Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪
Coronavirus Update

দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা নামল ৮ লক্ষের নীচে, মোট সুস্থ ৬৫ লক্ষ

দেশের বেশির ভাগ রাজ্যেই সক্রিয় রোগীর সংখ্যা কমলেও কয়েকটি রাজ্যে তা বাড়ছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৬২ হাজার ২১২ জন নতুন করে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। গ্রাফিক- শৌভিক দেবনাথ।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৬২ হাজার ২১২ জন নতুন করে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। গ্রাফিক- শৌভিক দেবনাথ।

নিজস্ব প্রতিবেদন
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৭ অক্টোবর ২০২০ ১০:২০
Share: Save:

অক্টোবরের শুরু থেকেই কমছে দেশের দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। গত এক সপ্তাহ ধরেই তা ৭০ হাজারের কম। আজ তা ৬২ হাজার। আক্রান্তের পাশাপাশি গত দু’সপ্তাহ ধরে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ১ হাজারের কম থাকা তৈরি করছে স্বস্তির আবহ। তবে দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা কমলেও কয়েকটি রাজ্যে সংক্রমণ বৃদ্ধি চিন্তা বাড়াচ্ছে বিশেষজ্ঞদের।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৬২ হাজার ২১২ জন নতুন করে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। যার জেরে দেশে মোট আক্রান্ত হলেন ৭৪ লক্ষ ৩২ হাজার ৬৮০ জন। ওই সময়কালে আমেরিকা ও ব্রাজিলে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা যথাক্রমে ৬৯ হাজার ও ৩০ হাজার। গত দু’মাস ধরে এই দু’টি দেশের তুলনায় ভারতে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা বেশি ছিল। কিন্তু গত কয়েক দিনে আমেরিকাতে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ফের বাড়ছে। তাই প্রায় দু’মাসের বেশি সময় পর ভারতের থেকে আমেরিকার দৈনিক আক্রান্ত বেশি হল। আমেরিকাতে এখনও অবধি আক্রান্ত হয়েছেন ৮০ লক্ষ ৪৮ হাজার জন। তৃতীয় স্থানে থাকা ব্রাজিলে ৫২ লক্ষ জন।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৬২ হাজার ২১২ জন নতুন করে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। যার জেরে দেশে মোট আক্রান্ত হলেন ৭৪ লক্ষ ৩২ হাজার ৬৮০ জন। ওই সময়কালে আমেরিকা ও ব্রাজিলে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা যথাক্রমে ৬৯ হাজার ও ৩০ হাজার। গত দু’মাস ধরে এই দু’টি দেশের তুলনায় ভারতে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা বেশি ছিল। কিন্তু গত কয়েক দিনে আমেরিকাতে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ফের বাড়ছে। তাই প্রায় দু’মাসের বেশি সময় পর ভারতের থেকে আমেরিকার দৈনিক আক্রান্ত বেশি হল। আমেরিকাতে এখনও অবধি আক্রান্ত হয়েছেন ৮০ লক্ষ ৪৮ হাজার জন। তৃতীয় স্থানে থাকা ব্রাজিলে ৫২ লক্ষ জন।

(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। )

দেশে কোভিড আক্রান্তদের সুস্থ হওয়ার হার শুরু থেকেই আশাব্যঞ্জক। এখনও পর্যন্ত দেশে মোট ৬৫ লক্ষ ২৪ হাজার ৫৯৫ জন করোনার কবল থেকে মুক্ত হয়েছেন। যা গোটা বিশ্বের মধ্যে সর্বোচ্চ। দেশের মোট আক্রান্তের ৮৭.৭৮ শতাংশই সুস্থ হয়ে উঠেছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সুস্থ হয়েছেন ৭০ হাজার ৮১৬ জন। গত কয়েক দিনে নতুন আক্রান্তের থেকে সুস্থ বেশি হওয়ায় কমছে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা। কমতে কমতে তা ৮ লক্ষের নীচে নেমেছে। এখন দেশে মোট সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৭ লক্ষ ৯৫ হাজার ৮৭ জন।

দেশের বেশির ভাগ রাজ্যেই সক্রিয় রোগীর সংখ্যা কমলেও কয়েকটি রাজ্যে তা বাড়ছে। যা দেশের গড় প্রবণতার পরিপন্থী। এ ব্যাপারে সবথেকে উপরে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। তার পরই কেরল ও দিল্লি।

প্রতি দিন যে সংখ্যক মানুষের পরীক্ষা হচ্ছে তার মধ্যে যত শতাংশের কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ আসছে, সেটাকেই বলা হচ্ছে পজিটিভিটি রেট বা সংক্রমণের হার। বিক্ষিপ্ত কিছু দিন বাদ দিলে সেপ্টেম্বর থেকেই সংক্রমণের হার ৬-৮ শতাংশের মধ্যেই ঘোরাফেরা করছে। আজ তা ৬.২৩ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা পরীক্ষা হয়েছে ৯ লক্ষ ৯৯ হাজার ৯০ জনের।

প্রতি দিন যে সংখ্যক মানুষের পরীক্ষা হচ্ছে তার মধ্যে যত শতাংশের কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ আসছে, সেটাকেই বলা হচ্ছে পজিটিভিটি রেট বা সংক্রমণের হার। বিক্ষিপ্ত কিছু দিন বাদ দিলে সেপ্টেম্বর থেকেই সংক্রমণের হার ৬-৮ শতাংশের মধ্যেই ঘোরাফেরা করছে। আজ তা ৬.২৩ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা পরীক্ষা হয়েছে ৯ লক্ষ ৯৯ হাজার ৯০ জনের।

(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। )

করোনাভাইরাস ভারতে ইতিমধ্যেই ১ লক্ষের বেশি মানুষের প্রাণ কেড়েছে। যদিও ইউরোপ-আমেরিকার দেশগুলির তুলনায় ভারতে মৃত্যুহার অনেক কম। গত দু’সপ্তাহ ধরেদৈনিক মৃত্যুও কমে ১ হাজারের নীচে রয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৩৭ জন মারা গিয়েছেন। এ নিয়ে ১ লক্ষ ১২ হাজার ৯৯৮ জনের প্রাণ কেড়েছে করোনা। তার মধ্যে ৪১ হাজার ৫০২ জন মারা গিয়েছেন মহারাষ্ট্রেই। তামিলনাড়ু ও কর্নাটকে মোট মৃত্যু ১০ হাজারের বেশি। উত্তরপ্রদেশে সাড়ে ৬ হাজার ও অন্ধ্রপ্রদেশে মৃত্যু সংখ্যা ৬ হাজার ছাড়িয়ে বাড়ছে। দিল্লি ও পশ্চিমবঙ্গে তা ৬ হাজার ছুঁইছুঁই। প়ঞ্জাবে প্রায় ৪ হাজার ও গুজরাতে করোনার জেরে প্রাণহানি সাড়ে ৩ হাজার ছাড়িয়েছে। মধ্যপ্রদেশেও মৃত আড়াই হাজার ছাড়িয়েছে। হরিয়ানা, জম্মু ও কাশ্মীর, ছত্তীসগঢ়, তেলঙ্গানা, কেরল, ওড়িশাতে মোট মৃত্যু ১ হাজারের বেশি। দেশের বাকি রাজ্যেগুলিতে মোট মৃত্যু ১ হাজারের কম।

করোনাভাইরাস ভারতে ইতিমধ্যেই ১ লক্ষের বেশি মানুষের প্রাণ কেড়েছে। যদিও ইউরোপ-আমেরিকার দেশগুলির তুলনায় ভারতে মৃত্যুহার অনেক কম। গত দু’সপ্তাহ ধরেদৈনিক মৃত্যুও কমে ১ হাজারের নীচে রয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৩৭ জন মারা গিয়েছেন। এ নিয়ে ১ লক্ষ ১২ হাজার ৯৯৮ জনের প্রাণ কেড়েছে করোনা। তার মধ্যে ৪১ হাজার ৫০২ জন মারা গিয়েছেন মহারাষ্ট্রেই। তামিলনাড়ু ও কর্নাটকে মোট মৃত্যু ১০ হাজারের বেশি। উত্তরপ্রদেশে সাড়ে ৬ হাজার ও অন্ধ্রপ্রদেশে মৃত্যু সংখ্যা ৬ হাজার ছাড়িয়ে বাড়ছে। দিল্লি ও পশ্চিমবঙ্গে তা ৬ হাজার ছুঁইছুঁই। প়ঞ্জাবে প্রায় ৪ হাজার ও গুজরাতে করোনার জেরে প্রাণহানি সাড়ে ৩ হাজার ছাড়িয়েছে। মধ্যপ্রদেশেও মৃত আড়াই হাজার ছাড়িয়েছে। হরিয়ানা, জম্মু ও কাশ্মীর, ছত্তীসগঢ়, তেলঙ্গানা, কেরল, ওড়িশাতে মোট মৃত্যু ১ হাজারের বেশি। দেশের বাকি রাজ্যেগুলিতে মোট মৃত্যু ১ হাজারের কম।

(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)

মৃত্যুর মতো সংক্রমণের নিরিখেও দেশের শীর্ষে মহারাষ্ট্র। এখনও অবধি ১৫ লক্ষ৭৬ হাজার লোক আক্রান্ত হয়েছেন সেখানে। যদিও দৈনিক সংক্রমণ সেখানে আগের থেকে অনেক কম। অন্ধ্রপ্রদেশ ৭ লক্ষ ৭৫ হাজার ও কর্নাটকে ৭ লক্ষ ৫১ জন আক্রান্ত হয়েছেন। তামিলনাড়ুতে সংখ্যাটা ৬ লক্ষ ৭৯ হাজার। ৪ লক্ষ ৪৯ হাজার আক্রান্ত নিয়ে দেশের পঞ্চম স্থানে উত্তরপ্রদেশ। তার পরই রয়েছে কেরল। শুরুর ঝটকা সামলে নিলেও ওনামের পর থেকেই কেরলে দৈনিক আক্রান্ত লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে। যার জেরে সেখানে মোট আক্রান্ত ৩ লক্ষ ২৫২হাজারে পৌঁছেছে।দিল্লিতে মোট আক্রান্ত ৩ লক্ষ ২৪ হাজার। পশ্চিমবঙ্গে ৩ লক্ষ ১৩ হাজার। ওড়িশা ২ লক্ষ ৬৪ হাজার ও তেলঙ্গানাতে ২ লক্ষ ২০ হাজার জন এখনও অবধি আক্রান্ত হয়েছেন। বিহারে মোট আক্রান্ত ২ লক্ষ পেরিয়েছে। অসমে ২ লক্ষ ছুঁইছুঁই।রাজস্থান, গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগঢ়ে মোট আক্রান্ত দেড় লক্ষ ছাড়িয়েছে। হরিয়ানা, পঞ্জাবে মোট আক্রান্ত দেড় লক্ষের কম। ঝাড়খণ্ড, জম্মু ও কাশ্মীর, উত্তরাখণ্ড, গোয়া, ত্রিপুরার মতো রাজ্যগুলিতে মোট আক্রান্ত এখনও ১ লক্ষ পেরোয়নি।

মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ুর মতো রাজ্যে দৈনিক আক্রান্ত উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। উত্তরপ্রদেশ, বিহার, অসমও তৈা নিয়ন্ত্রণে। কিন্তু কর্নাটক ও কেরলে তা এখনও লাগামছাড়া। দিল্লিতেও দৈনিক সংক্রমণ হচ্ছে ৩ হাজারের বেশি। রাজস্থান, ছত্তীসগঢ়ের নতুন সমংক্রমণ নিয়েও চিন্তার যথেষ্ট কারণ রয়েছে।

গত কয়েক দিনে পশ্চিমবঙ্গেও দৈনিক আক্রান্ত বেড়েছে। ৩ হাজার থেকে তা সাড়ে ৩ হাজারের গণ্ডিতে পৌঁছে গিয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ হাজার ৭৭১ জন আক্রান্ত হয়েছেন রাজ্যে। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত হলেন ৩ লক্ষ ১৩ হাজার ১৮৮ জন। যদিও এর মধ্যে ২ লক্ষ ৭৪ হাজার জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। রাজ্যে মোট ৫ হাজার ৯৩১ জনের প্রাণ কেড়েছে করোনা।

গত কয়েক দিনে পশ্চিমবঙ্গেও দৈনিক আক্রান্ত বেড়েছে। ৩ হাজার থেকে তা সাড়ে ৩ হাজারের গণ্ডিতে পৌঁছে গিয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ হাজার ৭৭১ জন আক্রান্ত হয়েছেন রাজ্যে। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত হলেন ৩ লক্ষ ১৩ হাজার ১৮৮ জন। যদিও এর মধ্যে ২ লক্ষ ৭৪ হাজার জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। রাজ্যে মোট ৫ হাজার ৯৩১ জনের প্রাণ কেড়েছে করোনা।

(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)

(চলন্ত গড় বা মুভিং অ্যাভারেজ কী: একটি নির্দিষ্ট দিনে পাঁচ দিনের চলন্ত গড় হল— সেই দিনের সংখ্যা, তার আগের দু’দিনের সংখ্যা এবং তার পরের দু’দিনের সংখ্যার গড়। উদাহরণ হিসেবে— দৈনিক নতুন করোনা সংক্রমণের লেখচিত্রে ১৮ মে-র তথ্য দেখা যেতে পারে। সে দিনের মুভিং অ্যাভারেজ ছিল ৪৯৫৬। কিন্তু সে দিন নতুন আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা ছিল ৫২৬৯। তার আগের দু’দিন ছিল ৩৯৭০ এবং ৪৯৮৭। পরের দুদিনের সংখ্যা ছিল ৪৯৪৩ এবং ৫৬১১। ১৬ থেকে ২০ মে, এই পাঁচ দিনের গড় হল ৪৯৫৬, যা ১৮ মে-র চলন্ত গড়। ঠিক একই ভাবে ১৯ মে-র চলন্ত গড় হল ১৭ থেকে ২১ মে-র আক্রান্তের সংখ্যার গড়। পরিসংখ্যানবিদ্যায় দীর্ঘমেয়াদি গতিপথ সহজ ভাবে বোঝার জন্য এবং স্বল্পমেয়াদি বড় বিচ্যুতি এড়াতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়)

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus Covid-19 Coronavirus in India
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy