সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। -ফাইল ছবি।
রায় শোনার জন্য যখন সকলেই উন্মুখ, তখন রামজন্মভূমি-বাবরি মসজিদ মামলার শুনানির জন্য সাংবিধানিক বেঞ্চ গড়ার প্রশাসনিক নির্দেশ দিয়ে নজির গড়ে ফেললেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। কোনও ডিভিশন বেঞ্চ এ ব্যাপারে সুপারিশ না করলেও বা কেন ওই বেঞ্চ গড়া হয়নি, তা নিয়ে কোনও প্রশ্ন না তুললেও, ওই প্রশাসনিক নির্দেশ দেওয়া হয় মঙ্গলবার।
ওই দিন সন্ধ্যায়, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রি থেকে জারি করা একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রামজন্মভূমি-বাবরি মসিজদ মামলার শুনানি হবে এ বার ৫ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চে। তা শুরু হবে আগামী ১০ জানুয়ারি থেকে। প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈর নেতৃত্বে শীর্ষ স্তরের ওই বেঞ্চের সদস্য হবেন বিচারপতি এস এ ববদে, বিচারপতি এন ভি রামানা, বিচারপতি উদয় ইউ ললিত ও বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়।
বিচারপতি মহলের বক্তব্য, সুপ্রিম কোর্টে এর আগে এমন ঘটনার নজির নেই। দেশের প্রধান বিচারপতির ওই নির্দেশ আরও তাৎপর্যপূর্ণ এই কারণে যে, এর আগে ওই মামলার শুনানির জন্য সাংবিধানিক বেঞ্চ গড়ার আর্জি খারিজ গত সেপ্টেম্বরে খারিজ করে দিয়েছিল শীর্ষ আদালতের তিন সদস্যের একটি বেঞ্চ। সেই বেঞ্চও অবশ্য রায় দিতে গিয়ে দ্বিধাবিভক্ত হয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত বেঞ্চে বিচারপতিদের ২:১ অনুপাতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, রামজন্মভূমি-বাবরি মসজিদ মামলাটিকে শুধুই জমি বিরোধ বলে গণ্য করতে হবে।
আরও পড়ুন- বিজেপিতে যোগ দিলেন তৃণমূল সাংসদ সৌমিত্র খান, রাজ্যে চাঙ্গা গেরুয়া শিবির
আরও পড়ুন- ন্যাশনাল হেরাল্ড: আয়কর দফতরের সেই নির্দেশিকা জমা দিতে বলল সুপ্রিম কোর্ট
তাই নানা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে বিচারপতি মহলে। কারও কারও বক্তব্য, সুপ্রিম কোর্টের আইন মোতাবেক (২০১৩) আপিল বা কোনও মামলার শুনানির জন্য প্রধান বিচারপতি এমন বেঞ্চ গড়ে দিতেই পারেন, যার সদস্য সংখ্যা দু’জনের কম হবে না। আর সুপ্রিম কোর্টের হ্যান্ডবুক বলছে, আপিল বা কোনও মামলার শুনানির জন্য, চাইলে পাঁচ বা তার বেশি সদস্য নিয়ে সাংবিধানিক বেঞ্চ গড়ে দিতে পারেন প্রধান বিচারপতি। ফলে, বিচারপতি গগৈ সাংবিধানিক বেঞ্চ গড়ার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাতে আইনগত ভাবে কোনও অসঙ্গতি নেই। তবে এর আগে শীর্ষ আদালতের কোনও বিচারপতিই প্রশাসনিক নির্দেশ দিয়ে সাংবিধানিক বেঞ্চ গড়েননি। আবার কোনও কোনও বিচারপতি বলছেন, সাংবিধানিক বেঞ্চ গড়ার পথে গিয়ে মামলার রায় দেওয়ার বিষয়টিকে আরও বিলম্বিত করার চেষ্টা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy