগঠন কৃষকদের ক্ষেপিয়ে তুলছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। তাতে সম্মতিতে জানান অ্যাটর্নি জেনারেল কেকে বেণুগোপালও। জবাবে আদালত জানতে চায়, কীসের ভিত্তিতে তাঁরা এমন দাবি করছেন? এ নিয়ে বুধবারের মধ্যে হলফনামা জমা দিতে বলা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy