গাড়িতে ভাঙচুর চালাচ্ছেন বিক্ষোভকারীরা। ছবি: পিটিআই।
সংরক্ষণের দাবিতে চলা আন্দোলনের মধ্যেই এক বিক্ষোভকারীর আত্মহত্যা। তাতেই প্রবল উত্তেজনা ছড়াল মহারাষ্ট্রে। ওই যুবকের শেষকৃত্যের সময়ে বিক্ষোভ সামাল দিতে গিয়ে হৃদরোগে প্রাণ হারলেন এক পুলিশকর্মীও।
চাকরি ও শিক্ষাক্ষেত্রে মরাঠিদের জন্য সংরক্ষণের দাবি নিয়ে আন্দোলন লোকসভা ভোটের আগে বিজেপিকে চাপে ফেলে দিয়েছে। ২৭ বছরের যুবক চাষি কাকাসাহেব সিন্ধে গত কাল ঔরঙ্গাবাদে সংরক্ষণের দাবি নিয়ে চলা ‘জলসমাধি আন্দোলন’-এ যোগ দিয়েছিলেন। সেই সময়েই ব্রিজ থেকে গোদাবরী নদীতে ঝাঁপ দিলে ডুবে যান তিনি। এর পরেই আজ রাজ্য জুড়ে বন্ধের ডাক দিয়েছিল মরাঠা ক্রান্তি মোর্চা-সহ আন্দোলনরত কয়েকটি সংগঠন। ফডণবীস বিক্ষোভকারী যুবকের মৃত্যুর ঘটনাকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ আখ্যা দিলেও বিক্ষোভের আঁচ কমেনি। মুখ্যমন্ত্রীর ইস্তফা ও মরাঠিদের কাছে ক্ষমা চাওয়ার দাবি তুলেছেন বিক্ষোভকারীরা।
সম্প্রতি শোলাপুর জেলার পন্ধারপুর শহরে মন্দিরে পুজো দেওয়ার কথা ছিল ফডণবীসের। কিন্তু বিক্ষোভের আঁচে সফর বাতিল করেন তিনি। কিন্তু আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রীর বিতর্কিত মন্তব্যের পরেই ওই এলাকায় হিংসা ছড়িয়েছে। ফডণবীস বলেছিলেন, পন্ধারপুরে জড়ো হওয়া পুণ্যার্থীদের ভিড়ে হয়তো সাপ ছেড়ে দিতে পারে কেউ। তাঁদের উপর ঢিল ছোড়াও হতে পারে। এর পরেই মরাঠিদের কেউ কেউ হিংসার ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ এনেছেন বিক্ষোভকারীরা।
সিন্ধের মৃত্যুতে আজ রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় হিংসা ছড়িয়েছে। সব থেকে খারাপ হাল ঔরঙ্গাবাদের। সেখানে আন্দোলনকারীরা স্থানীয় নেতাদের গাড়ি জ্বালিয়ে দেয়। এর মধ্যেই ঔরঙ্গাবাদে আজ আর এক বিক্ষোভকারী নদীর উপরের ব্রিজ থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করলে পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয়ে ওঠে। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। ঔরঙ্গাবাদে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ট্রেন আটকানো হয় পারভাণী জেলায়। বিক্ষোভকারীরা হুমকি দিয়েছেন, এর আঁচ মুম্বই পর্যন্ত পৌঁছে দেবেন তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy