ছবি পিটিআই।
রেকর্ডই যেন এখন রুটিন। দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা গত ২৪ ঘণ্টায় বাড়ল ১২,৮৮১ জন। ফলে মোট সংক্রমণের সংখ্যা দাঁড়াল ৩,৬৬,৯৪৬। আরও ৩৩৪ জনের মৃত্যুতে দেশে মোট মৃতের সংখ্যা হল ১২,২৩৭। সুস্থতার হার বেড়ে হয়েছে ৫২.৯৫%। দেশে অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা যেখানে ১,৬০,৩৮৪, সেখানে সুস্থের সংখ্যা আজ বেড়ে হয়েছে ১,৯৪,৩২৪।
সুস্থের সংখ্যায় অবশ্য স্বস্তি নেই। ‘আনলক’ পর্বে রোজ সংক্রমিতের সংখ্যা লাফিয়ে বাড়বে বলেই বিশেষজ্ঞদের একাংশের আশঙ্কা। ভিডিয়ো-বার্তায় আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আবেদন জানিয়েছেন, ২১ জুন ষষ্ঠ আন্তর্জাতিক যোগ দিবস যেন বাড়ির ভিতরেই পালন করেন সবাই। মোদী বলেছেন, এ বার থিম হল, পারস্পরিক দূরত্ব মেনে ‘বাড়িতেই যোগ, সপরিবার যোগ’। কাল প্রায় ১.৬৫ লক্ষ নমুনা পরীক্ষা হয়েছে— তার ৭.৭৮% পজ়িটিভ। মহারাষ্ট্রে সংক্রমিতের সংখ্যা ১.১৬ লক্ষের বেশি। অথচ আর্থিক কর্মকাণ্ড শুরুর পরে সে রাজ্যে রোজ ১৫ হাজারেরও বেশি পরিযায়ী শ্রমিক ফিরে আসছেন বলে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ জানিয়েছেন। এই শ্রমিকেরা লকডাউন পর্বে মহারাষ্ট্র ছেড়েছিলেন। দ্বিতীয় স্থানে থাকা তামিলনাড়ুতে সংক্রমিতের সংখ্যা ৫০ হাজার পেরিয়েছে। ছত্তীসগঢ় পুলিশ জানিয়েছে, দলের মধ্যে কারও করোনার উপসর্গ দেখা দিলেই তাকে শিবির ছাড়তে বলছে মাওবাদীদের বস্তার ডিভিশন। সুমিত্রা ছেপা নামে এক মাওবাদী সম্প্রতি বিজাপুর জেলায় তার বাড়িতে ফিরে আসে। জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জেনেছে, জ্বর-সর্দি-কাশি হওয়ায় তাকে শিবির ছাড়তে বলা হয়েছিল।
করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যু কতটা ব্যাপক হতে পারে, কিছু গাণিতিক মডেলের মাধ্যমে তার আভাস পাওয়ার চেষ্টা হয়েছে অতীতে। কিন্তু আইসিএমআর প্রকাশিত ‘ইন্ডিয়ান জার্নাল অব মেডিক্যাল রিসার্চ’-এর সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, গাণিতিক মডেলের ভবিষ্যদ্বাণীর সঙ্গে ভারতের বাস্তব পরিস্থিতি কার্যত মেলেনি। বরং ওই সব মডেলে অনেকটাই আন্দাজ ও পক্ষপাত মিশে ছিল। ‘ভারতে করোনা অতিমারির প্রথম ১০০ দিনের শিক্ষা’ শীর্ষক সম্পাদকীয়টি লিখেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া দফতরের কমিউনিকেবল ডিজ়িজ় বিভাগের প্রাক্তন ডিরেক্টর রাজেশ ভাটিয়া এবং আইসিএমআরের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজির ডিরেক্টর প্রিয়া আব্রাহাম। তাঁদের বক্তব্য, সংক্রমণ ও মৃত্যুর নিরিখে করোনার আক্রমণ কতটা তীব্র হবে, পশ্চিমী দেশগুলির প্রতিষ্ঠানে তৈরি এই ধরনের গাণিতিক মডেল তার একটা আভাস দিয়েছিল। অন্তত ভারতের ক্ষেত্রে বাস্তবের সঙ্গে তা মেলেনি। কাজেই নতুন ভাইরাসের অতিমারির সঙ্গে লড়ার ক্ষেত্রে এগুলির উপরে নির্ভর করাটা ঝুঁকির।
আরও পড়ুন: আজ প্রধানমন্ত্রীর ডাকা সর্বদলীয় বৈঠকে থাকবেন তৃণমূলনেত্রী মমতা
ওই সম্পাদকীয়তে অবশ্য বলা হয়েছে যে, লকডাউনে ফাঁক ছিল বলে সেই সময়েও দেশের নতুন নতুন এলাকায় সংক্রমণ ছড়িয়েছে। তাই স্থানীয় তথ্যের ভিত্তিতে পরিকল্পনা তৈরি ও কার্যকর করার উপরে জোর দিয়েছেন দুই গবেষক।
আরও পড়ুন: সুস্থদের শংসাপত্র দিচ্ছে দিল্লি
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy