বাবা রাম অওয়ধ দাস। ছবি: টুইটার থেকে সংগৃহীত।
বৈধ টিকিট থাকা সত্ত্বেও এক বৃদ্ধকে শতাব্দী এক্সপ্রেসে উঠতে না দেওয়ার অভিযোগ উঠল রেল পুলিশের (জিআরপি) বিরুদ্ধে। ইচ্ছাকৃত ভাবে তাঁকে ট্রেনে উঠতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন ওই বৃদ্ধ। বিষয়টি নিয়ে নর্থ সেন্ট্রাল রেলওয়েজ (এনসিআর)-এ লিখিত অভিযোগও জানিয়েছেন তিনি।
অভিযোগকারী ওই বৃদ্ধের নাম বাবা রাম অওয়ধ দাস। উত্তরপ্রদেশের বরাবাঁকির বাসিন্দা তিনি। পুজোআচ্চা, হোম-যজ্ঞ করেন। সেই উপলক্ষেই শতাব্দী এক্সপ্রেসে চেপে এটাওয়া থেকে গাজিয়াবাদ যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। তখনই এই ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন লিখিত অভিযোগে জানিয়েছেন তিনি।
তবে লিখিত অভিযোগে ঘটনা সবিস্তার বর্ণনা না করলেও, পরে সংবাদমাধ্যমে ঘটনার সময় শতাব্দী এক্সপ্রেসে মোতায়েন কোচ অ্যাটেন্ডেন্ট এবং রেল পুলিশের বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক আচরণের অভিযোগ তোলেন রাম অওয়ধ দাস। তাঁর অভিযোগ, পরনের ধুতি, গায়ে জড়ানো সাদা থান, হাতে কাপড়ের পোঁটলা এবং ছাতা দেখে তাঁকে ট্রেনে উঠতে বাধা দেন কোচ অ্যাটেন্ডেন্ট এবং রেল পুলিশের ওই কর্মী।
আরও পড়ুন: ‘সব চোরের পদবী মোদী,’ মানহানি মামলায় ১০ হাজার টাকার বন্ডে জামিন রাহুল গাঁধীর
রাম অওয়ধ দাস বলেন, ‘‘গোটা ঘটনায় স্তম্ভিত আমি। মনে হচ্ছে ইংরেজদের যুগে বাস করছি। অন্যরকম পোশাক পরেছিলাম বলে, টিকিট থাকা সত্ত্বেও আমাকে ট্রেনে উঠতে দেননি জিআরপির এক কর্মী এবং কোচ অ্যাটেন্ডেন্ট।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘টিকিট দেখিয়েছিলাম। তাও বলছিল, আমি নাকি ভুল ট্রেনে উঠেছি। বার বার বলছিল, আমার ট্রেন এখনও কানপুরে, এটাওয়া এসে পৌঁছতে কয়েক ঘণ্টা লাগবে।’’ দু’পক্ষের কথা কাটাকাটিতে অনেকটা সময় চলে যায়। অন্য কামরায় পৌঁছনোর আগেই ট্রেন ছেড়ে দেয় বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: কুমারস্বামী সরকার সঙ্কটে, ইস্তফা ৮ বিধায়কের, বিধান সৌধে অপেক্ষায় আরও ৫
গাজিয়াবাদের বাসিন্দা যে সুজাতা দুবের বাড়িতে পুজো করতে যাচ্ছিলেন রাম অওয়ধ দাস, তিনি জানান, ‘‘প্রতি বছর বর্ষায় আমাদের বাড়িতে পুজো করতে আসেন বাবা। এ বার শতাব্দী এক্সপ্রেসে চেপেই আসার কথা ছিল ওঁর।’’ তবে নর্থ সেন্ট্রাল রেলওয়েজ-এর জনসংযোগ আধিকারিক অজিত কুমারের দাবি, ট্রেন এটাওয়ায় দু’মিনিটের জন্য দাঁড়ায়। ওই বৃদ্ধকে অন্য কামরায় যেতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তিনি পৌঁছনোর আগেই ট্রেন ছেড়ে দেয়। তবে স্টেশনে মোতায়েন কোনও রেলকর্মীদের ওই বৃদ্ধকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসা উচিত ছিল বলেও স্বীকার করে নেন তিনি।
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের YouTube Channel - এ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy