ধর্মীয় স্থানে লাউডস্পিকার ব্যবহার অপরিহার্য নয়, জানাল বম্বে হাই কোর্ট। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।
কোনও ধর্মের ক্ষেত্রেই লাউডস্পিকার অপরিহার্য নয়। একটি মামলায় এমনটাই মন্তব্য করেছে বম্বে হাই কোর্ট। মহারাষ্ট্র সরকারকে শব্দদূষণ কমানোর জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের নির্দেশও দিয়েছে আদালত। লাউডস্পিকার ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা কোনও ধর্মের অধিকার খর্ব করে না। আদালতের পর্যবেক্ষণ, শব্দদূষণ অনেক সময়েই গুরুতর শারীরিক অসুস্থতার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই দূষণ নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন। লাউডস্পিকার ব্যবহার করতে ‘না’ করলে কোনও ধর্মীয় স্থান থেকেই অভিযোগ আসার কথা নয়। কারণ, ধর্ম পালনের অধিকার সুরক্ষিত রেখে জনস্বার্থে এই নির্দেশ জারি করা হয়।
ভারতীয় সংবিধানের ১৯ এবং ২৫ নম্বর ধারায় নাগরিকদের মত প্রকাশ এবং ধর্মপালনের স্বাধীনতার কথা বলা হয়েছে। বম্বে হাই কোর্টের বিচারপতি অজয় গডকড়ী এবং বিচারপতি শ্যাম চন্দহোকের বেঞ্চ জানিয়েছে, লাউডস্পিকার ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করলে সংবিধানের ওই দুই ধারার একটিও লঙ্ঘিত হয় না। মহারাষ্ট্র সরকারের প্রতি আদালতের নির্দেশ, সংশ্লিষ্ট সকল ধর্মীয় স্থানের কর্তৃপক্ষকে লাউডস্পিকারের শব্দমাত্রা নিয়ন্ত্রণের নির্দেশ দিতে হবে। বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে দেখতে বলেছে আদালত।
মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রান্তে মোট ন’টি মসজিদ এবং মাদ্রাসায় লাউডস্পিকার ব্যবহার করে আজানের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগ, ভোর ৫টায় এই আজান শুরু হয়। কোথাও কোথাও মধ্যরাতের পরেও লাউডস্পিকার চলে। কিন্তু কোনও ক্ষেত্রেই অভিযোগ পেয়ে পুলিশ পদক্ষেপ করেনি। বরং পুলিশ মামলা তুলে নিতে অনুরোধ করেছে বলে অভিযোগ। ধর্মীয় স্থানে লাউডস্পিকার ব্যবহারের ফলে শব্দদূষণে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন বলেও দাবি। তার পরেই মামলা হয়েছে হাই কোর্টে।
আদালত জানিয়েছে, লাউডস্পিকারের শব্দমাত্রা সর্বত্র নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। যে কোনও ধর্মের উপাসনালয়ের ক্ষেত্রেই তা প্রযোজ্য হবে। প্রয়োজনে লাউডস্পিকার ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞাও জারি করতে পারবে প্রশাসন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy