প্রতীকী ছবি।
এখন আর বাছাই করা দেশ নয়, বিদেশ থেকে এলেই স্ক্রিনিং করা হবে। গতকাল কেন্দ্রে এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরেই ভাইজাগ বিমানবন্দরে নোভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে পাঁচ জনকে পাঠানো হল হাসপাতালে। তাঁদের মধ্যে একই পরিবারের তিন জন রয়েছেন। আপাতত ওই পাঁচ জনকে আলাদা করে নজরদারিতে রাখা হয়েছে। অন্য দিকে ইতালির পর্যটক দলের আক্রান্ত ১৬ জনের মধ্যে ১৪ জনকে গুরুগ্রামের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
করোনা উদ্বেগের আঁচ সংসদেও। এ দিন রাজ্যসভায় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন আশ্বস্ত করেছেন, ‘‘আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। প্রধানমন্ত্রী নিজে গোটা বিষয়টি তদারকি করছেন। আমি নিজেও প্রতিদিন পর্যালোচনা করছি।’’ পাশাপাশি করোনা নিয়ে একটি মন্ত্রিগোষ্ঠী গঠন করা হয়েছে। তাঁরাও গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন।
বুধবার পর্যন্ত দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২৯। বৃহস্পতিবার নতুন করে আক্রান্ত হওয়ার কোনও খবর না থাকলেও ভাইজাগ বিমানবন্দরে পাঁচ জনের করোনা সংক্রমণ সন্দেহ হওয়ায় উদ্বেগ বেড়েছে। বিমানবন্দর সূত্রে খবর, একই পরিবারের তিন জন মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরে বেড়াতে গিয়েছিলেন। আজ সকালে বিমানবন্দরে নামার পর তাঁদের স্ক্রিনিংয়ে সন্দেহ হয়। তা ছাড়া তাঁদের জ্বরের উপসর্গও ছিল। সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের আলাদা করে এপি চেস্ট হাসপাতালে পাঠানো হয়। বাহারিন থেকে আসা আরও দু’জনকেও একই ভাবে আলাদা করা হয়। পাঁচ জনের রক্তের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানোর পাশাপাশি নজরদারিতে রাখা হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর।
দেশের মধ্যে একসঙ্গে করোনা আক্রান্ত সবচেয়ে বেশি ইতালির পর্যটকদের দলটি। ওই দলটির আক্রান্ত ১৬ জনের মধ্যে ১৪ জনকে গুরুগ্রামের আইটিবিপির মেদান্ত হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ওই হাসপাতাল সূত্রে খবর, তাঁদের সম্পূর্ণ আলাদা একটি ঘরে রাখা হয়েছে। হাসপাতালের অন্য কোনও অংশের সঙ্গে ওই জায়গার যোগ নেই। তাঁদের চিকিৎসায় একটি মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। তবে অন্যান্য পরিষেবা স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
কী ভাবে রুখবেন করোনা সংক্রমণ:
আরও পডু়ন: ছড়াচ্ছে করোনা, হায়দরাবাদে সভা বাতিল শাহের
আরও পড়ুন: এত সম্পত্তি! শহর কলকাতায় তৃণমূল কাউন্সিলরের নামে কাটমানি পোস্টার
অন্য দিকে আগরায় বেড়াতে আসা কয়েক জন পর্যটক-সহ স্থানীয় মোট ২৩ জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এলাকার ৫০ জনের স্ক্রিনিং করার পর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy