Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

কর্নাটকে জিতল লোভ, হারল গণতন্ত্র, সততা: রাহুল

কর্নাটকে কংগ্রেস-জেডিএস সরকারের আস্থা ভোটের সময় গরহাজির ছিলেন বিএসপির বিধায়ক এন মহেশ।

আস্থা ভোটে হারের পরে কুমারস্বামী। মঙ্গলবার বেঙ্গালুরুতে। ছবি: এএফপি।

আস্থা ভোটে হারের পরে কুমারস্বামী। মঙ্গলবার বেঙ্গালুরুতে। ছবি: এএফপি।

নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ জুলাই ২০১৯ ০১:৩৮
Share: Save:

কর্নাটকে সরকার ভাঙার খেলা চলছে বলে আগেই সরব হয়েছিলেন রাহুল গাঁধী। কুমারস্বামী সরকারের পতনের পর আজ টুইটারে অভিযোগ করলেন, ‘‘কর্নাটকে কংগ্রেস-জেডিএসের সরকার ভিতরে-বাইরে কায়েমি স্বার্থান্বেষীদের নিশানায় ছিল প্রথম দিন থেকেই। ক্ষমতা কব্জা করার পথে এই সরকারকে বিপদ ও বাধা হিসেবে দেখছিল তারা। তাদের লোভই জিতে গেল আজ। পরাজয় হল গণতন্ত্র, সততা ও কর্নাটকের জনগণের।’’

কংগ্রেস নেতা কে সি বেণুগোপালের অভিযোগ, ‘‘এটা কেন্দ্রীয় সরকার, কর্নাটকের রাজ্যপাল, মহারাষ্ট্রের সরকার ও বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের মিলিত ষড়যন্ত্রের ফল।’’ তিনি ঘোষণা করেছেন, ‘‘বিজেপি অনৈতিক, নির্লজ্জ, ও খোলাখুলি ভাবে রাজনীতিতে অস্থিরতা তৈরি করছে। কংগ্রেস এর বিরদ্ধে দেশ জুড়ে প্রতিবাদ জানাবে।’’

কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, সেই প্রতিবাদে কি থামবে বিজেপির বিজয়রথ? এ বার কি গোবলয়ের বড় দুই রাজ্য রাজস্থান ও মধ্যপ্রদেশ বিজেপির নিশানা?

রাজস্থানে অশোক গহলৌত সরকারের গরিষ্ঠতা টায়টোয়। তার উপরে সচিন পাইলটের অনুগামীদের সামলে চলতে বেগ পেতে হচ্ছে গহলৌতকে। বিশেষ করে লোকসভা ভোটে দলের খারাপ ফলের পরে গহলৌত-পাইলট সম্পর্কে চিড় প্রকাশ্যেই চলে এসেছে। তবে রাজীনীতির লোকজনের মতে কংগ্রেসের আশু বিপদ মধ্যপ্রদেশে।

কর্নাটকে কংগ্রেস-জেডিএস সরকারের আস্থা ভোটের সময় গরহাজির ছিলেন বিএসপির বিধায়ক এন মহেশ। তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করেছেন নেত্রী মায়াবতী। কর্নাটকে অবশ্য ওই এক জনের কারণে সরকার পড়েনি। তবে মধ্যপ্রদেশে কমল নাথের সরকার টিকে আছে বিএসপি-র দু’জন, এসপি-র এক জন ও তিন জন নির্দল বিধায়কের সমর্থনের জোরে। রাজ্যসভায় শক্তি বাড়াতে এসপি থেকে ইতিমধ্যেই সাংসদ ভাঙিয়েছে বিজেপি। নজরে রয়েছেন মায়ার দলের সাংসদেরা। কর্নাটক বিজয়ের পরে কৈলাস বিজয়বর্গীয়, গোপাল ভার্গবের মতো বিজেপি নেতারা এ বার সরকার ফেলার জন্য বিধায়ক ভাঙানোর খেলায় নামতে পারেন।

তবে এসপি-বিএসপির ও নির্দল বিধায়কদের সঙ্গে রাখাটাই শেষ কথা নয়। কমলনাথের আর এক বড় কাঁটা, নিজে দলেরই জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। যিনি মুখ্যমন্ত্রী পদের দাবিদার ছিলেন গোড়া থেকেই। গদিতে টিকে থাকতে তাঁকেও তুষ্ট রেখে চলতে হচ্ছে কমলকে। কিন্তু রাজ্যের আমলারাই তাঁদের কথা শোনেন না, এমন অভিযোগ আগেই তুলেছেন সিন্ধিয়া অনুগামীরা। এতে সিদুঁরে মেঘ দেখার যথেষ্ট কারণ রয়েছে কমল নাথের। গত কিছু দিন ধরেই মন্ত্রিসভার রদবদলের সম্ভাবনার কথা ভাসিয়ে রেখেছেন তিনি। কিন্তু তাতেও কি শেষ রক্ষা হবে! মধ্যপ্রদেশের প্রভাবশালী বিজেপি নেতা গোপাল ভার্গব তো কমল নাথ সরকারের বিদায় ঘোষণা করেই রখেছেন।

এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।

অন্য বিষয়গুলি:

Rahul Gandhi Congress Karnataka JDS
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE