ছবি: পিটিআই।
স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়লে অর্থনীতির চাকা ঘোরানোর জন্য যে কেউ-ই থাকবে না— এই মৌলিক সত্যটা বুঝতে করোনা ঝড়ের প্রয়োজন হল!
আজ নির্মলা সীতারামন দেশের জনস্বাস্থ্য খাতে এবং অতিমারি মোকাবিলার জন্য আর্থিক বরাদ্দ বাড়ানো এবং কিছু নতুন প্রকল্প গড়ার কথা ঘোষণা করার পরে এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। নির্মলা স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করলেও ঠিক কত টাকা বাড়ানো হবে কিংবা সেটি জিডিপি-র কত অংশ, বলেননি। তবে জানান, অতিমারির মোকাবিলায় তৈরি থাকতে জেলা হাসপাতালগুলিতে সংক্রামক রোগের জন্য আলাদা ব্লক তৈরি হবে। ব্লক স্তরে গড়া হবে স্বাস্থ্য পরীক্ষা কেন্দ্র।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের অধীন ‘সেন্ট্রাল বুরো অব হেলথ ইন্টেলিজেন্স’-এর রিপোর্ট ‘ন্যাশনাল হেলথ প্রোফাইল-২০১৯’ অনুযায়ী, কেন্দ্র ও রাজ্য মিলিয়ে স্বাস্থ্য খাতে জিডিপি-র মাত্র ১.২৮% অর্থ খরচ করে। কেন্দ্র ও রাজ্যগুলির চলতি বছরের বাজেট অনুযায়ী, তা সামান্য বেড়ে ১.২৯% হয়েছে। এত দিন মোদী সরকারের লক্ষ্য ছিল, ২০২৫-এ স্বাস্থ্য খাতে খরচ জিডিপি-র ২.৫%-এ নিয়ে যেতে হবে। কিন্তু করোনার ধাক্কায় নড়েচড়ে বসেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। ওই সময়ে স্বাস্থ্যখাতে বিশ্বের দেশগুলি গড়ে জিডিপি-র প্রায় ৬ শতাংশ খরচ করতে পারে বলে খবর। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সচিব প্রীতি সুদান অর্থ কমিশনকে জানান, প্রাথমিক স্বাস্থ্য খাতে রাজ্যগুলির অর্থের অভাব রয়েছে। তার জন্য বিনা শর্তে অর্থ জোগাতে হবে। সীতারামন আজ জনস্বাস্থ্য নিয়ে সরব হয়ে জানান, প্রতিটি জেলায় তৃণমূল স্তরে স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের জন্য আর্থিক বিনিয়োগ করা হবে। শহর ও গ্রামীণ এলাকায় হবে ‘হেলথ অ্যান্ড ওয়েলনেস সেন্টার’।
আরও পড়ুন: চতুর্থ দফার লকডাউনে কোথায় ছাড়, কোথায় নয়, দেখে নিন
আরও পড়ুন: ফের করোনার সংক্রমণ রাষ্ট্রপতি ভবনে, এ বার আক্রান্ত পুলিশ আধিকারিক
অতিমারি-পদক্ষেপ
• জনস্বাস্থ্যে কেন্দ্রীয় বরাদ্দ বাড়ানো হবে
• তৃণমূল স্তরে স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান গড়তে বিনিয়োগ
• শহর-গ্রামে হেল্থ অ্যান্ড ওয়েলনেস সেন্টার ঢেলে সাজানো
• জেলাগুলিতে সংক্রামক রোগের হাসপাতাল গড়া
• প্রতিটি ব্লকে পরীক্ষাকেন্দ্র তৈরি
• ন্যাশনাল ডিজিটাল হেল্থ মিশনকে বাস্তবায়িত করা
গবেষণাতেও জোর দিচ্ছে কেন্দ্র। নির্মলা জানান, ন্যাশনাল ডিজিটাল হেলথ ব্লু প্রিন্ট-এর সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের বাস্তবায়ন, আইসিএমআর-এর নেতৃত্বে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউশনাল প্ল্যাটফর্ম-এর ওয়ান হেলথ প্রকল্প চালু করা হবে। কেন্দ্রীয় সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত জনস্বাস্থ্য খাতে ১৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের ঘোষণা হয়েছে। রাজ্যগুলিকে দেওয়া হয়েছে ৪১১৩ কোটি টাকা। এ ছাড়া, অতিমারির মোকাবিলায় কিছু ই- পরিষেবা চালু করেছে কেন্দ্র। যার মধ্যে আরোগ্য সেতু অ্যাপ ছাড়াও রয়েছে ই সঞ্জীবনী টেলি সার্ভিস, ভার্চুয়াল লার্নিং মডিউলস-এর মতো অ্যাপ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy