করোনা ত্রাস: বন্ধ ঠাণের দোকাটপাট। ছবি: এএফপি।
মুম্বইয়ের সব অফিস ৩১ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ রাখার কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। ওই সময়ে বন্ধ থাকবে সমস্ত দোকানও। তবে এ ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হবে, মুদি, সবজি এবং ওষুধের দোকানকে। মুম্বই, পুণে নাগপুর এবং পিম্পরি চিঞ্চওয়াড় থেকে সমস্ত জরুরি পরিষেবা পরিচালনা করা হবে বলেও এ দিন জানিয়েছেন উদ্ধব।
করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ধীরে ধীরে বাড়ছে দেশে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও জনকল্যাণ মন্ত্রকের রিপোর্ট বলছে, ইতিমধ্যেই গোটা দেশে আক্রান্তের সংখ্যাটা ২২৩। সেখানে মহারাষ্ট্রেই আক্রান্তের সংখ্যা ৫২। তাঁদের মধ্যে তিন জন বিদেশি। ওই রাজ্যে ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে এক জনের। দিন যত এগোচ্ছে ক্রমশ আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। এই আতঙ্কের আবহেই মুম্বইয়ের সব অফিস বন্ধ করে দেওয়া সিদ্ধান্ত নিল উদ্ধব সরকার। রাজ্যের সমস্ত সংস্থার মালিকদের কাছেও উদ্ধব আবেদন জানিয়েছেন, ‘এই পরিস্থিতিতে কর্মীদের বেতন বন্ধ করবেন না। সঙ্কট আসবে যাবে, কিন্তু মানবিতা বিসর্জন দেবেন না।’
অফিসগুলো বন্ধ থাকলেও ব্যাঙ্ক, বাস এবং ট্রেনের মতো জরুরি পরিষেবা চালু থাকবে। সরকারি অফিসগুলোতে উপস্থিতির হার কমিয়ে ২৫ শতাংশ করা হবে বলেও এ দিন জানান উদ্ধব। বৃহস্পতিবারই মুম্বইয়ের ডাব্বাওয়ালারা পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছেন। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী বর্ষা গায়কোয়াড় জানিয়েছেন, প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণির কোনও পরীক্ষা হবে না। তবে নবম এবং একাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের পরীক্ষা হবে ১৫ এপ্রিলের পরে।
আরও পড়ুন: বিদেশ থেকে ফিরলেই বাধ্যতামূলক কোয়রান্টিন
আরও পড়ুন: করোনায় ‘হাই রিস্ক’ মানুষ কারা? কী করা উচিত তাঁদের?
শুধু মুম্বই নয়, এই আতঙ্কের আবহেই এ দিন দিল্লির সব শপিংমলগুলো বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন অরবিন্দ কেজরীবালও। দুপুরে টুইট করে কেজরীবাল বলেন, “বর্তমান পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করেই শপিং মলগুলো বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা।” মুদি, সবজি এবং ওষুধের দোকানগুলোর মতো জরুরিভিত্তিক দোকানগুলো খোলা রাখা হবে বলে জানিয়েছেন কেজরীবাল।
শুক্রবার দিল্লির সমস্ত বাজার ২১ মার্চ থেকে ২৩ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেখানকার ব্যবসায়ী সমিতি। বৃস্পতিবারই দিল্লির আপ সরকার ৩১ মার্চ পর্যন্ত সমস্ত রেস্তরাঁ বন্ধের কথা ঘোষণা করে। তবে হোম ডেলিভারির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়নি। আগেই সরকারি এবং বেসরকারি স্কুল-কলেজগুলো ৩১ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ রাখার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। ওই সময় পর্যন্ত সমস্ত পরীক্ষাও স্থগিত করে দেওয়া হয়। ইতিমধ্যেই দিল্লিতে ১৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে এক জন বিদেশি রয়েছেন বলে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও জনকল্যাণ মন্ত্রকের রিপোর্ট। গত সপ্তাহেই মৃত্যু হয়েছে এক জনের। যাঁরা স্বেচ্ছা কোয়রান্টিনে রয়েছেন তাঁদের স্ট্যাম্পিংয়ের ব্যবস্থা করেছে দিল্লি সরকার। এ দিন কেজরীবাল সাংবাদিকদের বলেন, “যাঁরা সেল্ফ কোয়রান্টিনের নিয়ম লঙ্ঘন করবেন তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে।”
উত্তরপ্রদেশের লখনউ, নয়ডা এবং কানপুরেও সমস্ত শপিং মল এবং রেস্তরাঁ বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার। সংক্রমণ এড়াতে এই তিন শহরে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। লখনউয়ের খুরম নগরে আগামী ২৩ মার্চ পর্যন্ত সব অফিস বন্ধ রাখার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। করোনার চিকিত্সার জন্য রাজ্য সরকার লখনউয়ের ৬টি হাসপাতালকে নির্দিষ্ট করে দিয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে, লোকবন্ধু হাসপাতাল, সিভিল হাসপাতাল, বলরামপুর হাসপাতাল, কিং জর্জ মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটি, রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতাল এবং সঞ্জয় গাঁধী পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্স।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy