ব্যাঙ্কের কাজকর্ম ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা। —ফাইল চিত্র।
কেন্দ্রীয় সরকারের সংযুক্তিকরণ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে এ বার একজোটে ধর্মঘটে নামছে ব্যাঙ্ক কর্মচারীদের যৌথ সংগঠন অল ইন্ডিয়া ব্যঙ্ক এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশন (এআইবিইএ), ব্যাঙ্ক এমপ্লয়িজ ফেডারেশন অব ইন্ডিয়া (বিইএফআই) এবং অল ইন্ডিয়া ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেস (এআইটিইউসি)। ১০টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের সংযুক্তিকরণের বিরুদ্ধে আগামী ২২ অক্টোবর ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে তারা।
কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তকে ‘দুর্ভাগ্যজনক এবং অনভিপ্রেত’ বলে উল্লেখ করেছে এআইটিইউসি। শুধুমাত্র সংযুক্তিকরণের বিরুদ্ধেই নয়, ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থার পুনর্বিন্যাস, অনাদায়ী ঋণ আদায় এবং ঋণখেলাপ-সহ আরও একাধিক ইস্যু তুলে ধরবেন তাঁরা।
ধর্মঘটের জেরে তাদের কাজকর্ম ব্যাহত হতে পারে বলে ইতিমধ্যেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছে ব্যাঙ্ক অব মহারাষ্ট্র, সিন্ডিকেট ব্যাঙ্ক, ওরিয়েন্টাল ব্যাঙ্ক অব কমার্স-সহ একাধিক ব্যাঙ্ক। দেশ জুড়ে ৯ হাজার ৫০০টি শাখা রয়েছে ব্যাঙ্ক বরোদার। স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া এবং পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের পর এই মুহূর্তে দেশের তৃতীয় বৃহত্তম ব্যাঙ্ক তারা। ধর্মঘটের জেরে কাজকর্ম ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে তারাও। শেয়ার বাজারকে দেওয়া একটি বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, ‘‘ব্যাঙ্কের কাজকর্মেও ধর্মঘটের প্রভাব পড়তে পারে।’’
আরও পড়ুন: বন্ধু হলেও অর্থনীতির ঝিমুনি কাটাতে নির্মলার নীতি ভুল, জেএনইউ-এ গিয়ে সাফ কথা অভিজিতের
যদিও তাদের কাজকর্মে ধর্মঘটের প্রভাব তেমন পড়বে না বলে আশাবাদী স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া। তাদের কথায়, ‘‘যে ইউনিয়ন ধর্মঘটে নামছে, আমাদের খুব কম সংখ্যক কর্মীই ওই সংগঠনের সদস্য। তাই আমাদের কাজে তেমন প্রভাব পড়বে না।’’
আরও পড়ুন: কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তানকে সমর্থন তুরস্কের, মোদীর আঙ্কারা সফর বাতিল ক্ষুব্ধ নয়াদিল্লির
ঝিমিয়ে পড়া অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে গত ৩০ অগস্ট দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থায় বড় ধরনের পরিবর্তনের কথা ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। তিনি জানান, ১০টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক মিশে গিয়ে চারটি ব্যাঙ্কে পরিণত হবে। পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের সঙ্গে মিশে যাচ্ছে ওরিয়েন্টাল ব্যাঙ্ক অব কমার্স এবং ইউনাইটেড ব্যাঙ্ক। ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্ক ও ইলাহাবাদ ব্যাঙ্কও মিশে যাচ্ছে। আবার ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক, অন্ধ্র ব্যাঙ্ক এবং কর্পোরেশন ব্যাঙ্ক মিশে গিয়ে একটি ব্যাঙ্ক তৈরি হচ্ছে। মিশে যাচ্ছে কানাড়া ব্যাঙ্ক ও সিন্ডিকেট ব্যাঙ্কও। শুরু থেকেই কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে আসছে বিভিন্ন কর্মী সংগঠন। এতে বিপুল সংখ্যক কর্মী ছাঁটাই হতে পারে বলে আশঙ্কা তাঁদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy