কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় ছাড়পত্র পেল নাগরিকত্ব বিল। ছবি: পিটিআই।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় ছাড়পত্র পেল নাগরিকত্ব বিল। বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় আলোচনার জন্য বিলটি পেশ করে বিজেপি। মন্ত্রিসভা তাতে সায় দিয়েছে। আগামী সপ্তাহেই তা সংসদে পেশ করা হবে।
এই বিলে বলা হয়েছে, আফগানিস্তান পাকিস্তান, বাংলাদেশ থেকে ধর্মীয় পীড়নের কারণে এ দেশে শরণার্থী হিসেবে (হিন্দু, পার্সি, শিখ, খ্রিস্টান) আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন যাঁরা, তাঁদের নাগরিকত্ব দেবে সরকার। যদিও বিলে প্রতিবেশী দেশ থেকে আসা মুসলিমদের বিষয়ে কোনও উল্লেখ করা হয়নি। ধর্মের ভিত্তিতে কেন ওই ভেদাভেদ, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই আপত্তি জানিয়েছে অধিকাংশ বিরোধী দল।
এনআরসি-র ফলে অসমে ও পশ্চিমবঙ্গে হিন্দুদের মধ্যে প্রবল অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। বিজেপি নেতৃত্বের মতে, এরই প্রভাব দেখা গিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের উপনির্বাচনে। সে কারণে দল দ্রুত এ নিয়ে সংশয় কাটাতে এই বিলটি নিয়ে আসতে চাইছে। সম্প্রতি রাঁচীতে এক সভায় অমিত শাহ জানিয়ে দিয়েছেন, ২০২৪ সালের আগে গোটা দেশে জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি) তৈরি করবে সরকার। চিহ্নিত করা হবে অনুপ্রবেশকারীদের।
আরও পড়ুন: ‘খোঁজ পেয়েছি আগেই’, বিক্রম-সন্ধানী ইঞ্জিনিয়ারের দাবি উপেক্ষা করে বললেন শিবন
ধর্মের ভিত্তিতে শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার নীতির বিরোধিতা করেছে কংগ্রেস, তৃণমূল, সিপিআইএম-সহ আরও বেশ কয়েকটি দল। সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে নাগরিকত্ব বিলটি আসতে চলেছে তা অনুমান করে অনেক আগে থেকেই গুয়াহাটি-সহ উত্তর-পূর্বের সব রাজ্যেই প্রতিবাদ শুরু হয়ে গিয়েছিল।
আরও পড়ুন: এ বার অনলাইনে খাবার অর্ডার করে প্রতারিত যুবক, খোয়ালেন ১০ হাজার টাকা
গত লোকসভায় বিলটি পাশ হলেও রাজ্যসভায় সরকার পক্ষের সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকায় বিলটি পেশই করা হয়নি। ফলে লোকসভা মেয়াদ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বিলটি খারিজ হয়ে যায়। সে সময় অসমে বিরোধীরা তো বটেই, বিজেপির জোট শরিক এনপিপি প্রধান তথা মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমার নেতৃত্বে নেডা জোটের অন্য দলগুলিও বিলের বিরোধিতায় নামে।
আরও পড়ুন: জামিন মঞ্জুর সুপ্রিম কোর্টে, ১০৫ দিন পর মুক্তি পাচ্ছেন পি চিদম্বরম
বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে খুব সহজেই পাশ হয়ে যায় বিলটি। আগামী সপ্তাহে সংসদে তা পেশ করার কথা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy